বগুড়া জেলার আ”লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জন-প্রতিনিধিদের কে প্রস্তাব দিলেন

অন্যান্য

মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়া জেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুর রহমান দুলু-প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আসসালামু আলাইকুম। আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের উন্নত-অনুন্নত দেশগুলোতে ”করোনা ভাইরাস” নামক একটি মহাদূর্যোগ চলছে। ১৯৭১ সালে বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে দ্বীর্ঘ ৯মাস যুদ্ধ সংগ্রামের পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পূনর্গঠন ও ৭ কোটি অসহায় জনগণের মুখে হাঁসি ফুটানোর জন্য বঙ্গবন্ধু যেভাবে কাজ করে গেছেন ঠিক তেমনিভাবে বিশ্বব্যাপী এই ”করোনা ভাইরাস” মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্র নায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই মহা বিপর্যয় ঠেকাতে ও জনগনকে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনা প্রায় দিন সরাসরি ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে প্রতিটি জেলা উপজেলার সরকারী শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ও স্থানীয় জন প্রতিনিধি বৃন্দের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছেন এবং খোজঁ খবর রাখছেন । জনগনকে ”করোনা ভাইরাস” সম্পর্কে সচেতন করতে ইতিমধ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি দেশের স্বশস্ত্র বাহিনীকেও মাঠে নামিয়েছেন। সারা দেশে ”লক ডাউন” চলায় এদেশের গরীব অসহায় দিনমজুর সহ নিম্ন বিত্ত পরিবারের কেউ যেন ক্ষুধার্ত না থাকে সেজন্য সরকারি ভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য গুলো উল্লেখিত মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে প্রতিটি জেলা উপজেলায় সঠিক ভাবে বিতরণ করতে দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন । সেই মোতাবেক বর্তমানে দেশ ব্যাপী কাজ চলছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এসব নিম্ন আয়ের মানুষকে সহযোগীতার পাশাপাশি এ দেশের মধ্যবিত্ত পরিবারের কথাও বলেছেন যারা মানুষের কাছে হাত পাততে পারেনা কিন্তু তাদের পেটে ক্ষুধা এমন পরিবারে সরকারী সহায়তা পৌঁছে দেবারও নির্দেশ প্রদান করেছেন। ইতি মধ্যেই হাজার হাজার কোটি টাকার ত্রান সামগ্রী যেমন চাল, ডাল, তেল, লবন ও শিশু খাদ্য সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস উল্লেখিত মানুষের জন্য বরাদ্দ করেছেন । পাশাপাশি ভবিষ্যত পরিকল্পনা মাথায় রেখে কৃষকদের জন্য ৫,০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করেছেন। মধ্যম আয়ের দেশ হলেও শুধু মাত্র জনগণ এর জন্য এই ভর্তুকি ও বিপুল পরিমান বরাদ্দ করার মতো দুঃসাহস দেখিয়ে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা । বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের সরকারী আধা সরকারী এবং বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে তাদের ১দিনের বেতন কর্তন করে জমা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আমরা যারা জনগনের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা জনগনকে বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে ভোট আদায় করেছি এজন্য দেশের এই ক্রান্তিলগ্রে আমাদেরও এগিয়ে আসা প্রয়োজন। এ কারনে আমার ১টি প্রস্তাবনা এখানে তুলে ধরলাম। সেই সাথে আমার এই প্রস্তাবনাটি যদি কোন মাননীয় সংসদ সদস্যের দৃষ্টিতে আসে তাহলে দয়া করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট পৌঁছে দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা
আমার প্রস্তবনা হলো যারা বাংলাদেশের নির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ,সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র ও কাউন্সিলর বৃন্দ, জেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও সদস্য বৃন্দ, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর বৃন্দ, উপজেলা পরিষদের সন্মানিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান বৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও সদস্য বৃন্দ যারা আছেন তাদের সকলের ১মাসের সম্মানী ভাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে কর্তন করা হোক। যদিও সরকার নিয়মিত ভাবে ত্রান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। তবুও আমাদের এই সামান্য প্রচেষ্টা জনগনের কল্যানে সামান্য হলেও অবদান রাখবে। আমরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ আত্মতৃপ্তি পাবো বলে আমার বিশ্বাস। কারন আমাদের মনে রাখতে হবে এই জনগনের ভোটেই আমরা নির্বাচিত হয়েছি তাই জনগণের কল্যানে আমাদেরকেউ ভুমিকা রাখতে হবে। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন আমার এই প্রস্থাবনাটি গ্রহন করা হোক, সেই সাথে জনগণের প্রতি আমি আহবান জানাই আপনারা এই মহামারি থেকে বাঁচতে সরকারী নির্দেশনা ও চিকিৎসক গণের পরামর্শ মেনে চলুন।
আজকের এই মত বিনিময় সভা থেকে আপনাদের প্রতি আমার আহবান এই প্রস্তাবনা টি এমন ভাবে তুলে ধরুন যাতেকরে বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সহ সরকারের র্শীষ স্থানীয় কর্মকর্তা বৃন্দের দৃষ্টিগোচর হয়।
আপনাদের সকলের সু-স্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত বিনিময় সভা এখানেই শেষ করছি। জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ দীর্ঘজীবি হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published.