বরগুনার বিষখালী নদীর বেতাগী-কচুয়া পয়েন্টে দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি

অন্যান্য

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি :
কচুয়া-বেতাগী-পটুয়াখালী-লোহালিয়া- কালাইয়া সড়কের বিষখালী নদীর বেতাগী-কচুয়া পয়েন্টে ফেরি চলাচলে যেন আনন্দের সীমা নেই। এখন ফেরীঘাট সংলগ্ন বিষখালী নদীতে সেতু নির্মাণে সেতু মন্ত্রণালয়ের সমীক্ষার সিদ্ধান্তে এ জনপদের মানুষ নতুন স্বপ্নের আশায় বীজ বুনেছে। সেতুটি নির্মাণ হলে দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময়ের মানুষের দাবির বাস্তবায়ন এবং দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ও বন্দর সমূহের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত ও নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হবে এবং মানুষের কষ্ট লাঘবের পাশাপাশি ব্যবসা-বানিজ্যের প্রসার ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক দুর এগিয়ে যাবে। এখানকার স্থানীয় সাধারণ মানুষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মিরা বেতাগী-কচৃয়া পয়েন্টে বিষখালী নদীর ওপড় সেতু নির্মাণের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উত্তাল পায়রা নদী পাড়ি দিয়ে মায়ের সঙ্গে বাড়ি যেতে ভয় হয় ছোট্ট শিশু শীর্ষেন্দুর তাই ২০১৬ সালে এই সড়কের পায়রা নদীর পায়রাকুঞ্জ এলাকায় সেতুর দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছিল। সেই প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী এক হাজার ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭০০ মিটার দীর্ঘ পায়রা নদীর ওপর ইতোমধ্যে সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সরেজমিনে বরগুনার বেতাগী ও কঠালিয়া দুই উপজেলার স্থানীয় নানান পেশার মানুষের সাথে সেতুটি নির্মাণ নিয়ে কথা বললে তারা মনে করেন, বিষখালী নদীর ওপড় বেতাগী-কচুয়া পয়েন্টে দ্রুত সেতু নির্মাণের মাধ্যমে সরকার আরও নতুন উদাহরণ সৃস্টি করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন তাঁরা। সেতুটি নির্মাণ হলে দেশের পায়রা সমুদ্র বন্দরের সাথে মোংলা বন্দর এবং খুলনা ও বেনাপোলের সাথে ভান্ডারিয়া,কাঠালিয়া এবং বাউফল, দুমকী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, লেবুখালীর শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট, পটুয়াখালী কোষ্টকার্ড ,পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মির্জাগঞ্জ, বেতাগী, বরগুনা সদর সহ পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে বলে এমনটাই মনে করছে স্থানীয়রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.