ঢাকার আশুলিয়ায় সন্ত্রাসী কাউছারের ছুরি আঘাতে মৃত্যুমুখী কাপড় ব্যবসায়ী ; পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি

অপরাধ

আশুলিয়া প্রতিনিধি :
ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাস বাহিনীর অন্যতম লিডার কাউছার, এক কাপড় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। গতকাল ২১এপ্রিল (বুধবার) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে জামগড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে।আহত ব্যবসায়ী জামগড়া উত্তর পাড়ার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মশিউর রহমান (২৮)।
এব্যাপারে আহত ব্যবসায়ীর ছোট ভাই হাসিবুল হাসান বাদি হয়ে ওই দিন রাতেই আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত (২০ এপ্রিল) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোশারফ মার্কেট এলাকায় একটি ছেলেকে কাউছার সহ তার সঙ্গীয় সন্ত্রাসীরা অহেতুক ভাবে বেধরক মারপিট করে।স্থানীয় কয়েকজন এই মারপিটের প্রতিবাদ করায় কাউছার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়। পরের দিন (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে কাপড় ব্যবসায়ী মশিউর রহমান তারাবি নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার পথে মোঃকাউছার, সোহাগ, তানভির,বাবু,ও পারভেজসহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মশিউরের উপর হামলা চালায়। এসময় মশিউরকে এলোপাতারী মারপিটসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ মারে।মশিউরকে বাচাঁতে সবুজ ও নাইম নামের দুজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেধরক মারপিট করে এবং সবুজের মাথায় চাপাতি দিয়ে কোপ মারে। এ খবর শুনে আত্মীয় স্বজন ঘটনা স্থলে গিয়ে তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সবুজকে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে এবং মশিউরকে মূমুর্ষ অবস্থায় সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,সন্ত্রাসীরা কেউ এ এলাকার স্থানীয় না, তারা স্থায়ী কোনো কাজও করেনা । তারা এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় প্রভাশালী এক ব্যক্তির ছত্রছাঁয়ায় মাদক ব্যবসা,চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে।তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।এদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বললে তাঁর পরিনতি মশিউরের মত হয়।
এদিকে ভুক্তভোগীর ছোট ভাই হাসিবুল হাসান জানান,তাঁর বড় ভাই মশিউর রহমানের অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউ তে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন,তবে থানায় মামলা না নিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে উল্টো তাকেই ধমক দিচ্ছেন থানা পুলিশ। আসামীদের আটক করতেও কালক্ষেপণ করছেন বলে জানিয়েছে সে।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানার ওসি (অপারেশন) আব্দুর রাশিদ বলেন,আসামীদের পিতার নাম এবং ঠিকানা উদঘাটন করে নিয়মিত মামলা হবে।আসামীদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তী অনুসন্ধানে এসব সন্ত্রাসীদেন লালন দাতার বিষয়ে তুলে ধরা হবে…

Leave a Reply

Your email address will not be published.