কুমিল্লার তিতাস জিয়ারকান্দিতে প্রায় ১শত প্রতিবন্ধীর মাঝে খাদ্য ও কম্বল বিতরণ

অন্যান্য

হালিম সৈকত :
আসুন, ‘প্রতিবন্ধীদের সেবায় আমরা নিজেদের মানবিকতাকে জাগ্রত করি’, এই প্রতিপাদ্যাকে সামনে রেখে তিতাসের জিয়ারকান্দিতে প্রায় ১ শত প্রতিবন্ধীর মাঝে খাদ্য ও কম্বল বিতরণ করা হয়।
প্রতিবন্ধী কল্যাণ ট্রাস্ট-এর আয়োজনে আজ ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল দশটায় উপজেলার জিয়ারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলোয়াত করেন, সুশীল সমাজ সংগঠনের সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন।
অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন, প্রতিবন্ধী কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও নিরাপদ চিকিৎসা চাই কুমিল্লার অন্যতম সদস্য মোঃ আরিফুল ইসলাম রাসেল। সভাপতি ছিলেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার। প্রধান অতিথি ছিলেন, নিরাপদ চিকিৎসা চাই কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক কবি ও কলামিস্ট মো. আলী আশরাফ খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মোঃ আমির হোসেন সরকার, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক রোটারিয়ান গাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, মোঃ শফিউল আলম তাহের মোল্লা, গোমতী ডট টিভির নির্বাহী সম্পাদক মোঃ বিল্লাল মোল্লা, মোঃ ইসমাইল হোসেন মোল্লা, শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোসাঃ রহিমা আক্তার (সাবেক মেম্বার), সমাজসেবক মোঃ হারুর-অর রশিদ, মোঃ শাহআলম প্রমুখ।
এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিবন্ধী কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ও তরুণ সমাজকর্মী মোঃ সজীব সরকার বাবু, মোঃ হাসান সামি, মোঃ মামুন সরকার, মোঃ সাহাদাৎ হোসেন, মোঃ কিবরিয়া ও মোঃ জিলানী আহমেদ প্রমূখ।
সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন,’ আমাদেরকে মনে ধারণ করতে হবে যে, প্রতিবন্ধীরা আমাদেরই পরিবারের সদস্য। আমরা যা খাই এবং যা পরি ঠিক তা তাদের জন্যও ব্যবস্থা করতে হবে। দায়বদ্ধতার জায়গায় থেকে সমাজকর্মীদের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালীদেরকেও এই দায়িত্ব নিজ থেকে গ্রহণ করতে হবে’।
সভায় অনুষ্ঠানের সভাপতি বলেন,’ প্রতিবন্ধীদেরকে নিয়ে আমরা আজ যা করছি, তা অনেক আগেই শুরু করা দরকার ছিল। প্রতিবন্ধীদেরকে যদি আমরা সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করতে পারি, তারাও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে।
এসময় তিনি আরো বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, সমাজে অনেক প্রতিবন্ধী রয়েছেন-যারা প্রকৃত প্রতিবন্ধী হয়েও সরকারের সাহায্য-সহযোগিতা হতে বঞ্চিত। অথচ, প্রতিবন্ধী নন-এমন অনেক মানুষ সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন! এই সংস্কৃতি হতে আমাদের বের হতে হবে’।

Leave a Reply

Your email address will not be published.