কুড়িগ্রাম অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা ওয়াংচুক

অন্যান্য

মোঃ রাজু মিয়া :
আজ ২৮ মার্চ কুড়িগ্রাম অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক। রাজার আগমন ঘিরে সকাল থেকেই জেলার মানুষের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করে। রাজাকে একনজর দেখার জন্য সড়কের দু’ধারে উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু প্রশাসনের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় কাছে যেতে পারেনি সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা সোয়া ১২টার দিকে সৈয়দপুর বিমান বন্দর থেকে সড়ক পথে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌঁছান তিনি।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ভুটানের রাজা দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে অবস্থান শেষে তিনি দুপুরের খাবার সেরে ধরলার পাড়ে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি ১৫ মিনিট অবস্থানের পর সড়ক পথে জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করেন। স্থল বন্দরে বিশেষ ইমিগ্রশনের মাধ্যমে ভারত হয়ে নিজ দেশ ভুটানে যাবেন রাজা।

২১৯ একর জমির উপর গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। রাজার আগমনকে ঘিরে সকাল থেকেই কুড়িগ্রাম অর্থনৈতিক ঘিরে উৎসুক সাধারণের মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করে। বাংলাদেশ-ভুটান দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে ধরলায় গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল।

কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল আজিজ জানান, ‘ধরলার পাড়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হলে সড়ক, নদী ও রেল পথের সুবিধা মিলবে। এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, ‘ভুটানের রাজার আগমনে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই আমরা সুষ্ঠুভাবে সকল আয়োজন সম্পন্ন করতে পেরেছি।’

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে জনসভায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের পাশে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হলে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। কুড়িগ্রামে কমবে দারিদ্র্যতা- এমন প্রত্যাশা জেলাবাসীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published.