কান্তজিউ মন্দিরে রাস উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এডিসি (সার্বিক)

ধর্ম

মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর থেকে :
দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালী সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবকে ধারণ করতে হবে আমাদের। যুগ যুগ ধরে এই রাসমেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে পূর্ণ তীর্থ ঐতিহ্য বহন করে আসছে।
২৬ নভেম্বর রবিবার দিনাজপুর রাজদেবোত্তর এস্টেটের আয়োজনে কান্তজিউ মন্দির রাসবেদি চত্বরে ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবের ফিতা কেটে উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। দিনাজপুর রাজ দেবোত্তর এস্টেটের এজেন্ট রনজিৎ কুমার সিংহ’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অবস্) আব্দুল্লাহ আল মাসুম, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি সুনীল চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক রতন সিং, পূজা উদযাপন পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাহারোল উপজেলার এসিল্যান্ড মোঃ মাঈদুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রাজদেবোত্তর এস্টেটের সদস্য ডাঃ ডিসি রায়, বিমল চন্দ্র দাস, গোপেশ চন্দ্র রায়। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন হারুন-উর-রশিদ। রাস উৎসব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথিদের ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, পূজা-অর্চনার মধ্যে দিয়ে ২৬ নভেম্বর রবিবার থেকে মাস ব্যাপী শুরু হয়েছে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় অবস্থিত ঐতিহাসিক শ্রী শ্রী কান্তজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে মাস ব্যাপী রাস মেলা। অগ্রহায়ন মাসের পূর্ণিমায় প্রতি বছরের মতো এ বছরও পূর্ণিমা রাত্রী ১২ টা ১ মিনিটে রাঁধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ রাজ বেধিতে পূঁজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার সূচনা করা হয়। মেলায় রাঁধা-কৃষ্ণের বিগ্রহকে এক নজর দেখা এবং পাপ মোচন করে পুণ্যের আশায় বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারও নারী-পুরুষ ও ভক্তবৃন্দের আগমন ঘটেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.