ঢাকার দুই সিটিতে ভোট পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে -প্রধান নির্বাচন কমিশনার

জাতীয়

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট :
অবশেষে পিছিয়ে গেলো ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ভোটগ্রহণ হবে ১ ফেব্রুয়ারি। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে, ২০২০ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পূর্বনির্ধারিত সূচিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। শনিবার ইসির বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা এই তথ্য জানান।

সিইসি বলেন, ভোটের তারিখ নিয়ে একটি জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম। ক্যালেন্ডারে ২৯ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন নির্ধারিত আছে। এটি ঐচ্ছিকপূজা। ৩০ জানুয়ারি পূজা নেই, সেই কারণে ভোটের দিন নির্ধারণ করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তী পরিবেশ পরিস্থিতি আপনারা জানেন। সেটি মাথায় রেখে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে যেন আঘাত না লাগে, তা বিবেচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি ১ ফেব্রুয়ারী পরিক্ষার তারিখ পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারী নির্ধারণ করতে রাজি হয়েছেন।  এ জন্য আমরা মুক্ত দিন হিসেবে ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটির ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও সরস্বতী পূজা আগামী ৩০ জানুয়ারি। পূজা ও নির্বাচনের সময় সমন্বয় করতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে, ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তফসিল অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এরপর থেকে সরস্বতী পূজার কারণে ওই তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। এছাড়া, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনেও বসেন শিক্ষার্থীরা। রাজনৈতিক দল ও ঢাকার দুই সিটির প্রার্থীরাও ভোট পেছানোর দাবি তোলেন।

এদিকে, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভোট পেছানোর ক্ষেত্রে সরকার বা আওয়ামী লীগের কোনও আপত্তি নেই বলেও জানিয়ে দেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার জরুরি বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ১ ফেব্রুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.