ঢাকা সাভারে প্রশাসনকে বৃদ্ধাগুলী দেখিয়ে মোহনা টিভির সাংবাদিক তকমা লাগিয়ে অবৈধ অস্থায়ী ব্যাটারী গালাই কারখানা চালানোর অভিযোগ

অন্যান্য

যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্হানীয় জেলা-উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ

এম শাহীন আলম :
ঢাকা সাভারের আমিন বাজার এলাকায় ঢাকা – টাঙ্গাইল মহাসড়কের রাস্তার পাশে সালেপুর ভাঙ্গাব্রীজের উল্টো পাশে ইটভাটার মধ্যে অবৈধ ভ্রাম্যমানের (আদলে) অস্থায়ী কারখানায় পুরাতন ব্যাটারী গালিয়ে সিসা তৈরি করায় কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়ায় পরিবেশের চরম ক্ষতি সাধন সহ স্হানীয় এবং চলাচলকারী মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে জানা যায়,এই কারখানার কারণে ব্যাটারির অ্যাসিডের প্রকট গন্ধে স্থানীয় লোকজন ও পাশে থাকা পোশাক কারখানার শ্রমিকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে বলে স্থানীয় বসবাসকারী এলাকাবাসী জানান,

সরেজমিনে দেখা যায়, কারখানা গুলো অস্থায়ী ভাবে ইটভাটায় টিন দিয়ে চতুর পাশে প্রাচীর নির্মাণ করে উপরে ছাউনি তাবু টাঙ্গিয়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছে । কেউ পুরোনো ব্যাটারির ওপরের অংশ খুলে ব্যাটারির ভেতর থাকা পাত বের করছেন, আবার কেউবা ব্যাটারি থেকে অ্যাসিড বের করে সংরক্ষণ করছেন। চুল্লির মধ্যে কাঠ ও কয়লায় অ্যাসিড মিশ্রিত ব্যাটারির বর্জ্য সাজানোর কাজে কেউ ব্যস্ত সময় পার করছে।সরেজমিনে আরো জানা যায়, বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত পুরাতন ব্যাটারি থেকে প্লেট খোলা ও অ্যাসিড সংরক্ষণের কাজ করতেও শ্রমিকদের দেখা যায়। এভাবে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিসা তৈরি করা হয় বলে জানা যায়। সরেজমিনে কর্তব্যরত শ্রমিকরা জানান প্রতিদিন রাত নয়টার পর ব্যাটারী গালিয়ে সিসা তৈরীর মূল কাজ শুরু হয়, দিনে শুধু মাত্র কাজের জোগানের সব কিছু প্রস্তুত করে রাখা হয়,রাতেই মূল কাজ শুরু হয়,কারখানায় কর্তব্যরত উপস্থিত শ্রমিকরা সাংবাদিকদের জানান, স্হানীয় সকল প্রশাসন ও স্হানীয় সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেই এসব ফ্যাক্টরি চালানো হয়,আর এই ফ্যাক্টরি গুলো সকল বিষয়ে জানতে আপনারাও এখানকার স্হানীয় মোহনা টিভির সাংবাদিক জিয়া ভাই এবং আরজু ভাইদের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন কারখানার শ্রমিক সর্দার।

সরেজমিনে অনুসন্ধান কালে কারখানা গুলোর আশপাশে থাকা তৈরি পোশাক কারখানা শ্রমিকরা জানান, এই ফ্যাক্টরি গুলো আজ বেশ কয়েক মাস যাবৎ চলছে। পাশের সিসা কারখানার ধোঁয়া বাতাসের সাথে গিয়ে অনেকেরই শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হচ্ছে। এই কারণে অনেক শ্রমিকই অসুস্থতাবোধ করে নিয়মিত ডিউটি করতে তাদের সমস্যার কথা জানান, এই সব পরিবেশ দূষণকারী কারখানা দ্রুত বন্ধের দাবি জানান গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা সহ স্হানীয় বসবাসরত মানুষ। স্হানীয় বসবাসরত বেশ কয়েক জন জানান,এই ব্যাটারী গালিয়ে সিসা তৈরী করার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পরিবেশ সহ গৃহপালিত পশু গুলো,

এই অবৈধ ব্যাটারী গালাই কারখানার বিষয়ে জানতে চেয়ে মোবাইল ফোনে কল দিলে
মোহনা টিভির সাংবাদিক পরিচয়দানকারী আরজু নিজেকে এই অবৈধ ব্যাটারী ফ্যাক্টরির মালিক বলে দাবী করে বলেন, এই ফ্যাক্টরি আমার, প্রতিদিন আমার কাছ থেকে ৫০০-১০০০/- করে কমপক্ষে ২০০ সাংবাদিককে তিনি টাকা দিয়ে মাসিক ম্যানেজ করে এই কারখানা চালাচ্ছেন,এই বিষয়ে কেন তাকে ফোন করা হলো বলে জানতে চেয়ে তিনি মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ এই বিষয়ে আর কথা বললে ক্যাডার স্টাইলে বলেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দমকি দিতে থাকেন,

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, এসব ফ্যাক্টরি গুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং সিসা কারখানার নির্গত ধোঁয়ার কারণে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।
এই বিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাইমুল হুদা তার মন্তব্যে বলেন, ব্যাটারির বর্জ্য পুড়িয়ে সিসা তৈরি করলে তা আশপাশে থাকা মানুষের শরীরে পয়জনিং রক্তকণিকা ও মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতি করা সৃষ্টি করে। এর ফলে মানসিক বিকৃতি, রক্তশূন্যতা ও মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধন হতে পারে।

সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাজহারুল ইসলাম এর সাথে এই অবৈধ ব্যাটারী গালাই সিসা ফ্যাক্টরির বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি আমিন বাজার(সার্কেল) এসিল্যান্ডের সাথে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে কথা বলার পরামর্শ দেন,

আমিন বাজার (সার্কেল)এসিল্যান্ড মোঃ জুলহাস হোসেন সৌরভ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি একবার ঐ অবৈধ ব্যাটারী গালাই সিসা ফ্যাক্টরি গুলোতে গিয়েছিলাম,তাদের সর্তক করে আসছি, তিনি আরো বলেন এটা তো শুধু আমার কাজ না,এটা পরিবেশ দপ্তরের কাজ ওনাদের সাথেও আপনি কথা বলেন,পরিবেশ অধিদপ্তর ডাকলে আমি আবারও যাবো,আমি আমার অফিসিয়াল কাজে খুব ব্যস্ত আছি,তিনি বিভিন্ন প্রোগ্রাম/কাজের অজুহাত দেখিয়ে বলেন, কিছুদিনের মধ্যে অভিযান হবে,তার বক্তব্যে সুস্পষ্টে বুঝা যায়,তিনি যখন অভিযানে গিয়েছিলেন তখন কোন ব্যবস্থা নেননি পুনরায় তিনি আবার অভিযানে যাবেন বলে গণমাধ্যমকে আশ্বস্ত করেন,তার বক্তব্যে কালক্ষেপণ সহ যথেষ্ট রহস্যজনক মনে হয়,

সাংবাদিক নামধারী আরজু’র পারিবারিক,সামাজিক অবস্থান সাংবাদিকতার আড়ালে সকল ঘটনার মূল ঘটনা সহ অবৈধ আয়ের উৎসে সাভার ব্যাংক কলোনীতে বাড়ী নির্মাণ,একাধিক জমি ক্রয়,প্রাইভেটকার ম্যান্টেনেন্স খরচের উৎস,সাংবাদিক হিসেবে বেতন ভাতা অবস্থা সহ বিস্তারিত ঘটনা প্রবাহ নিয়ে ধারাবাহিক দৈনিক বাংলা খবর এবং অপরাধ বিচিত্রা’য় চোখ রাখুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.