প্রেমিকার সামনে অপমানের প্রতিশোধ নিতে প্রভাষক উৎপল কে হত্যার

অপরাধ

বিশেষ প্রতিবেদক :
সাভারে শিক্ষক হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জিতুকে গ্রেপ্তার করার পর জিজ্ঞাসাবাদে চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছে র‍্যাব। জিতু এলাকায় এবং স্কুলে চরম উচ্ছৃঙ্খল ও বখাটে ছিল। এছাড়া তার চাচা স্কুলের গভর্নিং বডির প্রধান। সেই প্রভাব খাটাতো জিতু।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‍্যাব কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরে র‍্যাব।

আটকের পর জিতু র‍্যাবকে জানায়, শিক্ষক উৎপলকে মারধরের ৩-৪ দিন আগে স্কুলের সামনে প্রেমিকার সাথে কথা বলছিল। হঠাৎ তার শিক্ষক উৎপল এসে তাকে ‘অপ্রীতিকর’ অবস্থায় দেখতে পেয়ে বকাঝকা করেন। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। শিক্ষক তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে জানান।

প্রেমিকার সামনে অপমানের প্রতিশোধ নিতে এবং উৎপলকে শায়েস্তা করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে জিতু। ঘটনার দিন সে বাসা থেকে স্ট্যাম্প নিয়ে যায়। দিনভর অপেক্ষা করে দুপুরে স্কুলে টিফিন চলাকালে উৎপলকে একা পেয়ে স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করে। প্রায় দুই মিনিট ধরে পেটানো হয় বলে জানায় সে। মাথায় আঘাত পেয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন উৎপল। এলাকাবাসী জানান এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে জিতুর প্রেমিকা সহ উক্ত কলেজের শিক্ষিকা তার বোন।

শিক্ষককে মারার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে বাসায় যায় জিতু। সেখান থেকে পাবনা ও পরে গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে ছিল সে। পরে র তাকে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে ‍্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.