দুঃখ ভারাক্লান্ত মন নিয়ে কিছু কথা বললেন শ্রমিক নেতা আল কামরান

অন্যান্য

মোঃশাকিল আহমেদ :
গত ২০০৬ সাল থেকে, মালিক-শ্রমিক সরকার সমন্বয়ে কাজ করে যাচ্ছি এই দেশের জন্য, দুঃখ ভারাক্রান্ত নিয়ে, অবশেষে বললেন,কি করে নি এদেশের জন্য মেহনতী মানুষের জন্য মালিকদের জন্য সকলের সমান প্রচেষ্টায় করেছি দেশকে জাতিকে ভালো রাখার জন্য,পোশাক শিল্পে অস্থিরতা নিয়ে জালাময়ী বক্তব্য দিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন সাভার আশুলিয়া ,সভাপতি ও স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন আশুলিয়া থানার সভাপতি আল কামরান।
করোনা পরিস্থিতিতেও গার্মেন্টস শ্রমিক নেতাদের উস্কানি নেতা কিভাবে বানায়।
করোনার কারনে যখন পুরো দেশ লগ ডাউনে সে সময়ে কারখানা খোলা বন্ধ নিয়ে শুরু হলো লেখালেখি,
আমি বরাবরই স্বাস্থ্যবীধি মেনে কারখানা চলমানের পক্ষে ছিলাম।
শ্রমিকদের এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় ঘোরাফেরা করা না করার পরামর্শ দিয়েছিলাম।
অপরিচিত কারো সাথে সংমিশ্রণ হয় এমন জায়গায় বা চলাচল না করার জন্য বলেছি,
আর এই কাজগুলি কারখানা বন্ধ থাকলেই হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি মনে হয়েছিলো।
পরবর্তীতে গার্মেন্টস কারখানা গুলো যখন বন্ধ ঘোষণা করলো কিছুদিন পরেই মালিক গুলো কারখানাতে লে অফ নোটিশ মারলো ১২ও ১৬ ধারার প্রবণতা বেড়ে গেলো।
সে সময় লে অফ মানিনা সম্বলিত একটি পোস্টার ডিজাইন লেখা লিখে শ্রমিকদের উদ্ভুদ্ধ করে লে অফ মানিনা ছাটাই মানিনা মানবোনা ইত্যাদি।এই লেখার একমাত্র উদ্যেশ্যে ছিলো লে অফ পরিবর্তে কিভাবে এক বছরের নিচে শ্রমিকদের সুবিধা প্রাপ্তি করা যায় এবং শ্রমিক ছাটাই বন্ধ করা যায় তার একটি সুস্পষ্ট সমাধান করার জন্য শ্রমিকদের জাগিয়ে তুলা।যা ইতিমধ্যেই বন্ধ কালীন সময়ে প্রথম ৬০% পরবর্তীতে আমরা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ১০০% দাবী করে এখানেও আমার একটি পোস্টার ডিজাইনে লেখা ১০০% বেতন চাওয়া হয়। সকলের এই চাওয়াতেই ৫% বৃদ্ধি করে ৬৫% করার একটি সিদ্ধান্ত তৈরীতে পৌছানো হয়
যা আমরা এখন সবাই জানি।
তার মানে এই নয় যে ১০০% চেয়েছি সেটাই দিতে হবে।
আমি দাবী করতেই পারি দাবী করেছি বলেই তো পরিবর্তন এসেছে বা হয়েছে তাই বলে আমি যা চাইবো তাই কি পাবো।
চেয়েছি বলেইতো লে অফ পরিবর্তন হয়ে ৬০%&৬৫% এর আলোচনা হয়েছে তবে এটা সত্যি যে শ্রমিক ভাই ও বোনেরা মনে করে যা চেয়েছি তাই নিবো আসলে তা নয়।
শ্রমিক ভাইদের এখান থেকে একটু পরিবর্তন হওয়া উচিত এবং আরো সচেতন হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
অতএব শ্রমিক ভাইদের বলবো এগুলো যা কিছুই হয়েছে তা কিন্তু সকলের চেষ্টায় শান্তিপূর্ণ কৌশলগত আন্দোলনেই হয়েছে।
দাঙ্গা হাঙ্গামা করে নয়।
যেহেতু ৬৫% সিদ্ধান্ত হয়েছে সেহেতু আমরা এখন প্রস্তাব দিয়েছি শ্রমিকদের বাড়িভাড়া কমানোর জন্য এই আপতকালীন সময়ে।এখানেও আমরা অনেকেই ৫০% কমানোর কথা বলেছি তাই বলে কি ওটাই হবে ওটা চেয়েছি আবেদন করেছি অনুরোধ করেছি।
এখন স্থানীয় প্রসাশন এটা সরকার কে বলবে অথবা স্থানীয় প্রসাশন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি স্থানীয় গণ্যমান্যগণ একটি সিদ্ধান্ত নিবেন।
অর্থাৎ এই করোনার দুর্যোগ আমরা সকলেই মিলে মিসে মোকাবেলা করে পরিস্থিতি পার করতে চাই।
তবে আমি ভিতু নই ২০০৬ সাল হতেই এই তালিকায় আছি এটা আমার সু ভাগ্য।
এই পরিস্থিতি দ্রুত সময়ে কেটে যাক এই পার্থনা করি।
নিচে ১২ও ১৬ ধারা আইনে কি আছে তা দেওয়া হলো।
দ্বিতীয় অধ্যায়

নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী

কাজ বন্ধ রাখা১২। (১) অগ্নিকান্ড, আকষ্মিক বিপত্তি, যন্ত্রপাতি বিকল, বিদু্যৎ সরবরাহ বন্ধ, মহামারী, ব্যাপক দাঙ্গা-হাঙ্গামা অথবা মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত অন্য কোন কারণে প্রয়োজন হইলে, কোন মালিক যে কোন সময় তাহার প্রতিষ্ঠানের কোন শাখা বা শাখাসমূহ আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করিয়া দিতে পারিবেন এবং যে কারণে উক্তরূপ বন্ধের আদেশ দেওয়া হইবে তাহা বিদ্যমান থাকা পর্যনত্দ এই বন্ধের আদেশ বহাল রাখিতে পারিবেন। কাজ বন্ধ রাখা

(২) যদি উক্তরূপ বন্ধের আদেশ কর্মসময়ের পরে দেওয়া হয়, তাহা হইলে পরবর্তী কর্মসময় শুরু হওয়ার আগে মালিক প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শাখার নোটিশ বোর্ডে বা কোন প্রকাশ্য স্থানে নোটিশ সাঁটিয়া বা লটকাইয়া দিয়া উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণকে অবহিত করিবেন।

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নোটিশে বন্ধ পরবর্তী কাজ কখন শুরু হইবে এবং সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণকে কাজ পুনরায় শুরু হওয়ার পূর্বে কোন সময় তাহাদের কর্মস্থলে অবস্থান করিতে হইবে কি না তৎসম্পর্কে নির্দেশ থাকিবে।

(৪) যদি উক্তরূপ বন্ধ কর্মসময়ের মধ্যেই সংঘটিত হয়, তাহা হইলে মালিক উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত পন্থায় নোটিশ মারফত সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণকে যথাশীঘ্র সম্ভব তৎসম্পর্কে অবহিত করিবেন, এবং এই নোটিশে পরবর্তী কাজ কখন শুরু হইবে এবং শ্রমিকগণ কর্মস্থলে অবস্থান করিবেন কি না তৎসম্পর্কে নির্দেশ থাকিবে।

(৫) উক্তরূপ কাজ বন্ধের পর যে সমস্ত শ্রমিককে কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হইবে, তাহাদের এই অবস্থানের সময় এক ঘণ্টার কম হইলে তাহারা কোন মজুরী নাও পাইতে পারেন, এবং এই অবস্থানের সময় ইহার অধিক হইলে তাহারা অবস্থানকালীন সম্পূর্ণ সময়ের জন্য মজুরী পাইবেন।

(৬) যদি কাজ বন্ধের মেয়াদ এক কর্ম দিবসের চেয়ে বেশী না হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট কোন শ্রমিক, উপ-ধারা (৫) এর ৰেত্র ব্যতীত, কোন মজুরী নাও পাইতে পারেন।

(৭) যদি কাজ বন্ধের মেয়াদ এক কর্ম দিবসের অধিক হয় তাহা হইলে, সাময়িক বা বদলী শ্রমিক ব্যতীত, সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক শ্রমিককে এক দিনের অতিরিক্ত সকল বন্ধ কর্ম দিবসের জন্য মজুরী প্রদান করা হইবে।

(৮) যদি কাজ বন্ধের মেয়াদ তিন কর্ম দিবসের অধিক হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকগণকে ধারা ১৬ এর বিধান অনুযায়ী লে-অফ করা হইবে।

(৯) উপ-ধারা (৮) এ উল্লিখিত লে-অফ কাজ বন্ধ হওয়ার প্রথম দিন হইতেই বলবৎ হইবে, এবং প্রথম তিন দিনের জন্য প্রদত্ত কোন মজুরী সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে প্রদেয় লে-অফকালীন ক্ষতিপূরণের সহিত সমন্বিত করা হইবে।

(১০) কাজ বন্ধের কারণে যদি কোন ঠিকা-হারের শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হন তাহা হইলে উপ-ধারা (৯) এর প্রয়োজনে তাহার পূর্ববর্তী এক মাসে গড় দৈনিক আয়কে দৈনিক মজুরী বলিয়া গণ্য করা হইবে

Leave a Reply

Your email address will not be published.