কুমিল্লার লাকসামে বিআরটিসি বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত

দুর্ঘটনা

মোঃ ইকবাল মোরশেদ :
লাকসামে যাত্রীবাহী বিআরটিসি বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজন নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন। আহত ও নিহতরা সকলেই সিএনজি যাত্রী।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের লাকসাম উপজেলার কালিয়াচৌ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে বাহার মিয়া (৫৫) ও তার শাশুড়ী গোলাপ নাহার (৭০) নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মেয়ে জান্নাত (১) ও স্ত্রী পারুল বেগম (৪০) মারা যান। তাদের বাড়ি লালমাই উপজেলার ভোলাইন ইউনিয়নের পরতী গ্রামে।

মরহুমদ্বয়ের জানাজা আজ বিকাল ৪:৩০ মিনিটে পরতী দারুল উলুম মোহাম্মদিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফেনির দাগনভূঁইয়া চাচা শ্বশুরের জানাযায় যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার ভোরে বাহার মিয়া পরিবার নিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় রওয়ানা হন। অটোরিকশাটি কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কালিয়াচৌ এলাকায় পৌঁছুলে ঢাকাগামী বিআরটিসি বাস অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে বাহার ও তার শাশুড়ী গোলাপ নাহার মারা যান। পরে কুমিল্লা হাসপাতালে নেয়ার পথে তার স্ত্রী পারুল বেগম ও মেয়ে জান্নাতুল মাওয়ার মৃত্যু হয়।

লাকসাম হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা মাকসুদ আহমদ জানান, নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বিআরটিসি বাস ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৫৪৮৪-এর সঙ্গে নোয়াখালীগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশা কুমিল্লা থ-১১-৫৬৯৩ উপজেলার কালিয়াচৌ এলাকায় হাইওয়ে কুমিল্লা-নোয়াখালী পাকা সড়কে রাস্তার উপর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই গোলাপ নাহার ও বাহারুল আলমের মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অপর ৩ জনকে মুমূর্ষ অবস্থায় লাকসাম সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের জরুরী ভিত্তিতে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

খবর পেয়ে লাকসাম ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও সিএনজি জব্দ করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.