পটুয়াখালীতে প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে ইউপি নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দেয়ার অভিযোগ

অপরাধ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
কুয়াকাটার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং এক সংরক্ষিত নারী সদস্য পদপ্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করেন।শনিবার(১৮ জুন) কুয়াকাটা প্রেসক্লাব হলরুমে তিনদফায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

পটুয়াখালী জেলার ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়নে গত ১৫ জুন নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লাকে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে। অপর দুই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ শফিকুল আলম (আনারস প্রতীক) ও ইসলামী আন্দোলন মনোনিত (হাতপাখা) প্রার্থী মোঃ মোসলেম মুসুল্লী মুছা ইভিএম নয়, প্রিজাইডিং অফিসারদের কারচুপির মাধ্যমে ভোটের ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে আরও বলেন, ইভিএম এর প্রিন্ট কপি পুলিং এজেন্টদের না দেখিয়ে মৌখিকভাবে হাতে লেখা প্রিন্ট কপি দিয়ে ফলাফল ঘোষণা করেছেন। এসময় আমাদের এজেন্টরা প্রিন্টেড কপি চাইলেও তারা না দিয়ে এজেন্টদের স্বাক্ষর চেয়েছেন। এসব নিয়ে ভোট কেন্দ্রে বিক্ষোভ পর্যন্ত হয়েছে। আমাদের এজেন্টগন ঘোষিত ফলাফল চ্যালেঞ্জ করলে তারা পুলিশি সহায়তা নিয়ে স্বাক্ষর গ্রহন ছাড়াই ভোট কেন্দ্র ত‍্যাগ করেন। পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মোঃ শফিকুল আলম বলেন, ভোট গ্রহণের পর ভোট কেন্দ্র থেকে কোন প্রিন্টেড কপি না পেয়ে রিটার্নিং অফিসার ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রশীদের কাছে ধরনা ধরেও কোন লিখিত কপি পাইনি। আমরা সঠিক সমাধান না পেলে অচিরেই আদালতের শরনাপন্ন হবো। হাতপাখ প্রতীকের পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মোসলেম মুসুল্লী মুছা বলেন, ইতোমধ্যে আমরা লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ইভিএম এর প্রিন্ট কপি সরবরাহের আবেদন করেছি।

একই অভিযোগ করেন ওই ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের পরাজিত সংরক্ষিত নারী সদস্য পদপ্রার্থী মাসুমা আকতার নাসরীন (কলম প্রতীক)। তার পক্ষে বাবা মোঃ মোস্তফা মিয়া প্রিন্টেড কপি না পেলে আদালতে যাবার কথা উল্লেখ করেছেন।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুর রশীদ পরাজিত ইউপি প্রার্থীদের সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ইভিএম এর কোন প্রিন্টেড কপি সরবরাহের বিধান নেই। ফলাফল দেখার এবং আপত্তি করার উপযুক্ত সময় হচ্ছে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার মুহূর্তে। কোন প্রার্থী তখন কথা না বললে এর দায় আমাদের নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.