কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান বাহিনীর হামলায় ছাত্রলীগ যুবলীগের ১৫ নেতা কর্মি আহত

অপরাধ

কামরুল হাসান রবি :
কুমিল্লা জেলা মনোহরগঞ্জ থানার বাঁইশ গাও বাজারে গত ২৪ জুলাই শুক্রবার বিকালে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীরের সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে ৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতা কর্মিদের উপর হামলা চালায়।এসময় আলমগীর বাহিনীর অস্ত্রের আঘাতে ১৫/২০জন গুরুতর আহত হয়।আহতদের মনোহর গঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেওয়া ত্রাণের অর্থ ও চাউল আলমগীর চেয়ারম্যান কর্তৃক আত্বসাত ও স্বজন প্রীতি করে দেওয়া এবং রাস্তার উন্নয়নের নামে বরাদ্ধ টাকা আত্বসাত সহ নানা অনিয়ম দুনীতির প্রতিবাদ করায়

তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আওয়ামী লীগ যুবলীগে ও ছাত্র লীগের ১৫/২০জন নেতা কর্মির উপর লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন।সন্ত্রাসীদের হামলায় বাইশ গাও ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ছাত্র লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সহ ১০/১২জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এরা গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানাযায়,ঘটনার সময় আলমগীর বাহিনী পুর্ব পরিকল্পনামতো হঠাৎ বাজারে এসে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে দোকান পাট ভাংচুর করেন। তারা আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ শহিদ উ্ল্লার দোকানে হামলা চালায়।দোকানের সামনে থাকা মোটর সাইকেল ভাংচুর করেন।
ঘটনার সময় বাইশ গাও বাজারে রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।আলমগীরের সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান যুবদলের ক্যাডার ফারুকের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে জানাযায়। ঘটনার খবর পেয়ে মনোহর গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মেজবাহ উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এই প্রতিবেদককে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এব্যাপারে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলমগীর চেয়ারম্যান কর্তৃক অনিয়ম-দুর্নীতির এলাকায় এখন প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে শুনা যায়।তার প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে হামলা করেন। এলাকা বাসী জানায় গত ১০ বছরে বিএনপি নেতা আলমগীর চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিদের উপর হামলা, লুটতরাজ, সন্ত্রাসী, চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় প্রায় ২৮টির মামলার প্রধান আসামী হয়েছে। সে নানা অপকর্মের জন্য মনোহরগঞ্জ থানায় আলোচিত হাইব্রিড চেয়ারম্যান হয়ে এসকল মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীপক্ষকে চাপ প্রয়োগ করে তুলে নিতে বাধ্য করেন । গত ৫ বছর আগে ২৮ মামলার হুলিয়া নিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে ছিল। ছাত্র থাকা কালিন কুমিল্লায় জামাত শিবিরের ক্যাডার ছিল।পরে বিএনপিতে যোগ দিয়ে বাইশ গাও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হয়ে বিএনপির সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই এলাকায় জামাত শিবির ও বিএনপির ক্যাডারদের নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন

করে।সে তার ক্যাডারদের বলে তোমরা যে যাই করো থানা পুলিশ আমি দেখবো কোন মামলা তোমাদের বিরুদ্ধে হবে না।সে ও তার বাহিনীর লোকজন বিএনপি ও জামাতের শ্লোগান দিয়ে দলবদ্ধ ভাবে গিয়ে বাইশগাও আওয়ামী লীগের অফিসে থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনা ছবি ভাংচুর করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দয়ে।আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আবুল আয়েছ কে প্রকাশ্যে হামলা করে প্রাণ নাশের জন্য জখম করে।এভাবেই একের পর এক আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিদের মামলা হামলা দিয়ে নানা ভাবে হয়রানি করছে।অন্যদিকে তার জামাত শিবির ও বিএনপির ক্যাডার বাহিনীকে ব্যবহার করে সরকারি জমি দখল বাজারের পাশে খাল দখল করে দোকান বানিয়ে লাখ লাখ টাকা বিক্রি করে লুটিয়ে নিচ্ছে। গত ৫ বছরে সে আলাদিনের চেরাগের দৈত্যকে দিয়ে জিরো থেকে অর্ধশত কোটি টাকা মালিক হয়েছে।টিনের দুচালা ঘর থেকে বহুতলা ভবন নির্মাণ করেছে নামে বেনামে জমি কিনেছে একাধিক স্থানে । তার এসকল অবৈধ আয়ের উৎস কোথায়।সে অবৈধ ভাবে ইউপির প্রকল্প বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা বাগিয়ে নিয়েছে।
তার ক্যাডার বাহিনীরে প্রতিষ্ঠা করতে দুঃসময়ের আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিদের উপর নির্যাতন করছে।জামাত শিবির থেকে তার স্বার্থের জন্য বিএনপিতে এখন হাইব্রীড নেতা হয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে স্থানীয় মন্ত্রী মহোদয় এর পদলেহন করছে।তার অপকর্মের সঠিক তথ্য মন্ত্রী মহোদয়কে জানানো হয়না।যারা সংবাদ দেয় তাদের অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করে রাখে।এলাকা ঘুরে দেখা যায় ৯৫%শতাংশ মানুষ তার অপর্কমের কথা জানে তারা তাকে মন থেকে ঘৃনা করে।মন্ত্রী মহোদর এর নাম ভাঙ্গিয়ে এখন সে সব জায়গায় লুটপাট চালায়। তার বিরুদ্ধে দুনীতি দমন কমিশনে অচিরেই অভিযোগ যাচ্ছে।তার বৈধ আয়ের উৎস কি কোথায় থেকে সে এতো টাকার মালিক হয়েছে।সব অবৈধ সম্পদ এর খবর নিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাইব্রিডের তালিকায় আলমগীর চেয়ারম্যানের নাম

আছে। জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে আলমগীর চেয়ারম্যান আরো বেপরোয়া হয়ে লুটপাট শুরু করেছে।কারন আওয়ামী লীগে তার মতো কুখ্যাত অপরাধীর জায়গা নেই। সে জন্য তার আখের গোছাতে বে্স্ত হয়ে পরেছে।একটি বিস্হস্ত সুত্রে জানা যায় আলমগীর যে কোন সময় দেশ থেকে পালিয়ে যেতে পারে। সে জন্য সে প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানাযায়।তার ক্ষমতা চলে গেলে আওয়ামী লীগের নেতা কমিদের উপর জুলুম নিযাতনের হিসাব দিতে হবে। দলীয় হাইব্রীড অভিযানে তার নাম রয়েছে তার অবৈধ সম্পদের হিসাব দিতে হবে। গোয়েন্দা নজরধারীতে তার নাম রয়েছে বলে জানাযায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.