কুমিল্লার বুড়িচংয়ে নারিকেল ছিনিয়ে নিতেই ব্যবসায়ীকে হত্যা

অপরাধ

বিশেষ প্রতিবেদক :
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে মহাসড়কের পাশে অজ্ঞাত লাশের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। জানা যায় ব্যবসায়ীর নারিকেল ছিনেয়ে নিতেই এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। এ ঘটনায় আটককৃত আসামী মোসাঃ আলেয়া বেগম হত্যাকান্ডে বিষয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারী নারিকেল ব্যবসায়ী চারু মিয়ার মরদেহ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান, গত ০৩ ফেব্রুয়ারি বুড়িচং এর পারুয়ারা এলাকার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক এর পাশ থেকে আজ্ঞাত অবস্থায় এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং অজ্ঞাত অবস্থায় মরদেহটি দাফন করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর ও ছবি দেখতে পেয়ে ওই ব্যাক্তির নাম চারু মিয়া বলে নিশ্চিত করে তার স্বজনরা। চারু মিয়া ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় সে একজন নারিকেল ব্যবসায়ী।

হত্যাকান্ড সংঘটিত হবার রাতে সে নোয়াখালি থেকে ৭ বস্তা নারিকেল নিয়ে ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় নামে। পরে সেনানিবাস এলাকা থেকে একটি পিকআপ ভাড়া করে নারিকেল নিয়ে নিজ বাড়ীতে রওনা হয়।
মাঝপথে তাকে হত্যা করে ফেলে দেয় পিকআপে থাকা অন্যান্যরা। এছাড়া চারু মিয়ার কিনে আনা নারিকেল, তার সাথে থাকা টাকা ও মোবাইল নিয়ে পালায় খুনীরা। পরে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে নিহতের মোবাইল ফোন এর অবস্থানের সন্ধান পায় পুলিশ।

সেই সূত্র ধরে ৬ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন শাকতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুল হত্যকারীর স্ত্রী মোসাঃ আলেয়া বেগম(২৬) কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এসময় তার কাছ থেকে ৩ বস্থা নারিকেলও জব্দ করে পুলিশ। আসামী আলেয়া বেগম হত্যাকান্ডে বিষয়ে আদালতে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নন্দন চন্দ্র সরকার জানান, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিহতের মোবাইল ফোনের স্থান নির্ধার করে অভিযান চালানো হয়। নিহতের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় ওই আসামীর ঘরের খাটের নিচ থেকে ৪ বস্তা নারিকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.