বগুড়ায় নকল জুস কারখানার সন্ধান, মালিকসহ ১২ জন গ্রেফতার

অপরাধ

বগুড়া প্রতিনিধি :
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল জুসসহ কারখানা মালিক ও ১১ কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় জুস তৈরির মেশিন, কাঁচামাল ও কেমিক্যাল জব্দ করা হয়।

গ্রেফতার কারখানা মালিক বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের বাচ্চু শেখের ছেলে সেলিম খান (৩৫)। আর কর্মচারীরা হলেন, আব্দুর রহিম (৩৩), রমজান আলী (২০), রায়হান আলী (২০), সাজেদা বেওয়া (৪৫), শাহিনুর বেগম (৪০), রাজিয়া সুলতানা (৩৮), ইয়াসমিন আক্তার রেশমা (২২), মালা আকতার মিম (২২), রেহেনা পারভীন (৪৫), রাশেদা বেগম (৫০) ও পারভীন বেগম (৫০)।

এ ঘটনায় মামলা দিয়ে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান বলেন, সোমবার দিনগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের জোড়া মণ্ডলপাড়া এলাকায় পুলিশের টহল চলছিল। এসময় একটি বাড়ির সামনে দুই-তিনটি ভ্যান ও অটোটেম্পু দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানে পুলিশ সদস্যদের দেখে দুই লোক দৌড়ে পালায়। এতে সন্দেহ হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি জানানো হয়।

তিনি বলেন, পরে ফোর্সসহ এসে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ফ্রুটিক্স নামে আমের নকল জুস ও আইস ললি তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। এসময় কারখানার মালিক বাচ্চু শেখ ও ১১ কর্মচারীকে আটক করা হয়। সেইসঙ্গে বিপুল পরিমাণ নকল জুস তৈরির কাঁচামাল, কেমিক্যাল ও মেশিন জব্দ করা হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ঘটনায় কারখানার মালিক সেলিম খান ও বাসার মালিক সোহেল রানাসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে বাসার মালিক সোহেল পলাতক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই চক্রটি ড্রাগন ফুড অ্যান্ড বেভারেজ নামে একটি কারখানা স্থাপন করে ফ্রুটিক্স নামে আমের নকল জুস তৈরি করে বাজারজাত করছিল। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.