ধামরাইয়ে পাওনা টাকা চাওয়ায় এনজিও অফিসে হামলা-ভাংচুর

অপরাধ

সাভার প্রতিনিধি:
ঢাকার ধামরাইয়ে পাওনা টাকার জন্য থানায় অভিযোগ করায় স্থানীয় বখাটে ও সন্ত্রাসী কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি এনজিও অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। হামলায় তার সাথে স্থানীয় সোরহাবের ছেলে লিতাশ, আককাছের ছেলে ছাত্রদল ধামরাই পৌর ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক মিজনুর রহমান জুয়েলসহ ৮-১০ জন্য সহযোগী অংশ নেয়। খবর পেয়ে ধামরাই থানা পুলিশ ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সাঈদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার ঢুলিভিটা এলাকার মোল্লা মার্কেটের ২য় তলায় অবস্থিত প্রতিভা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ লিমিটেড নামক এনজিও অফিসে সহযোগীদের নিয়ে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে সন্ত্রাসী কামরুল ইসলাম।
এঘটনায় ভুক্তভোগী এনজিও’র সভাপতি মোঃ ফিরোজ কবীর ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনাটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়নি বলে জানান ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী।
অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম ধামরাই উপজেলার বড় চন্দ্রাইল এলাকার মোঃ কফিল উদ্দিনের ছেলে। সে এলাকায় চাঁদাবাজির পাশাপাশি সুদের ব্যবসা করে। তার কাছ থেকে কেউ সুদে টাকা নিতে না চাইলেও জোর করে টাকা দিয়ে সুদ আদায় করে থাকে। সময় মতো টাকা না দিতে পারলে অন্যায়ভাবে তাদেরকে মারধরসহ লাঞ্চিত করাই তার পেশা। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অন্যের জমি জবর দখলসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সাঈদ বলেন, সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক, এভাবে অফিসে এসে ভাংচুর ও লুটপাট করবে এটা আমার ওয়ার্ডে হতে দিবনা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যদি এসব সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা না করে তাহলে আমরাই জনপ্রতিনিধি হিসেবে সমাজের এসব জঞ্জাল দুর করতে পদক্ষেপ নিবো।
প্রতিভা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ লিমিটেড এর সভাপতি মোঃ ফিরোজ কবীর বলেন, আমি কামরুল ইসলামের কাছে ধার এবং ঋন বাবদ ১৬ লাখ টাকা পাই। দীর্ঘদিন ধরে ওই টাকা পরিশোধ না করে শুধু সময় পার করছে। বিষয়টি জানিয়ে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করায় শুক্রবার রাতে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে কামরুল আমার অফিসে আসে। এসময় আমি থানায় অভিযোগ করেছি কেন জানতে চেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে টাকা দিবেনা এবং থানা পুলিশ কি করবে এমন হুমকি দিয়ে তারা আমার অফিসে হামলা চালিয়ে আমার ল্যাপটপ, আলমারী, টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় আমার আলমারিতে থাকা নগদ দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমি নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কিত। আমার প্রতিষ্ঠানটি রেজিস্টেশনকৃত এবং সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। অন্যদিকে কামরুলের নিষিদ্ধ সুদের ব্যবসা করে মানুষকে অত্যাচার করে থাকে। এঘটনায় আমি সুষ্ঠ বিচারের জন্য প্রশাসন এবং মিডিয়ার সহযোগিতা কামনা করছি।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, এনজিও অফিসে হামলা ও ভাংচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ফিরোজ কবীর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.