বগুড়া কাহালু উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস এখন যেন যত অনিয়ম আর ঘুষ বাণিজ্যের আখড়া

অপরাধ

অনিয়মে সাব-রেজিস্টার্ড নিজেকে ধোয়া তুলসী পাতা দাবী,সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ

 

এম শাহীন আলম :
বাহির থেকে সেবা গ্রহিতাদের কাছ থেকে শুনা যাচ্ছিল বগুড়া কাহালু সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে চরম অনিয়ম আর গ্রাহকদের হয়রানির অভিযোগ,তা শুনে অফিস আদেশ নিয়ে সেবা গ্রহিতার বেশে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে প্রবেশ করলো জাতীয় সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা’র তিন জনের একটি প্রতিনিধি দল,মূহুর্তের মধ্যে প্রতিনিধি দলের গোপন ক্যামেরায় মাএ পাঁচ মিনিটের অনুসন্ধানে ধরা পড়লো,একজন নকল নবিস অফিসে তার নিজ চেয়ারে বসে প্রকাশ্যে ধুমপান করার দৃশ্য,দ্বিতীয় চিএে দেখা গেল একজন মহোরার একটি দলিলের নকল উঠানো বাবদ নিচ্ছে নগদ ২২ শত টাকার দৃশ্য এবং আরো একটি টেবিলে অফিস খরচের নামে ৫ শত টাকা, ২ শত টাকা সহ পাশে আরেকটি টেবিলে দেখা গেল সেবা গ্রহিতাদের সাথে দলিলের কাগজপত্র বিষয়ে ঘুষ বাণিজ্যে নিয়ে দর কষাকষি সহ চরম বাকবিন্ডতা সুর হাঙ্গামা,বিতরে গ্লাস সম্বলিত একটি কক্ষে গিয়ে দেখা গেল সাব-রেজিস্টার্ড সাহেবের সহকারী একজন মহিলার টেবিলে দলিল করা নিয়ে দুইজন গ্রাহকের সাথে দর কষাকষি মতো এমন দৃশ্য, সরেজমিনে গোপন ক্যামেরা বন্দী করে যা দেখা গেল তা রীতিমতো ঘুষের টাকা ছাড়া যেন এই অফিসটিতে সরকারী নিয়মে কারো কোন কাজই হচ্ছে না,সরেজমিনে মাএ পাঁচ মিনিটের অনুসন্ধানে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের ঘুষ বাণিজ্যের চিএটিতে মনে হলো এখানে ঘুষের টাকা ছাড়া কাজই হয় না,

সরেজমিনে অনুসন্ধান কালে অফিসে সাব-রেজিস্ট্রার্ডকে পাওয়া যায়নি, যখন প্রকাশ পেল অপরাধ বিচিত্রা পএিকার তিনজন প্রতিনিধির পরিচয় সহ পএিকার কপি সংবাদ কর্মীদের ভিজিটিং কার্ড তখন তা শুনে প্রকাশ্যে ধুমপান করা নকল নবিস সাংবাদিকদের উপর চওড়া হয়ে তেড়ে এসে বলে আমি ডির্গ্রী পাশ ,আমি সব আইন কানুন বুঝি,আমি সিগারেট খাই তাতে আপনাদের সমস্যা কি, তখন পাশে থাকা টিসি মহোরার তাকে দমক দিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করে, এবং তাৎক্ষণিক সাব-রেজিস্ট্রার্ড সাহেবের সহকারী একজন মহিলা তার কক্ষ থেকে বের হয়ে এসে সাংবাদিকদের আপ্যায়ন সহ যে কোন মূল্যে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে,তাৎক্ষণিক তিনি তার সাব-রেজিস্ট্রেশন অফিসারকে সাংবাদিকদের বিষয়ে অবগত করেন,তখন সাব-রেজিস্ট্রার্ড অপরাধ বিচিত্রা’র বিশেষ প্রতিনিধি এম শাহীন আলম এর সাথে মুঠো ফোনে বলেন, আমি বিসিএস দিয়ে চাকুরীতে যোগদান করেছি, আমি আমার অফিসে থাকাকালীন কোন অনিয়ম হয় না,আমি এবং আমার অফিস দূর্নীতি মুক্ত এবং অনিয়ম বন্ধে আমি যথা সাধ্য চেষ্টা করি, আজ আমি একটা কাজে অফিসের বাহিরে আছি কখন কি হলো না হলো আমি তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিবো, তাৎক্ষণিক অনিয়মের ভিডিও চিএের কথা জানালে তিনি জানান, আমি এখন অফিসে নেই, ঠিক আছে আপনি আমার সাথে অন্য একদিন এই বিষয়ে সরাসরি দেখা করেন,তিনি জানান তিনি কোন অনিয়ম করেন না,তিনি একেবারে ধোয়া তুলসী পাতা,এছাড়া তার অফিসেও কোন অনিয়ম চলে না,তার এমন বক্তব্যে তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয় অপরাধ বিচিত্রার সাংবাদিকদের দলটি, বর্তমানেও অনুসন্ধান চলছে,পরবর্তী অনুসন্ধানে সংরক্ষিত সেবা গ্রহিতাদের বক্তব্য সহ পরের সংখ্যায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হবে,

Leave a Reply

Your email address will not be published.