র‌্যাব-৪ এর অভিযানে বিপুল পরিমান অস্ত্রসহ ভূয়া পুলিশ সদস্য আটক নিউজ ডেক্সঃ র‌্যাব-৪ এর অভিযানে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন রাজাশন এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পোশাক পরিহিত ভূয়া পুলিশসহ ০৬ ডাকাত গ্রেফতার; মাদকসহ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার। র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‌্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে, ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন একটি চক্র মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপারাধ কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দ দল উক্ত চক্রটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে। গত ২৮ অক্টোবর ২০২১ তারিখে গোপন সংবাদ ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে জানা যায় যে, সাভার মডেল থানাধীন পশ্চিম রাজাশন এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের কিছু সদস্য ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ২৮ অক্টোবর ২০২১ তারিখে বিকাল ০৪.০০ ঘটিকা হতে ২৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখ রাত ০৩.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির উদ্দেশ্যে গোপন মিটিং এর সময় ০১ টি পিস্তল, ০১ রাউন্ড গুলি, ০১ টি নকল পিস্তল, ০১ টি পিস্তল টাইপ লাইটার, ০১ টি কভারসহ হ্যান্ডকাফ, ০১ টি ওয়াকিটকি, ০২ সেট পুলিশ ইউনিফর্ম, পুলিশ জ্যাকেট, পুলিশ বেল্ট, ভূয়া পুলিশ আইডি কার্ড, ০২ টি রামদা, ০১ টি ডেগার, ০১ টি চাপাতি, ০২ টি ছুড়ি, ০২ টি টর্চলাইট, ০২ টি রশি, ৪৬৭ পিস ইয়াবা, ৩০ বোতল ফেন্সিডিল, ১.৫ কেজি গাঁজা, ০৭ গ্রাম হেরোইন, ০৫ লিটার চোলাই মদ, ১৯ টি মোবাইল এবং নগদ ৪৪,৫৭০/-টাকাসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের মূলহোতা, মাদক ব্যবসায়ী, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামী ডাকাত সর্দার শামীম রেজাসহ নিম্নোক্ত ০৬ জন সক্রিয় সদস্য’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়ঃ (ক) মোঃ শামীম রেজা (৩০), জেলা- রাজশাহী। (খ) মোঃ হেলাল উদ্দিন (৩৫), জেলা- ঢাকা। (গ) মোঃ পারভেজ (২৫), জেলা- পটুয়াখালি। (ঘ) ওয়াসিম ইসলাম (২৫), জেলা- ঢাকা। (ঙ) মোঃ নাইম খান (২৭), জেলা- ঢাকা। (চ) মোঃ ফেরদৌস আহমেদ রাজু (২৯), জেলা- ঢাকা। গ্রেফতরকৃত ০১ নং আসামী মোঃ শামীম রেজা কিশোর বয়স থেকেই অপরাধ কার্যক্রমের সাথে জড়িত। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী। সে গ্রামের একটি স্থানীয় স্কুল থেকে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। সে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ২০০৫ সালে ঢাকায় আসে। একপর্যায়ে সে নিজে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে এবং মাদক কারবারিদের সাথে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সে পর্যায়ক্রমে তার নেতৃত্বে একটি ডাকাত বাহিনী গড়ে তুলে। সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটি রাতের আধারে পুলিশের ভুয়া ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় টর্চ লাইট দিয়ে গাড়ি থামিয়ে টাকা-পয়সা, স্বর্ণ-অলংকার, মোবাইল এবং দামি জিনিসপত্র তার বাহিনীর সদস্যদেরকে নিয়ে লুটপাট করত। জিঞ্জাসাবাদে জানা যায় যে, সে ২৫-৩০ টি অটো রিক্সা ও সিএনজির মালিক। তার নামে অস্ত্র, মাদক ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে নিজেকে পুলিশ বাহিনীর একজন সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে পরিচয় দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র, নকল আগ্নেয়াস্ত্র, নকল আইডি কার্ড, ইউনিফর্ম, ওয়াকি টকি সেট ব্যবহার করে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করত। সে সাভার এলাকায় একটি সক্রিয় ডাকাত বাহিনী ও মাদক সা¤্রাজ্য গড়ে তুলেছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, সে বিভিন্ন সময়ে ভূয়া পুলিশ অফিসার সেজে তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা ও বানোয়াট ভাবে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করত। গ্রেফতারকৃত সকল আসামীর নামে সাভারসহ বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি, অস্ত্র, ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে প্রতারনা এবং মাদক মামলা প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এরূপ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে

অপরাধ

 

নিউজ ডেক্স  :

‌র‌্যাব -৪ এর অভিযানে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন রাজাশন এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পোশাক পরিহিত ভূয়া পুলিশসহ ০৬ ডাকাত গ্রেফতার; মাদকসহ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার। র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‌্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে, ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন একটি চক্র মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপারাধ কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দ দল উক্ত চক্রটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে। গত ২৮ অক্টোবর ২০২১ তারিখে গোপন সংবাদ ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে জানা যায় যে, সাভার মডেল থানাধীন পশ্চিম রাজাশন এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের কিছু সদস্য ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ২৮ অক্টোবর ২০২১ তারিখে বিকাল ০৪.০০ ঘটিকা হতে ২৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখ রাত ০৩.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির উদ্দেশ্যে গোপন মিটিং এর সময় ০১ টি পিস্তল, ০১ রাউন্ড গুলি, ০১ টি নকল পিস্তল, ০১ টি পিস্তল টাইপ লাইটার, ০১ টি কভারসহ হ্যান্ডকাফ, ০১ টি ওয়াকিটকি, ০২ সেট পুলিশ ইউনিফর্ম, পুলিশ জ্যাকেট, পুলিশ বেল্ট, ভূয়া পুলিশ আইডি কার্ড, ০২ টি রামদা, ০১ টি ডেগার, ০১ টি চাপাতি, ০২ টি ছুড়ি, ০২ টি টর্চলাইট, ০২ টি রশি, ৪৬৭ পিস ইয়াবা, ৩০ বোতল ফেন্সিডিল, ১.৫ কেজি গাঁজা, ০৭ গ্রাম হেরোইন, ০৫ লিটার চোলাই মদ, ১৯ টি মোবাইল এবং নগদ ৪৪,৫৭০/-টাকাসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের মূলহোতা, মাদক ব্যবসায়ী, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামী ডাকাত সর্দার শামীম রেজাসহ নিম্নোক্ত ০৬ জন সক্রিয় সদস্য’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়ঃ

(ক) মোঃ শামীম রেজা (৩০), জেলা- রাজশাহী।
(খ) মোঃ হেলাল উদ্দিন (৩৫), জেলা- ঢাকা।
(গ) মোঃ পারভেজ (২৫), জেলা- পটুয়াখালি।
(ঘ) ওয়াসিম ইসলাম (২৫), জেলা- ঢাকা।
(ঙ) মোঃ নাইম খান (২৭), জেলা- ঢাকা।
(চ) মোঃ ফেরদৌস আহমেদ রাজু (২৯), জেলা- ঢাকা।

গ্রেফতরকৃত ০১ নং আসামী মোঃ শামীম রেজা কিশোর বয়স থেকেই অপরাধ কার্যক্রমের সাথে জড়িত। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী। সে গ্রামের একটি স্থানীয় স্কুল থেকে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। সে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ২০০৫ সালে ঢাকায় আসে। একপর্যায়ে সে নিজে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে এবং মাদক কারবারিদের সাথে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সে পর্যায়ক্রমে তার নেতৃত্বে একটি ডাকাত বাহিনী গড়ে তুলে। সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটি রাতের আধারে পুলিশের ভুয়া ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় টর্চ লাইট দিয়ে গাড়ি থামিয়ে টাকা-পয়সা, স্বর্ণ-অলংকার, মোবাইল এবং দামি জিনিসপত্র তার বাহিনীর সদস্যদেরকে নিয়ে লুটপাট করত। জিঞ্জাসাবাদে জানা যায় যে, সে ২৫-৩০ টি অটো রিক্সা ও সিএনজির মালিক। তার নামে অস্ত্র, মাদক ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে নিজেকে পুলিশ বাহিনীর একজন সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে পরিচয় দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র, নকল আগ্নেয়াস্ত্র, নকল আইডি কার্ড, ইউনিফর্ম, ওয়াকি টকি সেট ব্যবহার করে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করত। সে সাভার এলাকায় একটি সক্রিয় ডাকাত বাহিনী ও মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, সে বিভিন্ন সময়ে ভূয়া পুলিশ অফিসার সেজে তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা ও বানোয়াট ভাবে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করত। গ্রেফতারকৃত সকল আসামীর নামে সাভারসহ বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি, অস্ত্র, ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে প্রতারনা এবং মাদক মামলা প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এরূপ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.