কুমিল্লায় দুদকের অবহেলায় ২ বছরেও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগের নেই অগ্রগতি কিংবা যথাযথ ব্যবস্থা

অপরাধ

এম শাহীন আলম :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১নং কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন এর বিরুদ্ধে দুদকে কোটি টাকা সম্পদ অর্জনের দুটি অভিযোগ থাকলেও গত দুই বছরে কোন অদৃশ্য শক্তির ? নাকি রফার দফার কারনে অভিযোগ দুটির সুরাহা কিংবা ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে এমন অভিযোগ উঠেছে খোদ কুমিল্লা জেলা আঞ্চলিক দূর্নীতি দমন কমিশনের বিরুদ্ধে,বিশ্বস্হ সূএে জানা যায় চেয়ারম্যান মোশারেফ এর বিরুদ্ধে অভিযোগটি করা হয় ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে, প্রাথমিক যাচাই বাচাইয়ের পর ,অভিযোগটির পুনরায় সঠিক ভাবে অধিকতর তদন্তের জন্য কুমিল্লায় দুদকের আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয় মোশারেফ এর বিরুদ্ধে করা অভিযোগের সকল কাজ পএ গুলি, এরপর তৎকালীন কুমিল্লা আঞ্চলিক দুদক কর্মকর্তা এই অভিযোগটি যাচাই বাচাই ও তদন্তের জন্য একজন অফিসার কে দায়িত্ব দেন,তখন ঐ অফিসার চেয়ারম্যান মোশারেফ কে কুমিল্লা দুদক আঞ্চলিক কার্যালয়ে একাধিক বার তলব করেন এবং তৎকালীন কর্মকর্তা ও তদন্তকারী অফিসারের যোগসাজশে তাদের মন খেয়াল খুশি মতো একটি তদন্ত প্রতিবেদন দেন,তখনকার দুদক অফিসার মনগড়া প্রতিবেদন নাখোশ করে এবং প্রতিবেদনটির প্রতি আপওি জানান মোশারেফ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করা অভিযোগকারীরা সহ মোশারেফ চেয়ারম্যানের এলাকার সচেতন নাগরিকরা, এই তদন্ত প্রতিবেদন ও তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিতে এবং পুনরায় সরেজমিনে গিয়ে তদন্তের জন্য বিনয়ের সহিত অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করেন অভিযোগকারী ব্যক্তিগন,তখন অভিযোগকারীদের তোপের মুখে ও আবেদনের পেক্ষিতে পুনরায় তদন্ত করার জন্য তৎকালীন অভিযোগ/ মামলাটির তদন্তভার দেন অন্য আরেকজন অফিসারকে, জানা যায় তদন্তভার দেওয়ার ঐ সময়ের পর থেকে অভিযোগটির বিষয়ে কোন প্রকার তদন্ত কিংবা সুরাহা অথবা দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার কারনে অভিযোগকারীরা গন-মাধ্যমের হস্তক্ষেপ কামনা করে নিউজের জন্য বিস্তারিত বলেন, বাংলাদেশ দূর্নীতি দমন কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিশ্বস্হ সূএে জানা যায় যদি কেউ কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ কিংবা মামলা দায়ের করে তাহলে তা খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে সঠিক অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে বিষয়টির সুরাহা করা অথবা অভিযোগের তদন্ত শেষে যদি অভিযোগের সত্যতা প্রমান পাওয়া যায় তাহলে দোষীর বিরুদ্ধে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা থাকলেও গত দুই বছরেও মোশারেফ চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে করা অভিযোগের কোন সঠিক অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে আবারও অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা দুদক আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে, উক্ত বিষয়টি দ্রুত হস্তক্ষেপ করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুদক মাননীয় চেয়ারম্যান/প্রধানের প্রতি সু-দৃষ্টি আকর্ষণ সহ বিশেষ অনুরোধে জানাচ্ছে অভিযোগকারী ব্যক্তিগনসহ কুমিল্লার সচেতন মহল,
উল্লেখ্য বাংলাদেশ দূর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা স্মারক নং-০০.০১.০০০০.৫০৩.২৬.৬৭৮.১৯.৪৬৬৬১ তারিখ ০১/১২/২০১৯ খ্রিস্টাব্দ এবং দূর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয় স্মারক নং দুদক/সজেকা/৩৯/২০১৯/২৮৭৪ তারিখ ১৫/১২/২০১৯ খ্রিস্টাব্দ ই/আর নং ৩৯/২০১৯ চলমান,

বিশেষ সূএে জানা যায়,চেয়ারম্যান মোশারেফ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজেকে পুনরায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে আসছে এবং সরকার দলীয় মনোনয়ন ও নৌকা প্রতীক এর জন্য স্হানীয় এমপি মুজিবুর হক এর নিকট আবেদন জানান ও ভোটের জন্য এলাকার জনগনের দ্বারস্ত হচ্ছেন বলে খবর পাওয়া যায়,

জানা যায়,গত পাঁচ বছর মোশারেফ চেয়ারম্যান দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তার ব্যর্থতা, অবৈধ সম্পদ অর্জন,দূর্নীতির কারনে যদি কোন অবস্থায় দলীয় মনোনয়ন থেকে সে চিটকে পরে তাহলে তার এলাকায় চেয়ারম্যান পদবীর প্রভাব খাটিয়ে যাদের সাথে অশুভ আচরন করেছে যাদের সাথে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রতারণা করেছে তাদের তোপের মুখে পরার আগেই গোপনে দেশ ত্যাগ করার কথা রয়েছে তার, মোশারেফ চেয়ারম্যান এর পাসপোর্টটি এখনি দ্রুত জব্দ করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দৃষ্টি ও মনোযোগ আকর্ষণ করছে ১নং কাশিনগর ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষ,
সরেজমিনে অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, চেয়ারম্যান মোশারেফ তার নির্বাচনী ১নং কাশিনগর ইউপি এলাকায় এতো বেশি উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন যে, তার কাজের বদৌলতে আসন্ন নির্বাচনে যদি জনগণ কেন্দ্রে গিয়ে সুষ্ঠ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তাহলে মাএ ২০% ভোট পেতে তার কস্ট সাধ্য হবে বলে এলাকার জনগণের মতামত পাওয়া যায়,

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,গত বছর কাশিনগরে একটি সেন্টার পরীক্ষার হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে চেয়ারম্যানী ক্ষমতার দাপটে প্রবেশ করলে পরীক্ষার হলে ডিউটিরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে অসদাচরণ এবং তৎকালীন পরিক্ষার কেন্দ্রে পরিদর্শনে আসা এসিল্যান্ডের সাথে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে হুমকি দমকি ও অশুভ আচরনের কারণে এই চেয়ারম্যান মোশারেফ কে চেয়ারম্যান পদ থেকে স্হানীয় সরকার মন্ত্রনালয় সাময়িক বরখাস্ত করেন,বেশ কিছু দিন বরখাস্ত থাকার পর নিজেকে দোষী শিকার করে ক্ষমা চেয়ে মুচলেখা দিয়ে আবারও সাবেক রেলপথ মন্ত্রী ও কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম মাটি ও গণ-মানুষের নেতা মজিবুল হকের সুপারিশ এবং দয়ায় তার চেয়ারম্যান পদটি পুনরায় ফিরে পান,

উল্লেখ্য গত ১ যুগ আগেও যার মাথা গোজার ঠাঁই ছিলোনা ভূমিহীন দারিদ্রতার গ্রাসে যার নুন আনতে পান্তা পুরাতো,তিন বেলা খাবারের অভাবে বর্তমান কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ এর মা ইউনিয়ন ভিজিডি কার্ডের মাধ্যমে ইউনিয়ন হতে চাল সংগ্রহ করতো এবং এলাকার কাশিনগর বাজারের ধান-মারাই মেইলে কাজ করে সাংসারিক চাহিদা পূরন করতো,জানা যায় এই মোশারেফ বিয়ে করার পরও বেকার ছিলেন এবং তার স্ত্রী সে সময়ে একটি স্বাস্থ্য-বিষয়ক এনজিও (পুষ্টিতে)মাঠ কর্মী হিসেবে কাজ করতেন, অভাবে অনাটনের সংসারে সেই সময়ে মানুষের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে প্রবাসে যাওয়ারও পরিকল্পনা করেন মোশারেফ,আর সেই মোশারেফ সাবেক রেলপথ মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হওয়ার বদৌলতে বর্তমানে সে বিলাস বহুল বাড়ী,গাড়ী,ও কোটি টাকার মালিক।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায় এই মোশারেফ হোসেন ছাএ জীবনে জামাত শিবির এর একনিষ্ঠ সক্রিয় কর্মী ছিলেন,এবং ৮০ থেকে ৯০ দশকে চৌদ্দগ্রাম থানা শিবিরের জনপ্রিয় কর্মী এবং কাশিনগর ইউনিয়ন শিবিরের সাথী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন,তৎকালীন জামাত নেতা সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের অনুসারী শিবির নেতাদের সাথে তার রাজনৈতিক অন্তঃকোন্দল হলে সে তার নিজ অনুসারীদের নিয়ে জেলা নেতাদের নির্দেশে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মিটিং সমাবেশে অংশগ্রহণ করতেন, এরশাদ সরকারের আমলে একটি প্রোগ্রামে বেয়াদবি করার কারনে ছাএলীগ কর্মীরা তাকে বেধরক পিটিয়ে পা ভেঙে আহত করেন,তখন তার এলাকার কিছু লোক মানুষ হিসেবে দয়া দেখিয়ে তাকে চিকিৎসা করান, তৎকালীন মাইর খাওয়ার পর থেকে আস্তে আস্তে মোশারেফ আওয়ামীলীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতা কর্মীদের সাথে উঠা বসা করতে শুরু করেন,এই ভাবে তার জীবন যাএা চলতে থাকে,জানা যায় এই মোশারেফ ছোট বেলা থেকে অধিক বুদ্ধিমওা এবং টাউট প্রকৃতির লোক হওয়ার কারনে সে সময়ে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের অতি অল্প সময়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে, এবং এক সময়ে কাশিনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি খাইরুল আনাম তালুকদার সহ আরো বেশ কিছু নেতা তাকে বর্তমান এমপি মুজিবুল হকের কাছে নিয়ে পরিচয় করিয়ে দেন,এই পরিচয়টাকে পুঁজি করে মোশারেফ হোসেন চিটার প্রকৃতি হওয়ার কারনে ধীরে ধীরে বিভিন্ন কৌশলে সাবেক রেলমন্ত্রী ও বর্তমান এমপি মজিবুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এক সময়ে তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিয়োযুক্ত হন, তার এলাকার মানুষের মুখে মুখে একটাই প্রশ্ন এতো কম সময়ে
মাএ কয়েক বছরের ব্যবধানে কোন এক আলাদিনের চেরাগ পেয়ে বিলাস বহুল বাড়ী,ফ্ল্যাট,গাড়ীর মালিক বনে গেলেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১নং কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন।যাকে এলাকার মানুষ এক সময়ে “পোকা” মোশারেফ বলে ডাকতো।

সরেজমিনে গিয়ে আরো জানা যায়- এই মোশারেফ এর বোনও এক সময়ে অভাবের সংসারে তিন বেলা আহার জোগাতে রাস্তায় মাটি কাটার কাজ করতো, সেই মোশারেফ বর্তমানে ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার বদৌলতে গড়েছেন সম্পদের পাহার। চৌদ্দগ্রাম সংসদীয় আসনের এমপি মজিবুল হক এমপির হাত ধরে শিবির কর্মী হতে আওয়ামীলীগে যোগদান এবং সাবেক রেলপথমন্ত্রী মজিবুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন সময়ে রেলপথ মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে নামে বে নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ পূর্বক পরবর্তীতে কাশিনগর ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়- ২০১০ সালে মোশারফ ভূমিহীন হিসেবে ততকালীন এসিল্যান্ডে এর নিকট আবেদন করে সামান্য জমিতে বসতবাড়ি করে একটি ঠিকানা বন্দোবস্ত করার জন্য ( যার দলিল নং ২৭০৪/১০,সাব রেজিষ্টার,চৌদ্দগ্রাম কুমিল্লা ) যা এখনো তিনি দখলে যেতে পারেননি এবং এই জমির বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান, সেই সময়ে এসিল্যান্ডের দেওয়া জমিতে দখলে যেতে না পেরে পরবর্তীতে নিজেই জমি কিনে তার নিজ গ্রামে বিলাস বহুল বাড়ী নির্মাণ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ তার নিজ এলাকার লোকজন জানান, মাএ এক যুগ না যেতেই কি করে কোন আলাদিনের চেরাগ পেয়েছেন, কিভাবে যে এত দ্রুত টাকার মালিক বিলাস বহুল বাড়ী,প্রিমিও,এলিয়ন গাড়ী,বিলাস বহুল জীবনযাপন করছেন “পোঁকা” মিয়া আজকের মোশারেফ চেয়ারম্যান।

জানা যায় কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের প্রান-পুরুষ জন-নন্দিত গরীব ও মেহনতি মানুষের নেতার আর্শিবাদে ভাগ্যক্রমে ২০১৬ সালে সাবেক রেলপথমন্ত্রী মজিবুল হক এর দয়ায় ভোট বিহীন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, এই চেয়ারম্যান হওয়ার বদৌলতে শুরু হয় যে কোন উপায়ে টাকা কামানোসহ অবৈধ সম্পদ বাড়ানোর অপকর্ম। অনুসন্ধানে জানা যায়- সাবেক রেলমন্ত্রী মজিবুল হক মজিব এমপি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে তার নাম ভাঙ্গিয়ে রেলওয়ে খালাসী পদ সহ একাধিক পদে চাকুরী দেবার কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এই মোশারেফ। চেয়ারম্যান ছাড়া টিকাদারী ব্যবসার নামে করেছেন ব্যাপক অনিয়ম যা এলাকায় দৃশ্যমান ,অবৈধভাবে কাকঁড়ীএবং ডাকাতিয়া খাল জবর-দখল করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বছরের পর বছর কোটি কোটি টাকার মাটি বিক্রি করেন। যা এখনো খালের পাড়ে দৃশ্যমান। এছাড়াও বিভিন্ন পন্থায় অবৈধ ভাবে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়, তিনি তার ইউনিয়নের বারৈয়া গ্রামে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত করেছেন বিলাসবহুল বাড়ী-যার নাম করণ করেছেন চেয়ারম্যান বাড়ী।

এছাড়াও অনুসন্ধানে আরো জানা যায় মোশারেফ চেয়ারম্যান কুমিল্লা নগরীর নবাব ফয়জুনেচ্ছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মিলন কুঞ্জসহ কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি ফ্ল্যাট তা স্ত্রী ও আত্মীয়ের নামে কিনেছেন। শুধু কুমিল্লায় নয় রাজধানী ঢাকার মগ বাজারে বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটের মালিকও তিনি,জানা যায় গত কয়েক বছর ধরে তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করছে। গত দশ বছর আগেও যার একটি বাইসাইকেল কেনার সামর্থ্য ছিলো না,তিনি বর্তমানে ক্রয় করে ব্যবহার করেন একটি প্রিমিও, একটি এলিয়ন এর মতো বিলাস বহুল গাড়ি, যে সব গাড়ির ম্যানটেইনেস খরচ মাসে লাখ টাকারও বেশি,

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় তিনি নাকি মালয়েশিয়াতেও দ্বিতীয় বাসস্থান হিসেবে বাড়ী ক্রয় করে রেখেছেন। আর বিদেশ ভ্রমন তো তার কাছে কোন বিষয় না গত পাঁচ সাত বছরে তিনি এশিয়া,মধ্যপ্রাচ্য,ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমন করেছেন। বর্তমান চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও তিনি সৌদি আরবে ওমরা হজ্বের নামে ১৪ দিন সফর করে আসছেন,তার এলাকার জনগনের প্রশ্ন একজন লোক সাধারনত বিদেশ ভ্রমন করতে গেলে বহু টাকার প্রয়োজন হয়, তিনি প্রতি বছরেই কয়েক মাস পর পর বিদেশ ভ্রমন করেন, একজন ইউপি চেয়ারম্যানের আয়ের উৎস কোথায়, চেয়ারম্যান হিসেবে ভাতা কত টাকা পান,জানা যায় তার ইউনিয়ন এলাকায় মদ ,জুয়ার স্পট ,অবৈধ মাটি কাটা ,অবৈধ ইট ভাটা থেকে তিনি মাসিক ভাবে বিভিন্ন উৎসবের নাম করে টাকা হাতিয়ে নেন, এছাড়া তার ইউনিয়ন এলাকায় গ্যাসে চালিত সিএনজি, ব্যাটারীচালিত অটো-রিক্সা,অবৈধ কাগজপত্র বিহীন ট্রাক্টর,ড্রামট্রাক সহ ছোট বড় বিভিন্ন পরিবহন থেকে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে জিবি’র নামে চাঁদার টাকা যার বেশিভাগ মোশারেফ চেয়ারম্যান এর পকেটে আসে,এলাকায় বিচারের নামে অনিয়ম তো আছেই, অনুসন্ধানে জানা যায় টাকার জন্য এমন কোন অপকর্ম নেই যে, তিনি তা করেন না। তার পারিবারিক জীবনে জানা যায় এই মোশারেফ তার সহ-ধর্মীনিকে পটিয়ে ফুসলিয়ে তার শ্বশুর বাড়ীর অমতে অসামাজিক ভাবে বিয়ে করেন,যা তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তাকে জামাই হিসেবে মন থেকে মেনে নিতে চাননি বহু বছর ধরে, গোপনসূএে জানা যায় এই মোশারেফ এর অবৈধ লক্ষ লক্ষ টাকা তার স্ত্রী’র বড় ভাইদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ডিপোজিট করা রয়েছে,জানা এই মোশারেফের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখি সহ দুদকে মামলা হওয়ার কারনে সে স্হানীয় সংবাদ কর্মীদের সাথে লিয়াজোঁ করে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে,বর্তমানে এই মোশারেফ কুমিল্লার সেরা মিডিয়া বান্ধব চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত ।

নিউজটি লেখার সময় মোবাইল ফোনে তার বক্তব্যের জন্য একাধিক বার কল করা হলেও তিনি বার বার ই মিটিং এ অজুহাত দেখিয়ে কল কেটে দেন এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়,

  1. পরবর্তী অনুসন্ধানে চাঞ্চল্যকর তথ্য সহ নিউজের ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.