বগুড়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে বিশেষ ভূমিকা রাখায় পুলিশ প্রশাসনের ১১ জনকে পুরস্কৃত

অন্যান্য

মতিন খন্দকার টিটু :
নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে ভূমিকা রাখায় বগুড়ায় ১১জনকে পুরস্কৃত করেছে জেলা পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতিসংঘের জনসংখ্যা ফান্ড (ইউএনএফপিএ) এর সহায়তায় এবং জেলা পুলিশ বগুড়ার আয়োজনে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। পুরুস্কার দেয়ার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ বগুড়ার পক্ষ থেকে ১২টি থানায় নারী ও শিশু সহায়তা হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে গত ৮ মাসের বিভিন্ন সেবা প্রদানের পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়। পুরুস্কার পাওয়া ১১জনের মধ্যে ৬জন স্বেচ্ছাসেবী এবং ৫জন জেলা পুলিশ কর্মকর্তা। ৫জন পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর) তাপস কুমার পাল, গাবতলী সার্কেলের সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন, নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবির, নারী হেল্প ডেস্ক কর্মকর্তা সদর থানার রোজিনা খাতুন এবং কাহালু থানার গুলবাহার খাতুন। অপরদিকে ৬জন স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে পুষ্পা খাতুন, মিতু খাতুন, জামিয়াল মুজাহিদ, মেহেদী হাসান, আতিকুর রহমান এবং হাবিবুর রহমান। পুরস্কার বিতরণের আগে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) আলী হায়দার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) আব্দুর রশিদ, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শহীদুল ইসলাম, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এস এম কাওসার, ডা. শামস আরা বেগম, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ডালিয়া নাসরিন রিক্তা, মাহফুজা ইসলাম, পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদত আলম ঝুনু এবং এড.ফেরদৌসি রুনা। বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, বগুড়ার সকল থানায় নারী ও শিশু হেল্প ডেস্ক রয়েছে যেখানে এএসআই/এসআই পদমর্যাদার নারী কর্মকর্তারা কাজ করছেন। ২০২০ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত ১২ থানায় যৌন পীড়নের ২৮১টি, শারীরিক পীড়নের ৬৪৮টি, যৌতুক সংক্রান্ত ২১২টি, মানব পাচারের ৬৭টি, এসিড নিক্ষেপের ৩ টি, মানসিক নির্যাতনের ১৫২১টি এবং অন্যান্য ১৯১৯টি সহ মোট ৪৬৫১টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে। এর মধ্যে কাউন্সিলিং সেবা দেয়া হয়েছে ২৯৯৩ জনকে, মামলা দায়ের করা হয়েছে ২০৯টি, রেফারেল সেবা দেয়া হয়েছে ৩১৯টি, জিডি করা হয়েছে ৩০৯টি, অন্যান্যভাবে নিষ্পত্তি করা হয়েছে বাকি অভিযোগগুলো। অনুষ্ঠানে শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, নন্দীগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আহমেদ রাজিউর রহমান, সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির, শিবগঞ্জ থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান, কাহালু থানার ওসি জিয়া লতীফুল, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আছলাম আলীসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস কুমার পাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.