গলাচিপায় ভুমি তহসিলদার এর ফেইসবুকে ধর্মবিরোধী মন্তব্য জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি

অপরাধ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
পটুয়াখালী গলাচিপায় ভুমি অফিসের তহসিলদার মাহবুব আলম বাপ্পি নামের এক সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ধর্মবিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে।

এতে সাধারন মানুষ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী, ধর্মীয় সংগঠক ও ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানাযায়, গত ২৪ মার্চ গলাচিপা ভুমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) জি.এম মাহবুব আলম বাপ্পি তার নিজের নামে ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে Mahbub Bappy নামের আইডি থেকে একটি স্টাটাস দিয়েছে, যাহা সম্পুর্ন ওয়াজ মাহফিল বিরোধী। উক্ত স্টাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর মূহুর্তের মধ্যেই গোটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ স্টাটাসে ১৪৮ জন ব্যবহারকারী লাইক দিয়েছে এবং নিরানব্বই জন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী বিভিন্ন রকমের মন্তব্য করেছেন।

মুজাহিদ কমিটির গলাচিপা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মাতুব্বর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গলাচিপা শাখার দপ্তর সম্পাদক হাফেজ আবদুল কাইয়ুম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গোলখালী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মোঃ মাহাতাব মৃধা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলবো, এখনও সময় আছে আপনারা এই ধর্ম বিরোধী- ধর্মের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী কুলাঙ্গার তহশিলদার বাপ্পির বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, আর যদি সন্তোষজনক ব্যবস্থা না নেন তাহলে আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।

এবিষয়ে এলেমাবাদ দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোহাম্মদ শফিকুর রহমান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নজরে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।

এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পূর্ব পুরুষগণ এই অভি বক্ত বাংলায় ইসলাম প্রচারের জন্য আসছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ (অইফর) সদস্য পদ গ্রহন করেছেন, ইসলাম প্রচারের জন্য তিনি ঢাকার অদূরে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জায়গায় বরাদ্দ করেছেন, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন গঠন করেছেন, তার সুজগ্য কন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কওমি শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন, সারা বাংলাদেশর সকল উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মান করেছেন, করনাকালীন সময়ে সারাদেশের প্রতান্ত অঞ্চলের প্রতিটা ইমামদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছেন, মসজিদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দিচ্ছেন, প্রথম শ্রেণি থেকে একাদ্বশ শ্রেনী পর্যন্ত মুসলমান শিক্ষার্থীদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেও পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন, তাহাজুত নামাজ সহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ইসলাম প্রচারের কোন বাধা নিষেধ নেই, তবে ইসলাম প্রচারের নামে যদি কেউ জঙ্গিবাদ মৌলবাদীদের উস্কানী দেয় রাষ্ট্র এবং আওয়ামীলীগ তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার।

এবিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিস কুমার বলেন, এই বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই, এইটা তার নিজের ফেইসবুক আইডিতে দিয়ে থাকলে, এইটা তাকেই জিজ্ঞেস করেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত তহশিলদার বাপ্পি বলেন, আমি ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলি নাই, আমি ওয়াজ মাহফিলের বিরুদ্ধে কথা বলছি। কিছু মানুষ না বুঝেই শুধু শুধু মন্তব্য করছে।

বিঃদ্রঃ- তহশিলদার জি.এম মাহবুব আলম বাপ্পির স্টাটাসটি শিক্ষা তথ্য পত্রিকার পাঠকদের জন্য নিম্নে তুলে ধরা হইলো, ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে চরম একটা বিরক্তিকর ব্যাপার, এর কোন উপকারীতা আছে বলে আমি মনে করি না। ওয়াজে তথাকথিত ওয়ায়েজিনগণ যা বলেন তা নিশ্চয়ই হাদিস কুরআনে পড়লে জানা যায়, তাছাড়া একই কথা আমরা প্রত্যেকে এ জিবনে কমপক্ষে একশো বার শুনেছি, তাহলে এত আয়োজন করে ওয়াজের কি দরকার। অ্যারাবিয়ান কান্ট্রিগুলোতে ওয়াজ মাহফিলের প্রচলন আছে বলে কখনও শুনিনি।জানি আমার কথাগুলো অনেক মুমিনিনের (?) কাছে বিষের মতো লাগবে, অনেকে আমাকে নাস্তিক আখ্যা দিবেন,কিন্তু আমি সহজ কথাগুলো সহজভাবে বলতেই পছন্দ করি।

ওয়াজ মাহফিলের নামে ধর্মীয় উগ্রবাদকে উস্কে দেয়া এবং অতি মাত্রার শব্দদূষনকে না বলুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.