বগুড়ার শেরপুরে ছেলের লাঠির আঘাতে মায়ের মাথা রক্তাক্ত

অপরাধ

বগুড়া প্রতিনিধি :
বগুড়া শেরপুর সীমাবাড়ী ইউনিয়ন নিশিন্দারা উওরপাড়া ছেলের লাঠির আঘাতে বৃদ্ধ মা মোছাঃ জমিরুন খাতুন(৭৫) মাথা রক্তাক্ত। সরেজমিনে জানা যায়- আঃ রশিদের বড় ছেলে মোঃ জামাল হোসেন তাঁর লাগানো পেঁপে চারা গাছ কে বা কাহারা ভেংঙ্গে চলে যায় কিন্তুু সন্দেহে জামালের ছোট ভাই হাফিজুরে ছেলেকে সন্দেহ করে এবং এই পেঁপে চারা কে কেন্দ্র করে জামাল ভাতিজা অন্তরকে বাড়ীতে এসে গলাচেঁপে ধরে এবং এলোপাতাড়ি মারধর করলে জামালের বৃদ্ধ মা জমিরুন বেগম মারপিট ঠেকাতে আসলে জামাল ও ছেলে নাছিম, বৃদ্ধ জমিরুন বেগমের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন এবং ঘটনা স্হলে বৃদ্ধ মহিলার মাথা ফেঁটে রক্ত বাহির হয়। ঘটনা তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, বৃদ্ধ মহিলা জমিরুনকে পূর্বেও তাঁর বড় ছেলের বউ ভাতের সাথে বিষ মিশায়ে খাওয়ানো চেষ্টা করেছিল। বৃদ্ধ মহিলা মোছাঃ জমিরুন খাতুন স্বামীঃ আঃ রশিদ দুইজনই সাংবাদিকদের প্রতিবেদনে বলেন আমার তিন ছেলে আমাদের দুই ছেলে ভাত কাপুড় কোন কিছুই দেয় না। আমরা দুই জন বৃদ্ধ বয়সে মেঝো ছেলে হাফিজুর আমাদের খাবার, বস্ত, চিকিৎসা দেন। আমার বড় ছেলে মোঃ জামাল হোসেনের বউ পূর্বেও আমার সহধর্মিণী মোছাঃ জমিরুন বেগমকে ভাতের সাথে বিষ মিশায়ে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমি আমার কুলংঙ্গার ছেলেদের আইনেয় আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবি করি। বগুরা শেরপুর সীমাবাড়ী ইউনিয়নে নিশিন্দারা গ্রামে ছেলের লাঠির আঘাতে বৃদ্ধ মায়ের মাথা রক্তাক্ত এই মারপিটে ঘটনায় এলাকায় এক আলোড়ন চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়। এই বিষয়ে বগুড়া শেরপুর সীমাবাড়ী ইউনিয়ন মেম্বার শ্রী বাবুপাল মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ছেলের লাঠির আঘাতে বৃদ্ধ মহিলা মাথা রক্তাক্ত ঘটনা শুনে, আমি ঘটনা স্হলে গিয়ে বিষরটি জানতে পারি এবং নিশিন্দারা উওরপাড়া গ্রামে মাতাব্বর মোঃ ফরিদুল ইসলামকে বিষয়টি জানাই। এই মারাপিটে ঘটনা শেরপুর থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটা অভিযোগ দায়ের করেছেন আঃ রশিদের মেঝো ছেলে মোঃ হাফিজুর ইসলাম। এই বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, মারপিটের বিষয় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি সুষ্ঠু তদন্ত করে আসামীদের আইনেয় আওতায় এনে কঠোর শাস্তি ব্যবস্হা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.