বগুড়ায় ধর্ষণের চেষ্টাকারী রসূল ও সজলকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

অপরাধ

বগুড়া প্রতিনিধি :
আমার স্বামী বগুড়া সদরের এসওএস শিশু পল্লীতে নাইট গার্ডের চাকুরী করে। সে সুযোগে রাসূল ও তার সহযোগী সজল আমার বাড়িতে ঢুকে আমাকে কূ প্রস্তাব দেয়, আমি তাদের কথায় রাজি না হলে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এতেও ব্যর্থ হয়ে পরিশেষে আমাকে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে। রবিবার (০৬ মার্চ) বেলা ১২টায় বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদর উপজেলার বারপুর স্কুলপাড়া গ্রামের ওমর ফারুকের স্ত্রী মাকছুদা বেগম।

তিনি বলেন গত ০৬/১০/২১ তারিখ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একই এলাকার চিহ্নিত দুই ব্যক্তি আব্দুল মোমিনের পুত্র রসুল (২২) ও পুলিশের সোর্স নামে পরিচিত হাবিবের পুত্র সাফায়াত সজল (৩৬)। তারা আমার বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে কূ প্রস্তাব দেয়। আমি তাদের কথায় রাজি না হলে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তাদের উদ্দেশ্য হাসিল না হলে তারা আমাকে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে আসছে।

তিনি আরও বলেন আমি একজন গৃহিনী ও এসওএস এর প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াইয়া স্বামীর রোজগারের পাশাপাশি সংসারে আর্থিক সহযোগীতা করে থাকি। পক্ষান্তরে আসামীরা এক দল লুচ্চা, নারী নির্যাতনকারী, ধর্ষণকারী। তারা ঘটনার দিন সূ-কৌশলে আমার বাড়ীত প্রবেশ করে ১নং আসামী রাসূল আমার গলায় বার্মিজ চাকু ধরে এবং ২নং আসামী সজল বলে আমি পুলিশের সোর্স ও সাংবাদিক, বেশি কথা বললে পুলিশ দ্বারা মিথ্যা মামলা দিয়া জেল খাটাবো বলিয়া হুমকি দেয়। তখন ১নং আসামী বলে যে, ইতি পূর্বে তোর গোসলের সময়কার নগ্ন দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও ধারণ করিয়া রাখিয়াছি, আমাদের সাথে আপোষে সম্পর্ক করিলে কাউকে কিছু বলবনা, আর আমাদের কথা না শুনলে আমার মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিব। ঐ কথা বলার সাথে সাথে আসামীরা জোড় করে আমার পড়নের শাড়ী খুলিয়া ফেলে এবং আমাকে অর্ধ উলঙ্গ করিয়া আমার স্পর্শ কাতর জায়গায় হাত দিয়ে আমার বুকের উপর উঠে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় আমার আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের কারণে এলাকাবাসী মানববন্ধন সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু ২নং আসামী পুলিশের সোর্স নামে পরিচিত সজল এলাকার সাধারণ লোকজনদেরকে পুলিশ দিয়ে ধরে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অার্থিক ফায়দা হাসিল করে আসছে। সে কোন পত্রিকার সাংবাদিক তা এলাকার কেউ জানে না। ভূয়া সাংবাদিকের পরিচয় দেওয়ার কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ তার কাছে থেকে ও পুলিশের হয়রানী থেকে বাঁচতে চায়।

ভুক্তভোগী মাকছুদা বেগম বগুড়া সদর কোর্টে (২৫৪/২০২১) নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করার কারণে আসামীরা পুলিশের সাথে যোগ সজলে মামলাটি দূর্বল করার চেষ্টা করে আসছে। মামলাটি বর্তমানে বগুড়া ডিবিতে তদন্তধীন রয়েছে। মাকছুদা বেগম বলেন সাংবাদিক হলো সমাজের দর্পন সাংবাদিকদের মাধ্যমে অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.