সাভারে ব্যবসায়ীদের কোটি টাকা মেরে লাপাত্তা সেই সুজন

অপরাধ

সাভার প্রতিনিধি :
কেউ বলছেন কোটি টাকা কেউ বা আবার বলছেন তারও বেশি টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছেন সাভারের সেই প্রতারক শাহিদুর রহমান সুজনকে (৩৮)। সুজন সাভার পৌরসভার ৪০/১ মালঞ্চ এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে।

সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের কোরাইশী সুপার মার্কেটের ইলেকট্রনিক্স (ফ্যান) ব্যবসার নামে প্রতারণা ও আত্মসাতের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিলার এবং ব্যবসায়ীদের পথে বসিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এই সুজনের বিরুদ্ধে।

ব্যবসার পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিও) পদে যোগ দিয়েছিলেন এই প্রতারক। তারপর থেকেই পরিবর্তন আসে তার রূপ,হাবভাব ও বেশভূষায়।

প্রভাবশালীদের নাম ভাঙিয়ে তদবিরসহ বিভিন্ন অপকর্মে উঠে আসতে থাকে তার নাম।বিষয়টি গোচরে আসতেই প্রতিমন্ত্রীর তার ব্যক্তিগত সহকারীর পদ থেকে সরিয়ে দেন সুজনকে।

চলতি বছরের এপ্রিলে রোজার মধ্যে ফুডপান্ডার রাইডার আবদুল লতিফকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হলে আলোচনায় আসেন সুজন।

১৭ এপ্রিল পুলিশ সুজন কে গ্ৰেপ্তার করে চালান দেয় আদালতে। জামিনে মুক্তি পেয়ে ছঁক কষেন প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের।

কোরাইশী সুপার মার্কেটের ১১৭ ও ১১৮ নম্বর দোকান ব্যবসায়ী আব্বাস উদ্দিনের কাছে জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি করে দেন। গ্রহণ করেন অর্ধকোটি টাকার বেশি অর্থ।

একই কায়দায় জালিয়াতি করে অন্যের দোকান আরও এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি দেখিয়ে তার কাছ থেকেও হাতে নেন মোটা অংকের অর্থ।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী আব্বাস উদ্দিন সুজনের প্রতারণার বিষয়ে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করলে গা ঢাকা যায় এই প্রতারক। তারপর থেকেই কোরাইশী সুপার মার্কেট ঘিরে ভিড় জমতে থাকে সুজনের প্রতারণার শিকার অসংখ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, মৌখিকভাবে সুজনের বিরুদ্ধে অনেকেই থানায় অভিযোগ করতে এসেছেন। অনেকে লিখিত অভিযোগ করে গেছেন।

তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, গা ঢাকা দিয়ে ও আইন হাত থেকে রেহাই পাওয়ার সুযোগ নেই। তাকে ধরা পড়তেই হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.