ঢাকা আশুলিয়ায় বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ টিকটকার যুবকের বিরুদ্ধে

অপরাধ

বিশেষ প্রতিবেদক :
এক সন্তানের জননী ডিভোর্সী নারীর সঙ্গে আঠারো বছর বয়সী এক কিশোরের একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন ভাদাইল সাধুমার্কেট এলাকায়। বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি ও প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী হলেন গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর থানার মোঃ ইব্রাহিম (ভট্টু) চা দোকানির মেয়ে ইলমা বেগম (২৫)

অভিযুক্ত কিশোর হলেন বরিশাল জেলার মোঃ আজিজ দর্জীর ছেলে মাহাবুব( ১৮) তারা উভয়ে স্বপরিবারে ভাদাইল সাধুমার্কেট ভাড়া বাসায় থেকে বসবাস করেন।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায় ভুক্তভোগী ইলমা বেগম দীর্ঘদিন পরিবারের সাথে ঢাকায় বসবাস করে আসছেন এবং ঢাকায় থেকে একটি বিয়েও করেছিলেন তিনি যার ৭ বছর বয়সী একটা কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু স্বামীর সাথে বনাবনি না হওয়ায় স্থানীয় শালিসির মাধ্যমে কয়েক বছর পূর্বে বিচ্ছেদ হয় তাদের ।

এরপর নিজের ও সন্তানের ভরনপোষণ যোগাতে কাজ শুরু করেন স্থানীয় একটি কৃত্রিম চুল তৈরির কারখানায় সেখানেই পরিচয় হয় ১৮ বছর বয়সী যুবক মাহাবুব টিকটকারের সাথে, পরিচয়ের পাশাপাশি শুরু হয় প্রেমের সম্পর্ক একপর্যায়ে তা গড়ায় শারীরিক সম্পর্কে। শারীরিক সম্পর্কের সময় এবং ভিডিও কলে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি ও কথোপকথনের ভিডিও উভয়ে ধারন করেছেন বলে জানা যায়, যা ইতিমধ্যে তাদের বন্ধু মহলসহ শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বলেও জানা গেছে।

সেই সাথে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তেরর পরিবারের লোকজন বিষয়টি চুপিসারে মিমাংসা ও ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ করছেন বলে জানান ভুক্তভোগীর বাবা ইব্রাহিম ( ভট্টু)। তিনি আরও বলেন আমি গরিব মানুষ আমি কি তাদের সাথে পারি, আমার মেয়ে পুলিশের কাছে গেছে এখন পুলিশ আবার আমার মেয়েক বলেছে মেম্বার আর বাড়িওয়ালার কাছে যাইতে। শুনছি পুলিশ কে নাকি তাঁরা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মাহাবুবের বাবা আজিজের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ছেলে নাবালক আমার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। কেন আপনার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ছেলে টিকটকে অনেক আগায় গেছে সে অনেক জনপ্রিয় তাঁর টিকটক জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে তাঁরা কয়েকজন মিলে এরকম চক্রান্ত করছে।

অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে আশুলিয়া থানা পুলিশের এস আই সোহেল মোল্লা বলেন, ওই নারী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ঘটনার তদন্ত চলমান তাছাড়া ছেলেটি অল্প বয়সী হওয়ায় বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার কথা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.