বগুড়ায় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় নিউমার্কেট বন্ধ ঘোষণা

অন্যান্য

মতিন খন্দকার টিটু :
স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বগুড়ার সবচেয়ে বড় বিপণি বিতান নিউমার্কেট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় দেড় মাস পর ঈদকে সামনে রেখে সীমিত আকারে নিউ মার্কেট খোলা হলে সাধারণ মানুষ সেখানে উপচে পড়ে। সামাজিক দূরত্ব না থাকা, স্বাস্থ্য বিধি না মানায় এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে আশংকায় নিউ মার্কেট বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ বুধবার দুপুরে এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন। সিদ্ধান্তের পর শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় মাইকিং করা হয়।
বুধবার দুপুরে নিউ মার্কেট বন্ধ ঘোষণার পরেও কয়েক হাজার ক্রেতা মার্কেটের প্রধান ফটক থেকে ফিরে যায়। কোন কোন ক্রেতা আবার নিউ মার্কেট বন্ধ থাকায় শহরের অন্যান্য বিপনী বিতানে ছুটে যায়। নিউ মার্কেট বন্ধ থাকার পর ভিড় বেড়েছে শহরের রানার প্লাজায়, স্টেশন রোডের রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে, শেখ শরীফ উদ্দিন সুপার মার্কেটে। এই মার্কেটগুলোতে অনেকেই কেনাকাটা করে। নিজেদের দোকান বন্ধ করে দোকান মালিক ও শ্রমিকরা মার্কেটের মধ্যে কিছু অবস্থান করে পরে তারা সেখান থেকে দল বেঁধে বের হয়।

বগুড়া নিউ মার্কেট এলাকাটি করোনা ভাইরাসের জন্য ঝুঁকিপূর্ন হয়ে উঠার সংবাদে জেলা প্রশাসন থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজনের নেতৃত্বে একটি টিম দুপুরে নিউ মার্কেট পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করে তিনি অর্নিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার নির্দেশনা কার্যকর করেন।বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সুত্রে জানা যায়, মার্কেট খোলার প্রথম দিন থেকে সেখানকার দোকানগুলোতে যেভাবে মানুষের ভীড় বাড়ছিল তাতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছিল। এতে শহরবাসীর মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিউ মার্কেট বন্ধ ঘোষণা করায় সমাজের জন্য উপকার হলো।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারাদেশের মত বগুড়ার নিউ মার্কেটসহ সকল বিপণি বিতান গত ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ছিলো। কয়েক দফায় বাড়িয়ে তা ১৬ মে পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে বগুড়ায় করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসন গত ২১ এপ্রিল পুরো জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী ১২ মে পর্যন্ত এ জেলায় মোট ৫২জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার ১৩ মে জেলায় সর্বোচ্চ ১১জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।

রমজান ও ঈদে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে সরকারের পক্ষ থেকে ১০ মে থেকে সারাদেশে বেশ কয়েকটি শর্তে সীমিত পরিসরে দোকান-পাট ও মার্কেট খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। এসব শর্তের অন্যতম ছিল ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। তবে খোলার প্রথম দিনই বগুড়া নিউ মার্কেটে কেনা-কাটা করতে আসা মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। সেখানে বেচা কেনার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.