নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙ্গে পড়ল দশতলা ভবনের ছাঁদ

অপরাধ

মাহবুব আলম মানিক :
ঢাকা জেলার সাভার আশুলিয়া ডি ইপিজেড’র পাশে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান পরমাণু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের
(মেডিকেল ফিজিক্স)ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মানাধীন দশতলা ভবনের ছাঁদ ধ্বসে ১৫ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

আহতদের সবাইকে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া ডি ইপিজেড জোনের ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম তবে নিহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি বলে প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছেন ।

গত ১০/০৩/২৩ তারিখ বিকাল চারটার সময় ঘটনা টি ঘটে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।

নির্মাণ কাজে অংশ নেওয়া এক শ্রমিক জানান ছাঁদ ভেঙ্গে পরার সময় আমিও সেখানে কাজ করতে ছিলাম ঢালাইয়ের কাজ চলতেছিল হঠাৎ দেখি এক সাইড থেকে ভাঙ্গা শুরু করেছে।

আমি দৌড়ে নিচের দিকে নেমে আসি তার দুই মিনিট পরে দেখি পুরো টা ভেঙ্গে গেছে এবং অনেকের মাথা ফেটে গেছে কারো আবার পা কাটছে। আমি তিন জন কে গুরুতর অবস্থায় টেনে বের করেছি। আমার সাথে সাথে আনসার বাহিনীর সদস্যরাও অনেক কে উদ্ধার করেছে এবং ফায়ার সার্ভিস কে ফোন করেছে ।

তবে ঘটনা স্থলে জানা যায় ফায়ার দসার্ভিসের কর্মীদের সাথে -সাথে উদ্ধার অভিযানে জরালো ভুমিকা রেখেছেন আনসার বাহিনীর সদস্যরা।এবিষয়ে আনসার বাহিনীর এপিসি জাহাঙ্গীর আলম জানান ঘটনা টি ঘটার সঙ্গে-সঙ্গে সবার আগে, আমাদের সদস্যরা জীবনের তোয়াক্কা না করে শ্রমিকদের উদ্ধার করতে ছুটে যায়।

নির্নাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভবনের ছাঁদ ধ্বসের কারণ জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মরত সহকারী সিকিউরিটি ইনচার্জ জানান,
ভবনটির নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। সর্বশেষ ছাঁদ ঢালাইয়ের সময় কনস্ট্রাকশনের যে সকল আসবাব পত্র ব্যাবহার করা হয়েছে তা যথাযথ ভাবে মনে হয় বসানো হয়নি তাছাড়া অডিটোরিয়ামের যায়গাটা উঁচু থাকায় এমন দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ভবনটি ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। এবং ২০১৬ সাল থেকে ভবনের কাজ শুরু হয়েছে । স্টারলাইট কোম্পানির নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি করছেন। তবে ঘটনার পর থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাউকে আর দেখা যায়নি।

পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক, ডঃ দেবাশীষ পাল ছাঁদ ধ্বসের বিষয় টি তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করে বলেন ঘটনাটি ঘটেছে শুনেছি আমিও সেখানে যাচ্ছি পৌঁছে বিস্তারিত বলতে পাররো।

উক্ত ভবনটি, পরমাণু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের নিজস্ব প্রকৌশলী এবং কনসালটেন্টরা নির্মাণ করছেন বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.