সিলেট – সুনামগঞ্জ (অতিঃ) বিআরটিএ এডি রিয়াজুল ইসলামের যোগসাজশে চলছে ব্যাপক অনিয়ম

অপরাধ

নিজের দ্বায় এড়াতে অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস সাংবাদিকদের

এম শাহীন আলম :
সিলেট জেলা বিআরটিএ সার্কেলে নিয়মিত সুনামগঞ্জ জেলা বিআরটিএ (অতিরিক্ত) দায়িত্বে থাকা এডি রিয়াজুল ইসলামের যোগসাজশে দুই জেলায় বিআরটিএ অফিসে চলছে ব্যাপক অনিয়ম, গ্রাহক হয়রানি, ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে সরকারি ফি ছাড়াও বারতি টাকা দিয়ে কন্ট্রাক্টে অসম্ভবকে সম্ভব করার মতো সকল কার্যক্রম,

সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, সিলেট সুনামগঞ্জ জেলা বিআরটিএ সহকারী পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম সিলেট বিআরটিএ অফিসে যোগদানের পর থেকেই পাল্টে গেছে অফিসের সকল কার্যক্রমের নিয়মনীতি। মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় প্রতি প্রার্থীর কাছ থেকে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করে এ টাকার বিনিময়ে পরিক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তা দেন দালাল চক্র সহ দুই অফিসে কর্তব্যরতরা । টাকা না দিলে পরীক্ষায় যতই পাশ হন না কেন পরীক্ষার্থীকে ফেল দেখানো হয়। পরীক্ষার পর প্রায় ২০-২৫দিন পর্যন্ত কখনও বা তার অধিক সময় লার্নার লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ জব্দ করে রেখে দেন,আর এই সময়ে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে গোপনে পাশ কে ফেল আর ফেলকে পাশ দেখানো হয়। সোজা কথা দালাল চক্র, দুই অফিসের সীল মেকানিক, পিয়ন সহ প্রায় সকল কর্মচারীরাই অনিয়ম এবং ঘুষ বাণিজ্যের সাথে জরিত, ঘুষ দেওয়া ছাড়া বেশিরভাগ গ্রাহকদের বারবার পরীক্ষা দিয়েও লাভ হয় না। যে গ্রাহক টাকা না দেয় সে পাশ করলেও তাকে অকৃতকার্য দেখানো হয়। আবার দালাল মারফতে নির্দিষ্ট টাকা জমা দিলে তাকে কৃতকার্য দেখানো হয়। ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষার সময় সকল পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে এন্ট্রি ফি নাম করেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে,লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড নিতে গেলেও টাকা দিয়ে নেওয়ার দৃশ্য সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণ হয়,

সরেজমিন অনুসন্ধানকালে সিলেট জেলা বিআরটিএ সার্কেলে সেবা নিতে আসা একাধিক গ্রাহকদের সাথে সেবার মান সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানান,এই অফিসে সকল যানবাহনের ফিটনেস অনুমোদন,রেজিস্ট্রেশন নাম্বার সহ ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দালাল চক্র সহ অফিসে কর্তব্যরত কর্মচারীদের সাথে কথা বলে সরকারি ফি ছাড়াও ঘুষ না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে মাসের পর মাস ঘুরতে হয়,আর টাকা দিলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ হয়ে যায়।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,সিলেট জেলা বিআরটিএ সহকারী পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলা বিআরটিএ সার্কেল অফিসেও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন,সেখানেও সরেজমিনে অনুসন্ধানকালে অফিসে দালাল চক্রের সদস্য হৃদয় নামের এক যুবকের সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং সিএনজি রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে কথা হয়,তখন হৃদয় জানান, আমি এডি স্যারের নির্দেশনায় মোটরযান পরিদর্শক রাসেল স্যার এবং দেলোয়ার স্যার ও রাজ্জাক স্যারের সাথে যোগাযোগ করে গ্যারান্টি সহকারে কাজ করে থাকি, সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় হৃদয় বলেন “বিশ্বাস না অইলে আমি স্যারের লগে মাতি এবং স্যারদের সাথে মাতাইয়া দেই নিজের চোখে দেইখা বিশ্বাস হলে আমাকে কাজ দিয়ে লেনাদেনা কইরো” তখন হৃদয় সুনামগঞ্জ বিআরটিএ অফিসের রাজ্জাক এবং দেলোয়ারের কক্ষে সাংবাদিকদের ছদ্দবেশী গ্রাহক হিসেবে নিয়ে যায়,নিয়ে যাওয়ার পর রাজ্জাকের সাথে সিএনজি রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে কথা হয় হৃয়ের, তখন ছদ্দবেশী গ্রাহক সেজে সাংবাদিক প্রতিনিধিরা রাজ্জাককে বলেন হৃদয়কে রেজিস্ট্রেশনের কাজটা দেওয়া যায় কিনা,তখন রাজ্জাক বলেন সমস্যা নেই হৃদয়ের সাথে কথা বলে কাজ দেন, হৃদয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে,কোন সমস্যা হবে না আপনারা হৃদয়কে কাজ দিতে পারেন বলে রাজ্জাক জানান, তখন রাজ্জাক এবং দেলোয়ার নামের আরেক কর্মকর্তা একেই কক্ষে বসে আলাপ করছিলেন, তাৎক্ষণিক তখন রাজ্জাক হৃদয়কে বলেন, ওনারা কাগজপত্র জমা দিলে ফাইলটা আমাকে দেখিয়ে নিও, তখন ছদ্দবেশে গ্রাহক সেজে দুই সাংবাদিক ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং সিএনজি রেজিস্ট্রেশন করার বিষয়ে জানতে চাইলে, কত টাকা খরচ হবে জানতে চাইলে হৃদয় ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলে জন প্রতি লাইসেন্সের জন্য ১২ হাজার টাকা লাগবে আর সিএনজি রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৪৫ হাজার টাকা হলে সময় মতো করে দেওয়া যাবে, এতো টাকা লাগবে কেন জানতে চাইলে হৃদয় বলেন, আমার আরো দুইজন আমার বড় ভাই আছে উজ্জ্বল এবং ইসমাইল মৃধা তারাও অফিসের এডি স্যারের সাথে সরাসরি কথা বইল্যা কাজ করে,এডি স্যার তো প্রতিদিন থাকে না,সেই জন্য রাসেল স্যার দেলোয়ার স্যার,রাজ্জাক স্যারের সাথে সরাসরি কথা বলে আমরা কাজ করি,সরকারি ফি’র বাহিরে বেশি টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে হৃদয় জানান,এই বারতি টাকা এডি স্যার সহ সকলকে দিয়ে ম্যানেজ করে কাজ করতে হয়,না হয় নিজে সরাসরি করতে গেলে অনেক দিন ঘুরতে হয়, মোটরযান পরিদর্শকের কক্ষে ছদ্দবেশী দুই সাংবাদিক গ্রাহক সেজে ঢুকতেই অফিস পিয়ন সাইফুল বাধা দিয়ে বলেন স্যার এখন ব্যস্ত কি বলবেন আমাকে বলেন,তখন ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে কিভাবে করতে হবে,কত টাকা লাগবে এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফুলও বলেন আমার মাধ্যমে করলে ড্রাইভিং লাইসেন্স জন প্রতি ১২ হাজার টাকা লাগবে,সুনামগঞ্জ বিআরটিএ অফিসে আসা কয়েকজন সেবা গ্রহিতার সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, দালাল আর বারতি টাকা ছাড়া কোন কাজই এই অফিসে হয় না।

এছাড়াও মাত্র এক ঘন্টার অনুসন্ধানে সুনামগঞ্জ জেলা বিআরটিএ অফিসের ন্যায় সিলেট জেলা বিআরটিএ সার্কেল অফিসেও অনিয়ম,ঘুষ বাণিজ্য আর বারতি টাকা আদায়ের জবান বন্দি মেলে সাংবাদিকদের গোপন ক্যামেরায়, সিলেট বিআরটিএ অফিসে কর্তব্যরত মোহাম্মদ আলী এবং আজাদের সাথে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন লাইসেন্স করে দেওয়া যাবে,লাইসেন্স করতে কত খরচ হবে জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী বলেন লাইসেন্স প্রতি ১২,৫০০ টাকা লাগবে, আর শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর বিশেষ জানতে চাইলে তিনি বলেন,কন্ট্রাক্টে আসেন সার্টিফিকেট কোন বিষয় নয়,সব করে দেওয়া যাবে বলে তিনি জানান,এর পর অফিসের আরেক লোক আজাদের সাথে গ্রাহক সেজে ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে কথা হলে তিনি প্রতি লাইসেন্স বাবদ ১৫ হাজার টাকা লাগবে বলে জানান যা ছদ্মবেশী গ্রাহক সাংবাদিকদের গোপন ক্যামেরায় সংরক্ষিত,

এছাড়াও বিশ্বস্হ সূত্রে আরো জানা যায়, সিলেট জেলা বিআরটিএ সার্কেলের বর্তমান এডি রিয়াজুল ইসলাম আসার পর থেকে স্হানীয় দালাল চক্র সহ তার অফিসের কর্মচারীদের ব্যবহার করে নিজে ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গাড়ীর কাগজপত্র রেজিষ্ট্রেশন ও নবায়ন নিয়ে লাগামহীন অনিয়ম করে যাচ্ছে।
স্হানীয় পরিবহণ সংশ্লিষ্ট গ্রাহক সহ স্হানীয়দের সাথে বিভিন্ন গাড়ীর লাইসেন্সের বিষয়ে এবং বিআরটিএ এর সেবারমান সম্পর্কে জানতে চাইলে ভোক্তভোগীরা জানান, জরুরি ভাবে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড ঢাকা থেকে চুক্তিতে আনা বাবদ ৩০ থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং নিরুপায় বিদেশযাত্রীর কাছ থেকে লক্ষ টাকা আদায়েরও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এডি রিয়াজুল ইসলাম বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেট বিআরটি জেলা সার্কেল অফিসে কর্তব্যরত একাধিক কর্মচারী জানান,গালি দিয়ে বলেন এই অফিসে যত অনিয়ম হচ্ছে সব এডির নির্দেশেই হচ্ছে,এবং ঘুষ বাণিজ্যের সিংহভাগ টাকার অংশ প্রতিদিন তার পকেটেই যাচ্ছে, অফিসে কোন মেহমান আসলেও আমরা কর্মচারীরা নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে মেহমানদারী করি, তিনি(এডি) টাকা শুধু বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে গ্রাহকের ফাইল আটক রেখে আমাদের সকলের কাছ থেকে টাকা নিতে পারেন,কিন্তু অফিসের কোন কাজে এক টাকাও খরচ করতে রাজী নন তিনি, কর্মচারীদের বক্তব্যে জানান এডি রিয়াজুল ইসলামের নির্দেশ ছাড়া এই সিলেট জেলা সার্কেল অফিসে কোন কাজই হয় না,তার কথা না শুনলে তিনি কর্মচারীদের গালিগালাজ করে বলে কর্মচারীরা অভিযোগ করেন,

সরেজমিনে অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, গত ২০ মার্চ-২০২৩ ইংরেজি তারিখে সিলেট বিদ্বেষী ও দুর্নীতিবাজ সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম সহ মোটরযান পরিদর্শক আব্দুল বারীকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসন বরাবরে স্মারক লিপি দেন সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ । তৎকালীন মালিক শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা মানববন্ধনে বক্তব্যে বলেন বিআরটিএ একটি জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, অবৈধ ভাবে টাকা উপার্জনের জন্য উক্ত দুই কর্মকর্তা বেমালুম ভুলে গেছেন তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা। তারা টাকার মোহে নীতি-নৈতিকতা বিধিবিধান উপেক্ষা করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। যাতে করে বিআরটিএ ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বঞ্চিত হচ্ছেন সিলেটের সেবা গ্রহিতারা।
এছাড়াও বিআরটিএ সিলেট সার্কেল সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) রিয়াজুল ইসলাম ও মোটরযান পরিদর্শক আব্দুল বারীর সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও সেবা গ্রহিতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণে সিলেট সার্কেল ঘুষে বেহুশ পরিণত হয়েছে। তাদের আচরণে বিআরটিএ অফিসে যেতে ভয় পান সেবা প্রত্যাশীরা। মোট কথা এই দুই কর্মকর্তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সিলেটবাসী। তারা এ দূর্নীতিবাজাদের কাজ থেকে দায় মুক্তি চান বলে বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন।
স্হানীয় সেবা গ্রহিতা সহ স্হানীয় প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান বর্তমান বিআরটিএ সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) রিয়াজুল ইসলাম সিলেটে আসার পর থেকে অনিয়ম বেড়ে যায়, তিনি বিআরটিএ কে তৈরি করেন ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়ম দুর্নীতির আতুড় ঘর যা ঢাকা থেকে সরেজমিনে অনুসন্ধানকারী সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত রয়েছে।

সরেজমিনে আরো জানা যায়,গত ২০২২ সালের ২ অক্টোবর সিলেট মেট্রো বিআরটিসিতে সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) রিয়াজুল ইসলামের প্রস্তাবের মাধ্যমে সিলেট জেলার ঠিকানায় রেজিস্ট্রেশনকৃত সিএনজি অটোরিকশার মালিকগণ মেট্রো ঠিকানায় বদলী হতে পারবেনা মর্মে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। আবার একই সিদ্ধান্ত ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে লঙ্গন করেছে খোদ এই সহকারী পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম। প্রতিটি সিএনজি অটোরিকশা থেকে ৫০ – ৬০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহন করে জেলার সিএনজি মেট্রো ঠিকানায় মালিকানা বদলী করার অহরহ অভিযোগ রয়েছে এডি রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে । তৎকালীন মালিকানা বদলীর বিষয়টি সিলেট সিএনজি অটোরিকশার মালিক ও শ্রমিক সংগঠন গুলোর মাঝে জানাজানি হলে সিলেট জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

সিলেটে বিভিন্ন পরিবহণে সাথে যুক্ত থাকা গাড়ীর মালিক, ড্রাইভার,শ্রমিকদের সাথে সিলেট বিআরটিএ সেবা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানান, এডি রিয়াজুল ইসলামের যোগসাজশে মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কম্পিট্রেন্সি টেষ্ট বোর্ডের পরীক্ষায় ও যানবাহনের মালিকানা বদলীসহ সব ধরনের সেবা প্রদানে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য চালাচ্ছেন তারা।
তবে সিলেট বিআরটিএ এর কর্মকর্তা ,কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ডজন ডজন অভিযোগ থাকার পরেও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে নজর না দেওয়ায় হতাশ সিলেট জেলা বিআরটিএ অফিসে আসা সেবা গ্রহিতাসহ স্হানীয়রা, ভোক্তভোগীরা জানান, এতো অনিয়ম আর ঘুষ বাণিজ্যে করার অভিযোগের পরও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ, সেবা থেকে বঞ্চিত এবং হয়রানির শিকার সেবা গ্রহিতাদের প্রশ্ন সিলেট জেলা বিআরটিএ সহকারী পরিচালক রিয়াজুল ইসলামের খুঁটির জোর কোথায়? তার প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন অনিয়ম,ঘুষ বাণিজ্য আর গ্রাহক হয়রানি হওয়ার পরও কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ।

উপরোক্ত সার্বিক অনিয়মের বিষয়ে জানতে চেয়ে সরেজমিনে সিলেট জেলা বিআরটিএ ও সুনামগঞ্জ জেলা বিআরটিএ(অতিরিক্ত) দায়িত্বে থাকা সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলামের সাথে সরাসরি তার অফিসে দেখা করে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান,যারা অনিয়মের সাথে জড়িত তাদের বিষয়ে আমাকে সঠিক তথ্য দিন আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব বলে সকল অনিয়মের দ্বায় এড়াতে চায় বলে তার আচরণে বুঝা যায়,পরোক্ষনে নিউজের স্বার্থে তার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তার এবং তার দুই অফিসের কর্মচারীদের অনিয়মের বিষয়ে মন্তব্য এবং বক্তব্যে জানতে চাইলে এডি রিয়াজুল ইসলাম জানান, আমার অফিসের কেউ কোন তখন৳ সাথে জড়িত নন বলে কল কেটে দেন,অনুসন্ধান চলমান আরো বিস্তারিত পরের সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে,

Leave a Reply

Your email address will not be published.