আমার স্বামী পুলিশ বলেই আমাকে গুম করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ

অপরাধ

নুরুল আহমেদ রনি,কুমিল্লা থেকে :
আমার স্বামী পুলিশ বলেই আমাকে ও আমার ছেলে মেয়েকে গুম করার হুমকি দিচ্ছে, এমনটাই জানাচ্ছিলেন দেবিদ্বার উপজেলার ছোট শালঘরের মোছাঃ খাদিজা আক্তার(২৮)পিতা হাজী মোঃ তরু মিয়া। খাদিজা আক্তার জানান, তার স্বামী এএসআই হুমায়ূন কবির, ২০১১ সালে তাদের বিয়ে হয় এবং তাদের সংসারে একটি মেয়ে ও ছেলে আছে বেশ সুখে ছিলো তাদের সংসার। হঠাৎ ২০২১ সালের মার্চ মাসে তার স্বামী হুমায়ূন কবির খাদিজা আক্তারের সাথে খারাপ আচরণ করতে শুরু করে এবং তাকে মারধর ও করে, বিষয়টি খাদিজার সন্দেহ হলে খাদিজা আক্তার খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রুমানা মমতাজ নামে এক পুলিশ নারী কনস্টেবলের সাথে পরকীয়া লিপ্ত। বিষয়টি জানার পর খাদিজা আক্তার তার স্বামীকে এই নারী কনস্টেবলের কাছ থেকে সব রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলায় তার স্বামী তাকে আরো মারধর করে এবং ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার সব খরচ বন্ধ করে দেয়। অতঃপর স্বামী হুমায়ূন কবির খাদিজা আক্তারকে না জানিয়ে রুমানা মমতাজকে বিয়ে করে ফেলে। এবং তারা গোপনে সংসার ও শুরু করে, খাদিজা আক্তার জানান রুমানা মমতাজের আগের স্বামী আছে ও সন্তান ও আছে, পরে খাদিজা আক্তার তার স্বামীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় দুইটি মামলা দায়ের করেন এবং তার স্বামী সাময়িক বরখাস্ত হন। ১০শে জুন হঠাৎ তার স্বামী হুমায়ূন কবির খাদিজা আক্তারের পিতার বাড়িতে যায় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং রুমানা মমতাজও ফোন করে খাদিজা আক্তারকে ১০ লাখ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বলে হুমায়ুন কবিরকে ছেড়ে দেয় নাইলে তোকে গুম ও হত্যার হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় খাদিজা আক্তার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, খাদিজা আক্তার জানান, আমার বাবা হতদরিদ্র, আমি নিরক্ষর গৃহীনী আমার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ আমার স্বামী পুলিশ বলেই আমাকে পুলিশের ক্ষমতা খাটিয়ে বারবার হেনস্তা করছে, খাদিজা আক্তার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করে বলেন, সুষ্ঠ তদন্ত করে আমি আমার বিচার দাবি জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.