কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভ্যাব্য প্রার্থী হচ্ছেন যারা

রাজনীতি

বিশেষ প্রতিবেদক :
সারাদেশের ন্যায় আগামী ১৭ অক্টোবর-২০২২ অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচন।গত ২৩ আগস্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার পরপরই আলোচনা হতে থাকে কে হচ্ছে কুমিল্লা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। বেশ কয়েকজন প্রার্থী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা যায়, একাধিক ব্যাক্তিই দলীয় সমর্থন চাইবেন জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান পদের জন্য। তারা হলেন,বর্তমান প্রশাসক ও সাবেক চেয়ারম্যান ও নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার এডমিরাল (অবঃ) আবু তাহের,বর্ষীয়ান আওয়ামীলীগ নেতা মরহুম এডভোকেট আফজাল খান এর বড় ছেলে বঙ্গবন্ধু ল করেজের সাবেক জিএস ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান(সিআইপি), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, মুজিব বাহিনীর মাউন্টেন বিগ্রেড নর্থ কলাম কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখি,কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামিলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সরকার,কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামিলীগের স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যান সম্পাদক ডাঃ এ বি এম খোরশেদ আলম, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক আলহাজ্ব ওমর ফারুক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামিলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরুড়ার সাবেক ৪ বারের সংসদ সদস্য আব্দুল হাকিম এর সুযোগ্য পুত্র বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, দক্ষিন জেলা আওয়ামিলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলী আকবর সহ আরো অনেকে।
এ বিষয়ে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান গণ-মাধ্যমকে বলেন,দলীয় সমর্থন এর জন্য আবেদন করব,আশা করি দল আমাকে দলীয় সমর্থন দেবে,দলীয় সমর্থন পেলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
এ বিষয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামিলীগ এর স্বাস্থ্য জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যান সম্পাদক ডাঃ এ বি এম খোরশেদ আলম ইতিমধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থীতা ঘোষনা করেন,তিনিও দলীয় সমর্থনের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
উল্লেখ্য ২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নতুন করে জেলা পরিষদ আইন প্রণয়ন করে। এরপর জোট সরকারের আমলে এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে আলহাজ্ব ওমর ফারুক কে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে জেলা পরিষদ পরিচালনা করে। এরপর প্রথমবারের মতো স্থানীয় এ সরকারে নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর।ঐ সময় নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার এডমিরাল অবঃ আবু তাহের দক্ষিণ জেলা আওয়ামিলীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বপনকে হারিয়ে বিজয়ী হন।
আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করে থাকেন।
জেলা পরিষদ আইন-২০০০ অনুযায়ী, নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভার দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। ইতিমধ্যে পাঁচ বছর পূর্ন হওয়ায় পুনরায় সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের কে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রঙ্গাপন জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.