বগুড়ার গাবতলীতে ভুয়া ইউএনও গ্রেফতার

অপরাধ

রাকিব মাহমুদ ডাবলু :
বগুড়ার গাবতলীতে জরিনা আকতার (৩২) নামের এক ভুয়া ইউএনও
গ্রেফতার হয়েছেন। গ্রেফতারকৃত জরিনা আকতার উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের তেরোপাখি
গ্রামের বিকুল ইসলামের স্ত্রী।
জানা গেছে, উল্লেখিত তেরোপাখি গ্রামের গৃহবধূ জরিনা আকতার নিজেকে গাবতলীর
ইউএনও পরিচয় দিয়ে নেপালতলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে অসহায় গরীব মানুষদের কাছ
থেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কাউকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া
উপহারের ঘর, কাউকে সরকারি চাকুরী দেয়া আবার কাউকে এনজিও থেকে সহজেই লোন পাইয়ে
দেয়ার কথা বলে এই টাকাগুলো তিনি হাতিয়ে নেয়। দীর্ঘদিনেও জরিনা আকতারের কাছ থেকে
কোন সুফল না পাওয়ায় ভুক্তভোগীরা গত ৫ই মার্চ গাবতলীর ইউএনও রওনক জাহানের কাছে
লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে ইউএনও রওনক জাহান ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের
সোমবার তাঁর কার্যালয়ে এনে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে
জরিনা আকতার স্বীকার করে বলেন, তিনি নেপালতলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি
সদস্য আজিজুল হক জিন্না ও তেরোপাখি গ্রামের মৃত ওছমান আকন্দের ছেলে মজনু আকন্দ
(৫৪) এর পরামর্শে ও আর্থিক লোভে তিনি নিজেকে গাবতলীর ইউএনও পরিচয় দিয়ে ৮জনের কাছ
থেকে টাকা নিয়েছেন। এ ব্যাপারে গাবতলীর ইউএনও রওনক জাহান বলেন, সরকারি চাকুরি,
সরকারি পাকাঘরসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জরিনা আকতার
৮জনের কাছ থেকে মোট ৪লাখ ৩৩হাজার টাকা লুটপাট করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা
গেছে। তাই অভিযুক্ত জরিনা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে
স্থানীয়রা জানিয়ে, শুধু ৮জন নয়, জরিনা আকতার প্রতারনামূলকভাবে অনেকের কাছ থেকেই লাখ
লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জামিরুল
ইসলাম বলেন, প্রতারনার স্বীকার নেপালতলী ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বিজয় চন্দ্র রায়ের
ছেলে বিপ্লব দাস বাদী হয়ে জরিনা আকতারকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা দায়ের
করেছেন। গ্রেফতারকৃত জরিনাকে আজ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.