শ্রমিকের নূন্যতম ১৮ হাজার ন্যায্য মজুরি করার দাবীতে শ্রমিক নেতাদের আলোচনা সভা

জাতীয়

অনলাইন ডেস্ক :

‘স্বাধীনতার ৪৯ বছরে এসে দেশের উন্নয়নের নানা কথা প্রতিদিন প্রচারিত হচ্ছে। অথচ এই উন্নয়ন আর অগ্রগতির নিয়ামক শক্তি শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি এখনও নিশ্চিত হয়নি। এটা আর কবে হবে?’ প্রশ্ন শ্রমিক নেতাদের।


শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, ১০২টি প্রাতিষ্ঠানিক শিল্পখাতের অন্তত ৬২টিতে ঘোষিত মজুরি কাঠামো নেই। রফতানি আয়ের প্রধান খাতের গার্মেন্টস শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা দাবি করছে। এই দাবির অর্ধেক বেতনও তাদের দেয়া হয়নি। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে মজুরির কোনো নীতিও নেই। শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক শ্রম আইনের দাবি উপেক্ষিত। যতটুকু আইন আছে তারও কার্যকারিতা নেই। শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতির জন্য নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র তাও প্রদান করা হয় না। কাজ করতে এসে প্রতিবছর হাজার হাজার শ্রমিক মৃত্যুবরণ করে কিন্তু তাদের কর্মক্ষেত্রে জীবনের নিরাপত্তা নেই, কর্মক্ষেত্রে নিহত-আহত হলে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা আর পুনর্বাসনের দাবি উপেক্ষিত। যেন শ্রমিকদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘শ্রমিকরা দেশের শিল্প বা কারখানা বাঁচিয়ে রাখতে সংগ্রাম করে জীবন দিচ্ছে। তারা তাদের সব জীবনীশক্তি ক্ষয় করে উৎপানের চাকাকে সচল রাখছে। উন্নয়নের গতিকে ধরে রাখছে কিন্তু তারা মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারছে না। তাদের থাকার ঘর নেই, তিনবেলা মানসম্মত খাবার জোটে না, তাদের রেশনের দাবি উপেক্ষিত। চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল নেই। তাদের সন্তানের লেখাপড়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।’

শ্রমিক ফ্রন্ট ঢাকা নগর কমিটির সভাপতি জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রমিকনেতা রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি শ্রমিকনেতা সাইফুজ্জামান বাদশা, শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.