বগুড়ায় বিয়ের দাবীতে প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিকের অনশন অবশেষে বিয়ে

অন্যান্য

মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়ার শাজাহানপুরে আশিক (১৮) নামে এক প্রেমিক তার প্রেমিকা মুনিরা (১৬) এর বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবীতে অনশন করেছে। সচরাচর প্রেমিকা হয়ে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবীতে অনশনের কথা জানা গেলেও চির চায়িত এ প্রথা ভেংগে প্রেমিক হয়ে তার প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবীতে অনশন করায় এলাকাজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তবে উদার ভালবাসার এই চিত্র দেখে বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানাগেছে। বুধবার ১২ আগষ্ট বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার খরণা ইউনিয়নের শিব দেছমা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিকা মুনিরা ওই গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ে এবং বীরগ্রাম দারুল হুদা দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেনীর ছাত্রী।
অপরদিকে প্রেমিক আশিক উপজেলার বীরগ্রামের ওমর আলীর ছেলে। ঘটনার বিবরণে মুনিরা ও তার মা জানায়, দু‘বছর আগে বীরগ্রাম দারুল হুদা দাখিল মাদরাসায় মুনিরা অষ্টম শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো আর আশিক ছিল দশম শ্রেনীতে। সে থেকে আশিকের সাথে প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠে। আশিক দু‘বছর আগে দাখিল পাশ করে অন্যত্র চলে গেলেও প্রেম চলছে আজও। কিন্তু মুনিরার যদি অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়।
এ আশংকা থেকে গতরাতে আশিক তাদের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবীতে অনশন করে। পরে এলাকাবাসী জানতে পেরে এ নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়। তবে আশিকের সাথে বিয়ের কথাটি মুনিরা অস্বীকার করে। কিন্তু নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার কয়েকজন বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতার উপস্থিতিতে রাতেই পাঁচ লক্ষ টাকা দেন মহর ধার্য্য করে বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং মেয়েটির বয়স ১৮ বছর পুর্ণ না হওয়ায় তা জনসমক্ষে প্রকাশ না করার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
আর প্রেমিক আশিকের পক্ষ থেকে তার বাবা এসব বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। এদিকে এমন ঘটনা ও বাল্যবিয়ের সংবাদ পেয়ে শাজাহানপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজনীন আকতার দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হন। এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের কথাটি অস্বীকার করায় তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.