শেখ হাসিনার মিশন ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করতে চাই – আলী আকবর

রাজনীতি

মাহফুজ বাবু,কুমিল্লা থেকে :
শিক্ষা সংস্কৃতি ও প্রাচীন সভ্যতার নগরী কুমিল্লা, ঢাকা চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী এবং দেশের প্রাচীনতম বৃহৎ একটি জেলা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে সকলকের সাথে সমন্বয় করে কুমিল্লাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। গত ৩৫ বছর ধরে ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে সম্পৃক্ত থেকে দেশ দল ও মানুষের কল্যানে কাজ করেছি। স্বচ্ছতার সাথে সাংগঠন, রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড বিবেচনায় কুমিল্লা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দেবেন ইনশাআল্লাহ। নির্বাচত হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করার পাশাপাশি তার মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে গ্রামকে শহর ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে বেকারত্ব সমস্যার সমাধানে প্রধান্য দিয়ে কাজ করতে চাই। নেত্রীর সীদ্ধান্তই চুরান্ত, দল যদি আমার চেয়ে যোগ্য কাউকে মনোনীত করে অবশ্যই তার পক্ষে কাজ করবো। ভোটার ও কুমিল্লাবাসী তথা সকলের দোয়া ও সমর্থন চাই

আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচন (২০২২ইং) চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন মনোনয়নপত্র ক্রয় ও দাখিলের পর রবিবার দুপুরে রাজধানী ধানমন্ডিতে, দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে, সামনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন কুমিল্লা জেলা (দঃ) আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক আলী আকবর। দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার সময় তিনিসহ তার সাথে উপস্থিত নেতাকর্মীদের বেশ হাস্যোজ্জল ও প্রাণবন্ত দেখা যায়। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলগের মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী আলী আকবর ও তার কর্মী সমর্থকগণ। জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের প্রথম দিন ছিল আজ ৮ সেপ্টেম্বর। ধানমন্ডি ৩ /এ দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন জমাদানে উপস্থিত কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ করিম মজুমদার। কুমিল্লা জেলা (দঃ) মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসাম্মৎ কোহিনুর বেগম, দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা পলাশ, কুমিল্লা দক্ষিণ যুবলীগ নেতা মানসু, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটি উজ্জল হোসেন তুহিন, সুফিয়ান, মাসুম বিল্লাহ, জি এম হেলাল শাওন, রাহাত সহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ হবে ১৭ অক্টোবর।

উল্লেখ্য ২০০০ সালে তৎকালীন সরকার নতুন করে জেলা পরিষদ আইন প্রণয়ন করে। এরপর জোট সরকারের আমলে এনিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে জেলা পরিষদ পরিচালনা করে। এরপর প্রথমবারের মতো স্থানীয় এই সরকারে নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর। সেসময় ৬১টি জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) নির্বাচন হয়েছিল। এর মধ্যে ১৯টি জেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
জেলা পরিষদের মেয়াদ আরও আগেই শেষ হলেও আইন সংশোধনসহ অন্যান্য জটিলতার কারণে ভোট নিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। স্থানীয় এই সরকারের আইনটি সংশোধনের পর ১৭ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ তানভীর আজম ছিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রশাসক বসানো কথা বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.