গাজীপুর কালিয়াকৈরে এক ভূমিদস্যু চাঁদা না পেয়ে ৪০ শতাংশ জমি দখলের পায়তারার অভিযোগ

অপরাধ

স্টাফ রিপোর্টার :
ভূক্তভোগীর অভিযোগ তিনি বলেন আমি উক্ত জমি১৯৯৬সনে ক্রয় করে নাম জারী জমাভাগ খাজনা পরিশোধ করে শাস্তি পুর্ন ভাবে ভোগ করে করিয়া আসিতেছি। হঠাৎ বিগত ২০১৮সনে কালিয়াকৈর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ভূমিদস্যু মোঃ কাশেম আমার নিকট ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভূমিদস্যু কাশেম আমার উপর বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেতে থাকে। আমি অত্যাচার নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করি আমার জমি ভূমিদস্যু হাত থেকে রক্ষা করতে। আমি জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্ত করায় ভূমিদস্যু ক্ষীপ্ত হইয়া উঠিলে আমি কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করি যাহার নং ২৭৬ তারিখ ০৭/০৫/২০১৯ উক্ত ডায়রি করায় ভূমিদস্যু কাশেম আমার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (কালিয়াকৈর)গাজীপুর একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন মামলা নং ৩২৬/২০১৯ধারা ১৪৪ উক্ত মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পরে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। ভূমিদস্যু ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ কাশেম এতেও ক্ষান্ত হয়নি পুনরায় শ্রী সুভাষ চন্দ্র বর্মন গং দের নিকট থেকে একটি আমমোক্তারনামা দলিল করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (কালিয়াকৈর) গাজীপুর একটি সি আর মামলা দায়ের করেন যাহার নং ৬৫৯ তারিখ ০৩/১২/২০১৯ মামলাটি চলমান ।ভূক্তভোগী (অব) সার্জেন্ট মোঃ হাতেম আলী জানান যেহেতু আমার খাজনা পরিশোধ নিজের দখলে ৪০ শতাংশ জমি বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করে আছি অন্যের বিনা বাধায় ।উক্ত জমি আমি ক্রয় করি। সি,এস রেকর্ডের মালিক ভিবু কোচ গং এর নিকট হইতে ধারাবাহিকভাবে জমি ক্রয় করে। ভাসানী মহন কোচ বর্মন গং এরা বিক্রি করে খুশী মোহন নম দাস গং ক্রয় করে ।এরা বিক্রি করে মোঃ আফাজ উদ্দিনের ক্রয় করে ।এ বিক্রি করে ফিরোজা ইয়াসমিন ক্রয় করে। এ বিক্রি করে শ্রী নরেন্দ্র চন্দ্র সরকার ক্রয় করে। এবং সে বিক্রি করে মোঃ হাতেম আলী ক্রয় করে নির্দ্বিধায় বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করে নিজের দখলে আছে। জমির তফসিল পরিচয় থানা-কালিয়াকৈর মৌজা-কালামপুর
সি,এস খতিয়ান নাম্বার-২৭এস,এ খতিয়ান নাম্বার-৪৭ ,সি,এস,ও এস,এ দাগ নং-৮৬/৮৭/৮৮/৮৯জমির পরিমাণ-২ একর ৯২ শতাংশ।আর,এস খতিয়ান নাম্বার-১৩৩ আর,এস, দাগ নাম্বার-১৬০/১৬৩/১৬৪/১৯০ মোট জমির পরিমাণ ২একর৭০ শতাংশ। উল্লেখ্য সি,এস,ওএস,এ রেকর্ড অনুযায়ী আর ,এস রেকর্ড এ জমি কম উঠেছে ২২ শতাংশ উক্ত ২২ শতাংশ জমি ভূমিদস্যু ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাশেম একটি আমমোক্তারনামা দলিল করে মোঃ হাতেম আলীর জমি আত্মসাতের পায়তারা করছে । কাউন্সিলর কাশেম সরকার দলীয় তাই ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার মানুষ জানান যে তার বিরুদ্ধে মূখ খুলতে ভয় পায় । যে তার বিরুদ্ধে কথা বলে তাকে মিথ্যা মামলা সহ বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার নির্যাতন ও হয়রানির করে। ভুক্তভোগী এক জন ( অব)সেনাসদস্য সার্জেন্ট মোঃ হাতেম আলী তার জীবনের অর্জন এই জমিটি রক্ষা করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন ভূমিদস্যুর কবল থেকে রক্ষা করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.