যশোর মণিরামপুরে পাাঁচাকড়ি নমঃশূদ্র পাড়া সর্বজনীন মৎস্য ঘেরের দীর্ঘ দিনের জটিলতার সমাধান

অন্যান্য

এইচ এম বাবুল আক্তার :
মণিরামপুর উপজেলার ১৬ নং নেহালপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পাঁচাকড়ি নমশূদ্রপাড়া নদীর পশ্চিম পার্শ্বের ২৪৫ নং দাগের বিল কপালিয়ার পাঁচাকড়ি মৌজার তিন বছর মেয়াদী ২০১৬ সাল হইতে ২০১৯ সাল পর্যান্ত ১১০ বিঘা একটি ঘের পবিত্র বিশ্বাসের নিকট সাদা জমি নয় হাজার টাকা বিঘা ও খাল ভেড়ীর জমি বিশ হাজার টাকা বিঘা প্রতি বাৎসরিক হরে জমির হারি হিসাবে চুক্তি ভিত্তি¡ক দেওয়া হয়েছিলো,
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, পবিত্র বিশ্বাস তিন বৎরের চুক্তিতে জোরপূর্বক আরো দুই বৎসর বেশি ঘের ব্যবসা করতে থাকে। এবং জমির মালিক গন কে ঠিক মত হারির টাকা না দিতে থাকলে। জমির মালিক গন এক হয়ে নতুন চুক্তিতে সমবায়ের নিকট হারি দিবে বলে সিদ্ধান্ত নেন। তখন পবিত্র বিশ্বাস বলে আমি দির্ঘ্য দিন যাবৎ এই ঘের হারি নিয়ে আসছি আমি এই ঘের করব। বলে জমির মালিক দের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি ধামকি ও বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীত দিতে থাকে। জমির মালিক গন নিরুপয় হয়ে স্থানীয়দের নিয়ে মিমাংশা করার জন্য দফায় দফায় সালিশে ব্যর্থ হলে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান এম এম ফারুখ হুসাইনের কাছে শরণাপন্ন হয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান ফারুক হুসাইন জমির মালিক গনের কাছে অনুরোধ করেন যে, আগামী এক বছরের জন্য অগ্রিম হারির টাকা পরিশোধ করার নিমিত্তে। ঘের পবিত্র বিশ্বাস কে দেওয়া যায় কি না , অতপর জমির মালিক গন জানায় তারা পবিত্র বিশ্বাস কে নয় চেয়ারম্যন মহদয়কে উক্ত শর্তে ঘের দিতে রাজি। সর্বশেষ আলোচনায় চেয়ারম্যান মহদয় পবিত্র বিশ্বাসের নিকট থেকে ১লা বৈশাখ টাকা নিয়ে ৫ই বৈশাখ জমির অগ্রিম হারি পরিশোধ করার সম্মতি জ্ঞপন করেন। চেয়ারম্যান মহদয়কে যথাযথ সম্মান দেখিয়ে ৫ই বৈশাখ অগ্রিম হারি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় জমির মালিক গন আগামী এক বছরের জন্য ঘের দিতে সম্মাতি জ্ঞপন করেন। কিন্ত অদ্য ৫ই বৈশাখ পূর্ববর্তী মিটিং এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক চেয়ারম্যান মহদয় জমির মালিক গনকে- জমির হারি নেওয়ার জন্য হাজির হতে বলেন। কিন্ত পবিত্র বিশ্বাস জমির অগ্রিম হারি দিতে ব্যর্থ হয়। চেয়ারম্যান মহদয় অনেক অনুরোধ করার পরেও যখন পবিত্র বিশ্বাস অগ্রিম হারি দিতে পারবে না বলে জানায়। তখন ২য় শর্ত অনুযায়ী চেয়ারম্যান সাহেব অদ্য ৫ইং বৈশাখ থেকে। ঘের পবিত্র বিশ্বাসের আওতায় থাকবেনা বলে ঘোষোনা করেন।এবং অদ্য তারিখ থেকেই জমির মালিকগন সদস্যের মাধ্যেমে সমবায় ভিত্তিতে ঘের পরিচালনা করবে বলে সিদ্ধান্তে আসেন। তখন পবিত্র বিশ্বাস
যশোর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । পুলিশ সুপার মহদয় পবিত্র বিশ্বাসের অভিযোগের ভিত্তিতে। সার্কেল অফিসার মনিরামপুর এর কার্যালয়ে উভায় পক্ষের উপস্থিতিতে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় যে। মিটিং এর একপাশে সমবায়ের পক্ষের লোক থাকবে,অন্য পাশে পবিত্র বিশ্বাসের লোক থাকবে। যারা সমবাযের লোক তারা জমির পরিমান উল্লেখ করে রেজিষ্টারে স্বাক্ষর করবে। অন্য দিকে যারা পবিত্র বিশ্বাসের লোক। তারা পবিত্র বিশ্বাসের রেজিস্টারে জমির পরিমান উল্লেখ করে স্বাক্ষর করবে। যে পক্ষের লোক বেশি হবে তারাইঘের পরিচালনা করবে বলে উল্লেখ করেন। উল্লেখিত কাজ নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্য আতিকুজ্জামান কে উপস্থিত থেকে সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রদান করেন। নির্দেশ অনুযায়ী ২৯/০৪/২২ সকাল ১০টায় টেকারঘাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কক্ষে পবিত্র বিশ্বাসের লোক ও সমবায়ের লোকেদের নিয়ে চেয়ারম্যান এম এম ফারুক হুসাইনের উপস্থিতিতে ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আশালতা কে মিটিং এর সভপতি করে সভা পরিচালনা করেন। এসময় জমির পরিমান উল্লেখ করে রেজিষ্টারে ১০৩ জন জমির মালিক উপস্থিত হয়ে সমবায়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। অপর দিকে পবিত্র বিশ্বাসের পক্ষে কোন স্বাক্ষরিত না হওয়ায়। সমবায়ের পক্ষে ঘের পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত হয়।
নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্য আতিকুজ্জামান বলেন, যে সমবায়ের প্রায় ১০০% লোক উপস্থিত এবং পবিত্র বিশ্বাসের পক্ষে কোন লোক উপস্থিত না হওয়ায়।
সমবায়ের ভিত্তিতে ঘের পরিচালনায় কোন বাধা রইল না। তিনি আরো পরামর্শ দিয়ে বলেন সকল সমস্যা সার্কেল অফিসার স্যার বরাবার দাখিল করবেন। যাতে পরবর্তীতে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়ার কোন বাধা না থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.