কুমিল্লার লাকসাম মডেল কলেজের বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ

অপরাধ

বিশেষ প্রতিবেদক :
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম নশরথপুর মৌজায় ১৯৯৪ সালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রাড কতৃক ১০৬ শতক জায়গার উপর “ব্রাড মডেল মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ব্রাডের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত অধ্যক্ষ বশির আহমেদ। পরবর্তীতে নামকরণ করা হয় ব্রাড মডেল কলেজ। এ নামেই ২০০০ সালে তৎকালীন সাংসদ বর্তমান স্হানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এর সহযোগিতায় কলেজটি এমপিও করা হয় যার নাম্বার-০৮১১০৬৩১০২।
২০০১ সালে ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ বশির আহমেদকে হটিয়ে শুরু হয় মামলা মোকদ্দমা যা এখনো চলমান।
অধ্যক্ষ বশির আহমদ এবং তার সহধর্মিণী কলেজ কে ১০৬ শতক জমি দেন। যাহা শুরু তে “ব্রাড মডেল কলেজ” নামে পরিচালিত হয়। পরবর্তী তে কোন অজ্ঞাত কারণে প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে “লাকসাম মডেল কলেজ” (কলেজ কোড- ৮৪৩০) হয়ে যায়। কিন্তু দানকৃত দলিল শর্ত ছিল কোন অবস্থায় নাম পরিবর্তন করা যাবে না।

এ ছাড়া “লাকসাম মডেল কলেজের” অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের, দূর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে আবেদন করেন সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রাডের প্রতিষ্ঠাতা বশির আহমদের সহধর্মিণী ব্রাডের বর্তমান নির্বাহী পরিচালক মিসেস খোদেজা বেগম লীনা।

এ বিষয়ে তদন্ত করে জানা যায়, অধ্যক্ষ আবু তাহের একজন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ রোকন ও সক্রিয় সদস্য এ কারণে গত জোট সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন প্রভাব খাটিয়ে বারবার একক বা মনগড়া সিদ্ধান্তে পরিচালিত করে আসছেন কলেজটি। এমনকি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জমিন দাতাদের তথা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে বারবার মামলা হামলা করে হয়রানির অভিযোগও রয়েছে।

মহামান্য হাইকোর্ট এই মর্মে মিসেস খোদেজা বেগম লীনার পক্ষে রায় দেন রীট পিটিশন নং ৩২২৭/২০ এর অনুকূলে ২৬/০১/২০২১ ইংরেজি ক.প/কমিটি /কুম/২০২১/১৭/১ নির্দেশনা দেন।

জানা যায় অধ্যক্ষ আবু তাহের নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ছাএ-ছাএীদের কাছ থেকে বেতন, টিউশন ফি, তিন-চার গুন অর্থ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি দান অনুদানের টাকা, উপবৃওি, কলেজের আয় ব্যয়ের হিসাবে অসামঞ্জস্যতা রয়েছে বলে জানা যায়। পাশাপাশি মহিলা হিসাব রক্ষক নিয়োগে অর্থ লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে।

বিশ্বস্ত সূএে জানা যায় মূলতঃ কলেজ ১০৬ শতাংশ জমি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে একটি মহল “ব্রাড মডেল কলেজ” নাম পরিবর্তন করতেও দ্বিধা করেননি। যাহা গুরুতর প্রতারণা।

গত ২০১৫ ইংরেজী কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড অপকর্মের দায়ে অধ্যক্ষ আবু তাহের কে শো-কজ করেছিল। যাহা বর্তমান ২০২২ ইং পর্যন্ত এই শোকজ এখনো চলমান।

কিন্তু সে বহাল তবিয়তে কলেজ প্রতিষ্ঠাতাদের সাথে অসহযোগিতা করে আসছে শিক্ষা বোর্ড কেও পাত্তা দিচ্ছে না। ২০১৩ ইং থেকে কোন রকম পরিচালনা কমিটি ছাড়া কলেজ পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে হাইকোর্ট রায় প্রদান করেন অন্যতম প্রতিষ্টাতা সদস্য ব্রাডের নির্বাহী পরিচালক খোদেজা বেগম লীনা কে সভাপতি করে নির্দেশনা পাওয়ার পর জরুরী সভার তারিখ নির্ধারণ করলে সভায় অধ্যক্ষ আবু তাহের অনুপস্থিত থাকেন। এবং বহিরাগতদের দিয়ে হুমকি ধমকি দেন।

স্হানীয় এলাকা বাসীর সাথে আলোচনা করে জানা যায় এখানে অনেক শিল্পপতি থাকলেও এত কোটি টাকার সম্পওি কলেজ কে দেয়ার নজির খুব একটা নেই। মানুষের প্রত্যাশা প্রতিষ্ঠাতা বশির আহমদ সহধর্মিণী বা পরিবারের যথাযথ মর্যাদায় কলেজ পরিচালনায় রাখা উচিত।

লাকসাম পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সব সম্পওির মালিক অধ্যক্ষ বশির আহমদ এটা সত্যি আমরা আশা করি সবাই মিলে একটা সমন্বয় করে প্রতিষ্ঠান সুন্দর ভাবে পরিচালিত হবে।

কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবদুস ছালামের মুঠোফোনে পাওয়া না গেলে তার ব্যক্তিগত সহকারী সুমন রায়ের সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি জরুরি কাজে ঢাকায় আছেন। এজন্য তাহার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

লাকসাম ব্রাড মডেল কলেজ বা লাকসাম মডেল কলেজে অধ্যক্ষ আবু তাহের বলেন অধ্যক্ষ বশির আহমদ কলেজ প্রতিষ্ঠাতা এবং জমির মালিক এটা সত্যি আমরা বিষয় অভিযোগের বিষয়টি তার পরিবারের সাথে সমঝোতা করে নিব। জামায়াতে ইসলামীর রোকন বিষয়ে বলেন সরাসরি জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত নই তবে জামায়াতের অনেক নেতার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক আছে বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published.