কুমিল্লার তিতাসে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত ৩

অপরাধ

হালিম সৈকত, কুমিল্লা থেকে :
কুমিল্লার তিতাসে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় ৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হামলায় আহত হয়ে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে কদমতলী গ্রামের ডালিম মিয়ার ছেলে ফয়সাল (২২), নূর নবীর ছেলে সৌদি প্রবাসি ইয়াসিন (২২) ও মতিউর রহমানের ছেলে সৌদি প্রবাসি রমিজ উদ্দিন (৪০)।
জানা যায় গতকাল কদমতলীতে ওয়াজ মাহফিল ছিল। সেখানে নানা দোকান বসে এবং বিভিন্ন বয়সের লোকজন জড়ো হয়। একই গ্রামের মুহুরির মেয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী মিম প্রাইভেটে যাচ্ছিল কতিপয় ছেলে তাকে বিরক্ত করে। বিষয়টি সে তার বড় ভাই সাইদুল (২৫) কে জানালে সে রাতের বেলা ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে রমিজ উদ্দিন, ফয়সাল ও ইয়াসিনের উপর হামলা চালায়। কিশোরগ্যাং লিডার ইসমাঈল (২৩) পিতা ফজলু মিয়ার নেতৃত্বে হামলায় অংশ নেয় রতনপুর গ্রামের মনির হোসেন এর ছেলে রাকিব (১৩), এনামূলের ছেলে রাব্বি, অলি মিয়ার ছেলে মজিব (২০), শফিক মিয়ার ছেলে শুক্কুর আলী ( ৩৫) ও কাউসারসহ ২৫-৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল।
হামলায় ফয়সালের মাথা ফেঁটে যায়, রমিজের আঙ্গুল কেটে যায় আর ইয়াসিনের মুখে আচড় লেগে কেটে যায়। প্রথম দফা মারপিট শেষে বিষয়টি সকালে মিমাংশা করে দেবেন বলে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোঃ জামাল হোসেন দুপক্ষকেই বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পরক্ষণেই ২৫-৩০ জনের বিশাল বহর নিয়ে এসে আবার আক্রমন চালায় ফয়সালদের উপর।
এই বিষয়ে জামাল মেম্বার বলেন, আমি বলার পরও দ্বিতীয় বার হামলা চালিয়েছে। মাহফিলটি যাতে পন্ড না হয় এবং শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকে সে জন্যই আমি উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার কথা বলেছিলাম।
এই বিষয়ে মিমের মায়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার মেয়েকে উত্যেক্ত করায় আমার ছেলে তাদেরকে জিজ্ঞেস করায় তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি থামানোর জন্য। আমি ও আমার ছেলেও আহত হয়েছি।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ মার্চ বুধবার রাত ৯ টার দিকে। তবে এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.