চট্রগ্রামের সাতকানিয়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দিলেও পুলিশ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেইনি বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ

অপরাধ

বিশেষ প্রতিনিধি :
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহনী এলাকার ফকির বাড়ির জালাল উদ্দীনকে মারধর ও তার স্ত্রী নূর বেগমকে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার আবুল বশরের ছেলে রাজা মিয়া (৩০), ইমান আলী প্রকাশ নবাব মিয়া (২৮), জাফর (৩৮), অলি মেস্ত্রীর ছেলে আব্দুল গফুর (৪৮), জাফর (৪২), আবুল বশর নামের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে সাতকানিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেইনি বলে জানান ভুক্তভোগী জালাল উদ্দিন ও জামাল উদ্দিনের স্ত্রী নুর বেগম।এমনকি পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে নেবে বলে বিভিন্ন কালক্ষেপণ করছে বলেও জানান ভুক্তভোগী পরিবার।

ঘটনাটি ঘটেছে ৪ঠা নভেম্বর শুক্রবার উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহনী এলাকার ফকির পাড়ায়।

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলে এই তথ্য জানা যায়।

এঘটনায় সাতকানিয়া থানায় নুর বেগম বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন তদন্তের নামে কালক্ষেপণ করছে, ১মাস পার হলেও কোন ব্যবস্থা নেইনি বলে জানান!

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ০৪ অক্টোবর বিকাল ৪ টায় কেঁওচিয়ার তেমুহনী এলাকার রাজামিয়া একই এলাকার প্রতিবেশী মো. জালাল উদ্দীন এর স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন এবং ঝাপটে ধরে জোর পূর্বক ধস্তাধস্তি করে জোর পূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। এ সময় নুর বেগম আত্মচিৎকার শুরু করলে তার চিৎকারে শাশুড়ি চলে এলে বয়স্ক শাশুড়িকেও মারধর করে পালিয়ে যায়।

অভিযোগে আরো জানা যায়, নুর বেগমকে ধর্ষণচেষ্টার বিচার চাইতে গিয়ে তার স্বামী জালাল উদদীনকেও প্রাণে হত্যার করার উদ্দেশ্যে বেদড়ক মারধরও এবং ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরে আঘাত করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্বামী জালাল উদদীনকে সাতকানিয়া সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় পরে অবস্থা আশংকাজনক হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে কেঁওচিয়া তেমুহনী এলাকার নুর বেগম বলেন, আমার স্বামী জালাল উদদীন বিদেশ থেকে আসছে মাত্র ২-৩ মাস হচ্ছে। এর আগে থেকেই রাজা মিয়া আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল তবে আমাকে রাজি করাতে পারছিল না। কিন্তু সর্বশেষ গত ৪ অক্টোবর আছরের সময় আমি দরজার ছিটকানি না লাগিয়ে ঘুমাতে গেলে হাতে ছুরি নিয়ে আমার সর্বনাশ করে, পরে আমার শাশুড়ি দেখে ফেললে তাকেও ধাক্কা দেয়। এ খবর শুনে আমার স্বামী এলে তিনি তাদের বাড়িতে এই বিষয়ে জানতে গেলে তাকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে। আমি এ বিষয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

এদিকে নূর বেগমের স্বামী জালাল উদদীন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বউয়ের নির্যাতনের বিচার চাইতে গিয়ে আমাকেও আহত করা হলো।
এতে আমার একটি দাঁতও পড়ে যায়। আমার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় একাধিক সেলাই করা হয়। আমি প্রশাসনের নিকট এই নির্যাতনের বিচার চাই। এ বিষয়ে মুঠোফোনে এডিশনাল এসপি শিবলী নোমান এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান যে আমি নিজে সঠিক তদন্ত করে আসামিদের অ্যারেস্ট করবো বলে আশ্বাস দিয়েছে। এবং ভিকটিম নুর বেগম বলেন আসামি রাজামিয়া এসে আমার ঘরের দরজা ভেঙ্গে, জোরপূর্বক আমার শ্রীলতা হানি করে পালিয়ে যায় তাই তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুবিচার চাচ্ছেন। এ বিষয়ে সাতকানিয়া থানার তদন্ত এস আই থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সরেজমিন গিয়ে দেখেছি সেখানে মারামারি হয়েছে আর বাকি কিছু আমি জানিনা। এ বিষয়ে আসামি রাজা মিয়া কে বারবার মুঠোফোনে ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.