কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা ইউনিয়ন পরিষদ একটি কাঙ্খিত নান্দনিক পরিবর্তন

অন্যান্য

জি এম জাহিদ হোসেন টিপু :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়ন পরিষদ। স্বাধীনতা পরবর্তী চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যতম ঘোষিত স্বনির্ভর ইউনিয়ন ৷ কিন্তু সেই তুলনায় অবকাঠামোগত অবস্থান ছিল ভঙ্গুর , জরাজীর্ণ। ইউনিয়ন পরিষদ হচ্ছে একটি ইউনিয়নের জনগনের দর্পণ । একটি পরিচ্ছন্ন পোষাক যেমনি একজন মানুষকে সুদর্শন করে তুলে ঠিক তেমনি একটি দর্শনীয় সুশ্রী, পরিপাটি ইউনিয়ন পরিষদ ইউনিয়নের জনগনের ঐতিহ্য , মনন ও নান্দনিক মানষিকতার পরিচয় বহন করে । এমনি এক দর্শনীয় ও নান্দনিক পরিবর্তনের প্রত্যাশায় দুরুদুরু বক্ষে ২০১১ সালে খুব অল্প বয়সে চেয়ারম্যান হওয়ার প্রাত্যাশা ব্যাক্ত করেছিলাম চৌদ্দগ্রামের মাটি ও মানুষের নেতা, চৌদ্দগ্রামের উন্নয়নের স্থপতি, সাবেক রেলপথ মন্ত্রী, কর্মবীর মুজিবুল হক মুজিব মহোদয়ের কাছে । তিনি বাতিসা ইউনিয়নের জনগনে প্রত্যাশা পূরনে আমাকে চেয়ারম্যান মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় ২ মেয়াদে ১০ বছর আমি বাতিসা ইউনয়নের জনগনের খেদমতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি। বাতিসা ইউনিয়নের জনগনের সম্মান বৃদ্ধি করতে একটি জীর্নশীর্ন টিনের ঘর থেকে বর্তমানে দর্শনীয়,নান্দনিক ও অভিজাত ইউনিয়ন পরিষদ গড়ে তুলতে প্রয়াস পেয়েছি । এটাই আমার সার্থকতা। এমনি এক মহেদ্রক্ষণে শীগ্রই সমাগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে “পরিবর্তন” নামক এক শ্লোগানকে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে কিছু চন্ডাল । এক সমিক্ষায় দেখা গেছে এই পরিবর্তন পক্ষে তারাই যাদের বয়স ২০১১ সালে ছিলো ৮-১০ বছর ,তখন তারা ক্লাস ফোর – ফাইভে পড়া অবুঝ ছিলো। বর্তমানে তারা ১৮/২০ বছর বয়সের কলেজ পড়ুয়া অথবা সম বয়সী ক্ষুদ্র যুব সমাজ ৷ যারা ২০১১ সালে ভাঙ্গা টিনের ঘরের ইউনিয়ন পরিষদটি দেখেনি। অথবা তারাই যারা ২০১১ সালের আগে বিদেশ গিয়ে ২৪/২৫ বছর পর দেশে এসে স্মৃতিভ্রম ঘটা সেই ক্ষুদ্র অংশটি ৷ যেমন আমরা প্রতি বছর একটি দিবসে ভালোবাসা দিবস পালন করে থাকি। এই ভালোবাসা শুধু প্রেমিক প্রেমিকার ভলোবাসা নয়। পিতামাতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা, সন্তানের প্রতি পিতার ভালোবাসা তেমনী ভাইয়ের প্রতি বোনের , বোনের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসা ,স্বামীর প্রতি স্ত্রীর এবং স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা । ভালোবাসা যেমনি বহুমাত্রীক তেমনি ভালোবাসার রকমফের রয়েছে। পরিবর্তনেরও তেমনি রকমফের ও বহুমাত্রিকতা রয়েছে। ইউনিয়নের পরিবর্তনের প্রধান হোতা একজন খাদক, এক গামলা ভাত খায়। তাকে সচরাচর কেউ দাওয়াত দিতে চায়না । তবু নেতাদের বহরে ঢুকে পড়ে। তার এক সহকর্মী বন্ধু তাকে বললো তোর এই খাই খাই অভ্যাস পরিবর্তন কর। পরিবর্তনের আরেক হোতার অপকর্মের অনেক বদনামী আছে। তার কিছু বন্ধু তাকে বললো তোর চরিত্রের পরিবর্তন কর নয়তো ভোটে দাড়িয়ে লাভ নেই। এমন গুনগত পরিবর্তনও অনেকের প্রত্যাশা । কিছু নেতা আবার চেয়ারম্যান পরিবর্তন চায়। যাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের কাছ থেকে তথাকথিত মূল্যায়নের নামে দুর্নীতির সুযোগ দিতে পারিনি, কিংবা বিচার বহি:ভূত অপরাধ কর্মকান্ডের সুযোগ দিতে পারিনি বলে চেয়ারম্যান পরিবর্তন চায়। তবে আশার কথা হলোএমন অবাঞ্চিতের সংখ্যা নেহায়েতই নগন্য। তবে বাতিসা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগন বাতিসা ইউনিয়ন পরিষদের এই সুদৃশ্য, নান্দনিক পরিবর্তন ও উন্নয়নের পক্ষে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.