টাঙ্গাইল ভূঞাপুরে প্রেমের ফাঁদে শারীরিক সম্পর্ক, অন্তঃসত্তা স্কুল ছাত্রী

অপরাধ

মোঃ ইয়ামিন মিয়া,টাঙ্গাইল(ভূঞাপুর) থেকে :
টাঙ্গাইলে ভুঞাপুরে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে প্রথমে প্রেম পরে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন প্রেমিক সোহেল খান । এক পর্যায়ে অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েন ওই স্কুল ছাত্রী । এখন বিয়ে করতে রাজি না প্রেমিক। অবৈধ গর্ভপাত করতে দেওয়া হচ্ছে হুমকি এমন অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীর পিতা । প্রেমিক সোহেল খানের হুমকি এবং কলঙ্কের ভয়ে বাড়ি ছাড়া এখন ওই ঐ স্কুল ছাত্রী ।
ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে মাদারিয়া গ্রামে। উভরই একই এলাকার বাসিন্দা। প্রেমিক মাদারিয়া গ্রামের মৃত গোলাপ খানে ছেলে সোহেল খান। আর প্রেমিকা বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে গত শুক্রবার ৩ জুন রাতে ভুঞাপুর থানায প্রেমিক সোহেল খানের নাম উল্লেখ্য করে একটি এজাহার দাখিল করেন।
এজাহারের বর্ণনায় জানা যায় দুই সন্তানের জনক সোহেল খান দীর্ঘদিন যাবৎ তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন । এক পর্যাযে তাকে শারীক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয় । শারীক সম্পর্কে রাজী না হওয়ায় ছাত্রীকে এসিড নিক্ষেপ ও শারীরিক নির্যাতনে হুমকীর অভিযোগ করা হয়েছে ওই এজাহারে। এজাহারে আরো উল্লেখ্য করা হয় শারীরিক নির্যাতনে ভয়েও শারীরিক সম্পর্ক না গড়ায় জোর করে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। মেয়েটি এখন ৮ মাসের অন্তঃস্বত্তা । এ বিষয়ে আপস মিমাংসার জন্য দুই-দুইবার গ্রাম্য শালিশী বৈঠক করা হয়েছে । গ্রাম্য শালিশে কোন সুরাহা না হওয়ায় আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন বলে জানান তার বাবা। ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা আরো বলেন আমি একজন দিন মজুর । সমাজে আমি দুর্বল, অর্থ- সম্বল তেমন না থাকায় ধারে ধারে ঘুরছি উপযুক্ত বিচারের আশায় । আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
সরেজমিনে এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ওই ছাত্রীর বাড়ীতে নেই । প্রতিবেশীরা ও বাড়ীর অন্যান্য লোকজন অপরিচিত কারো সাথে তেমন একটা কথা বলছেন না। অন্যদিকে প্রেমিক সোহেল খান গ্রাম্য শালিশের পর গা ডাকা দিয়েছে ।
মাদারিয়া গ্রামের বাসিন্দা শাকিল আহম্মেদ বাবু ওরফে আরিফুল ইসলাম বাবু বলেন মেয়েটির সম্পর্কে নানা কথা শুনতে পাওয়া যায় , তার সাথে এককভাবে কারো সাথে সম্পর্ক নাই । তার সাথে কযেক জনের সাথে সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। এখন কার দ্বারা সে অন্তঃস্বত্তা তা জানা খুবই কঠিন। তিনি আরো বলেন গ্রাম্য একটা রাজনৈতিক বিষয় আছে সেই রাজনৈতিক কারণে সোহেলকে জড়ানো হয়েছে। বাদীর যে অভিযোগ মেয়েটি ৮ মাসের অন্তঃস্বত্তা এতদিন পরিবারের কেউ কোন মাতাব্বরকে জানায় নাই আর হঠাৎ করেই ওই ছেলেটার নামে অভিযোগ এনে গ্রামে দরবার ডেকে বসলো। পরে গ্রামের লোকজন খোঁজ-খবর নিয়ে দেখে তার সাথে আরো অন্য ছেলেদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে।
এ ব্যাপারে প্রেমিক সোহেল খানের সাথে যোগাযোগা করা হলে তাকে বাড়ীতে পাওয়া যায় নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
ফলদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদু জানান বিষয়টা নিয়ে গ্রাম্য শালিশ করেছি যেহেতু অবৈধ সম্পর্ক এবং মেয়েটি অন্তঃস্বত্তার অভিযোগ করেছে এবং বিষয়টি ভিকটিম সোহেল খান স্বীকার না করায় এব্যাপারে আমরা কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারি না । তাই বাদীকে বলে দিয়েছি তোমরা আইনের আশ্রয় নেওয়া জন্য।
ভূঞাপুর থানা অফিসার্স ইন-চার্জ মোঃ ফরিদুল ইসলাম জানান আমি বিষয়টি শুনেছি ,বাদী পক্ষ এসেছিল এখনও লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.