বগুড়ায় অবৈধ ভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনে রাস্তা ও ফসলি জমি হুমকির মুখে

অপরাধ

কাহালু(বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়া জেলা কাহালু উপজেলার বীরকেদার ও কালাই ইউনিয়ানের কালিমালা, জাঙ্গালপাড়া, কালাই ফকিরপাড়া, কালাই খাঁপাড়া, কালাই ঘোনপাড়া, কালাই শিবতলা, পাইকপাড়া, থিউটপাড়া, গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত নাগর নদী থেকে অবৈধ ভাবে ভূগর্ভস্থ ও নদীতে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রবেশ করার এক মাত্র রাস্তা দেবে ভেংগে হুমকির মুখে পড়েছে। সরকারী ভাবে ভূগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও অত্র এলাকার প্রভাবশালী বেশ কয়েক জন বালু ব্যাবসায়ী অবৈধ ভাবে অবাধে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে ভূমিদ‍স্যু সাইফুল ইসলাম (হাসু), আপেল, জাইদুল। এব্যাপারে এলাকাবাসি মাননীয় জেলা প্রশাসক বগুড়া, পুলিশ সুপার বগুড়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাহালু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাহালু ও থানা পুলিশের নিকট লিখিত অভিয়োগ দিয়েও কোন কাজ হয়নি। অভিযোগ ও সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে, বগুড়া কাহালু উপজেলার বীরকেদার ও কালাই ইউনিয়নের কাশেম মালা, জঙ্গলপাড়া, কালাই ফকিরপাড়া, কালাই খাঁপাড়া, কালাই ঘোনপাড়া, কালাই শিবতলা, পাইকপাড়া, থিয়টপাড়া গ্রামের পাশে দিয়ে বয়ে যাওয়া নাগর নদী হতে স্থানীয় কিছু বালু ব্যাবসায়ী বেশ কিছুদিন হলে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে ভূগর্ভস্থ ও নদী থেকে বালু উত্তোল করছে। এর ফলে নদীর ধারের জমিগুলো ভেঙ্গে দেবে গেছে। সরকারী অর্থায়নে নির্মিত একটি ব্রীজ হুমকির মুখে পড়েছে। ভুক্তভুগী এলাকাবাসী জানায় অচিরেই অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে যে কোন সময় আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে। বালু উত্তোলনের ফলে বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় পরিবেশগত ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি ফসলি জমিসহ আশপাশের গ্রাম, রাস্তা হুমকির মুখে পড়লেও অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসির অভিয়োগ ভূমি দস্যুরা প্রকাশ্যে নাগর নদী থেকে শ্যালো মেশিন বসিয়ে ড্রেজিং এর মাধ্যমে কয়েক মাস যাবৎ অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এবং ট্রাক যোগে এসব বালু অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় কৃষকের বপনকৃত ফসল নষ্ট করছে। প্রায় শতাধিক কৃষকের কিছু কিছু আবাদি জমি সম্পর্ন ভেংগে দেবে গেছে,কোন জমির আংশিক ভেংগে গেছে। এব্যাপারে ভুক্তভুগি কৃষকরা নিজেদের শেষ সম্বল আবাদি জমি টুকু বালু উত্তোলনকারী ভুমি দস্যুদের হাত থেকে রক্ষাকরার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। এ ব্যাপারে কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুর রহমান জানান বীরকেদার ও কালাই ইউনিয়নে নাগর নদী থেকে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে শুনেছি তবে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.