কুমিল্লা সদর দক্ষিনের গলিয়ারায় নলকুড়িতে শিক্ষককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

অপরাধ

এম শাহীন আলম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণে লিটন মজুমদার (৪৫) নামে এক মাদরাসা শিক্ষককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার (৬ মার্চ) ৬ টার দিকে উপজেলার গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নের নলকুড়ি এলাকার নিজ বাড়ির একটি কোচিং সেন্টারে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

লিটন মজুমদার গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নের নলকুড়ি এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি নলকুড়ি ফোরকানিয়া মাদরাসার বাংলা-ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মা আকলিমা ছেলেকে বাঁচাতে গেলে তার মাথায়ও কোপ মারে। ছেলের হত্যার খবর পেয়ে লিটনের বাবা তোফাজ্জল হোসেন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এতে অসুস্থ হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, লিটন স্যার ছেলে-মেয়েদেরকে নিজের ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টারে পড়াচ্ছিলেন। এমন সময় ওই এলাকার বিদেশ ফেরত মাদকসেবি মৃত শাহ আলম মজুমদারের ছেলে শাফায়াত আলী (৩৫) কোচিং সেন্টারের ভেতরে ওই শিক্ষকের পেছন থেকে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে সে পালিয়ে যায়। এতে তার গলার কিছু অংশ ঝুলে ছিল। ওই হত্যাকারী শাফায়াতের সাথে এ শিক্ষকের কোন দন্ধও ছিলোনা। কি কারনে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মা আকলিমা বলেন, আমি আর কিছু চাইনা আমার কলিজার ধন ছেলের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।

গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল প্রধান বলেন, লিটন শিক্ষক হিসেবে যথেষ্ট ভালো ছেলে ছিল। সকালবেলাও তার সাথে আমার কথা হয়েছিল। যে হত্যা করেছে সে একজন মাদকাসক্ত লোক। তাকে এলাকাবাসী ধরতে গেলে সবার দিকে দা দিয়ে কুপ দিতে চাইলে তাকে আর ধরা যায়নি। আমি এ হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও গলায় কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। গলার কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন ছিল। হাসপাতালে আনার আগেই ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। লাশ এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.