ঢাকার আশুলিয়ায় অটো ইজিবাইক থেকে কৌশলে চাঁদাবাজির অভিযোগ (পর্ব-১)

অপরাধ

 

বিশেষ প্রতিনিধি :
সরকার দেশে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলে ইতি পূর্বে পুলিশের পক্ষ থেকে চাঁদাবাজদের চিহ্নিত করে আশুলিয়ায় প্রায় ৩৬ টি মামলা দায়ের করা হয়।
উক্ত মামলায় আটক হয় অনেকেই, তার পর হতে কৌশলে তোলা হচ্ছে চাঁদা আগে স্পোর্টে লোক দিয়ে চাঁদা আদায় করলেও বর্তমানে ভিন্ন কৌশলে স্টিকার লাগিয়ে মাসিক ভাবে তোলা হচ্ছে চাঁদা। স্টিকার বুঝে টাকা।
প্রতেক গাড়ি থেকে মাসে মাসে নেওয়া হচ্ছে ১৫শত টাকা থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত,

আশুলিয়া ঘুরে দেখা যায় যে সকল স্থানে কৌশলে তোলা হচ্ছে চাঁদা তার মধ্যে বাইপাইল জিরাবো, নরশিংহপুর থেকে কাশিমপুর, বিশ মাইল টু জিরাবো রাস্তা ও বিশ মাইল টু শেরেআলী মার্কেট, সিএনবি থেকে আশুলিয়া বাজার পর্যন্ত,এবং জিরানী থেকে গোহাইল বাড়ি যাওয়ার পথ বন্ধ করে আমতলা পর্যন্ত চলাচলরত এ সকল যানবাহন থেকে তোলা হচ্ছে চাঁদা ।
এছাড়াও আশুলিয়ার শ্রীপুর বাসষ্ট্যান্ডে হাইওয়ে রাস্তা দখল করে মরহুম ফারুক চেয়ারম্যান ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের ভাতিজা মোঃ বাবুল দীর্ঘদিন যাবৎ মাহিন্দ্রা, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক অটোরিকশা স্ট্যান্ড তৈরী করে যানবহনচলাচলে সমস্যা তৈরী করে কাশিমপুর সুলতান মার্কেট কাজী মার্কেট পর্যন্ত চলাচলরত প্রায় চার শতাধিক গাড়ি থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৫/৭ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে আসছেন বাবুল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ড্রাইভারদের সাথে কথা বললে তারা জানান করোনা মহামারী কালীন সময়েও গোপনে নেওয়া হয়েছে চাঁদা। আর হাইওয়ে রাস্তায় এসকল গাড়ি চলাচল সরকারি ভাবে নিষেধ থাকায় আমরা শাখা রাস্তা গুলো ব্যবহার করি। সেখানেও প্রতিদিন গাড়ি প্রতি আমাদের কাছে নেওয়া হচ্ছে প্রায় একশত টাকা। এবং প্রতি মাসে প্রায় তিন হাজার টাকা।
তারা আরও বলেন টাকা দিলে স্থানীয় প্রশাসন বা নেতারা কেউ কিছুই বলে না। বাবুলের সাথে সমঝোতা করে গাড়ি চালালে কোন সমস্যা হয় না আমাদের, এজন্য আমরা বাবুল ভাইয়ের মাধ্যমে এই টাকা গুলো দেই।
এবিষয়ে বাবুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি।
এলাকা বাসী জানান রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে তো কথাই নেই। সরকার চাঁদাবাজী বন্ধে উদ্যোগ নিলেও স্থানীয় প্রশাসন থাকছেন নিরব।অথচ এই সকল গাড়ি শাখা রাস্তায় চলাচলের কারনে লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট ব্রেক কম থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা, রাস্তা গুলোর হয় বেহাল দশা। সাধারণ মানুষ চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় । বাবুলের মতো কিছু চাঁদাবাজ পুলিশ নেতাদের নাম ভাংগিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। স্থানীয় প্রশাসন রয়েছেন নিরবতায়। হাইওয়ে রাস্তায় গাড়ির ষ্টান্ড বসিয়ে বিভিন্ন শাখা রাস্তা গাড়ি চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে সাজ্জাদ হোসেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাইওয়ে থানা বলেন রাস্তায় পেলে এবিষয়ে আমরা মামলা দায়ের করি। আমাদের দায়িত্ব হাইওয়ে রাস্তা। শাখা রাস্তা গুলো ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বে, শাখা রাস্তার বিষয়ে আমার জানা নাই ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.