ভোলায় স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগ, আদালতে মামলা করাতেই প্রাণনাশের হুমকি

অপরাধ

এম এন আলম :
ভোলা সদরের বাপ্তা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মুসাকান্দি মুন্সিবাড়ির মোঃ আলমগীর মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম সন্তান মোঃ বাচ্চুর সাথে, ভোলা পৌরসভার পৌর চরজংলা ৯ নং ওয়ার্ডের আলী সরদার বাড়ীর মোঃ সেলিম মিয়ার মেয়ে মোছাম্মদ আচিয়া বেগমের সাথে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক গত পহেলা জানুয়ারি ২০১৯ ইং সালে বিবাহ হয়।
আচিয়ার বাবা-মার অভিযোগ বিবাহের সময় জামাই বাচ্চুকে নগদ ৫০,০০০/ হাজার টাকা এবং এক ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের হার, এবং বাসার ব্যবহৃত সকল জিনিসপত্র দেওয়া হয়।
কিন্তু আমাদের দুঃখের বিষয় হল আমার মেয়েকে তুলে নেওয়ার কয়েকদিনের মাথায় সে আমার মেয়েকে নির্যাতন মারধর শুরু করে দেয়। বিবাহর পর থেকে গত দুই বছরে অন্ততপক্ষে ৮ বার আমার মেয়েকে নির্যাতনের দায়ে আমরা পারিবারিকভাবে বিচার করি।
প্রত্যেকবারই বিচারের পর বাচ্চু তার ভুল স্বীকার করে ওয়াদা করে বলে যে আর নির্যাতন এবং অতিরিক্ত কোন যৌতুক দাবি করবো না বলে নিয়ে তাহার পরেও আমার মেয়েকে আবারও নির্যাতন করে।
গত প্রায় ৮ মাস আগে ঢাকাতে আমার মেয়েকে রাত্রিবেলা মারধর করে বাসার বাইরে বের করে দেয়, তখন পাশের বাসার মহিলারা আমার মেয়েকে তাদের বাসায় আশ্রয় দেয়।
বাচ্চুর একটি বোন আছে ওই বোনের ব্যবহার খারাপ বিধায় তার স্বামী চলে গেছে, ওই বোনের কথামতো আমার মেয়েকে সব সময় নির্যাতন করে। এবং বাচ্চুর ওই বোন আমার মেয়েকে বলে আমি যেমন আমার স্বামীর ভাত খেতে পারিনি তোকেও আমি দেখে নিব কিভাবে আমার ভাইয়ের ভাত খাস। বাচ্চু তার বোনের কথা মত আমার মেয়েকে সব সময় নির্যাতন করছে করে। তাই আমার মেয়েকে নির্যাতনের হাত হইতে রক্ষা করার জন্য গত-০৯/০৫/২০২১ তারিখ ভোলার বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালতের কাছে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করি। মামলা নং-৩১২/২১ উক্ত মামলা করাতে এখন আমার মেয়েকে মোবাইলে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
বাচ্চু বলে আমার মেয়েকে জীবনের চরম শিক্ষা দিয়ে দিবে। তাই মহামান্য আদালত ও দেশবাসীর কাছে আমি বিচার রেখে গেলাম। যাহাতে এইরকম খারাপ চরিত্রের কোন পুরুষ আর কোন মেয়েকে তার জীবন সংসার ধ্বংস করতে না পারে মহামান্য আদালত যাতে সেই ব্যবস্থাই নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.