সমাজসেবায় ও শিক্ষানুরাগী উজ্জল নক্ষত্র এনামুল হক মুন্সী

অন্যান্য

মোলিনা আক্তার মুক্তা :
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত হওয়ার প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য জনাব

এনামুল হক মুন্সী। ঢাকা জেলার কোলঘেষে আশুলিয়া থানায় গাজীরচট গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও মুন্সী পরিবারে জন্ম

গ্রহণ করেন তিনি। তার পিতাঃ মরহুম হাজী মোঃ কফিল উদ্দিন এর অর্থ আধিপত্য পরিপূর্নতার কোন কমতি

ছিলনা। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত অঘাত ধন-সম্পদের আড়ালে নিজেকে লুকীয়ে না রেখে জনাব এনামুল হক মুন্সী সমাজ

ও শিক্ষা সেবায় নিজেকে এগিয়ে নিয়ে চলছেন। এলাকার হত দরিদ্রসহ সাধারণ মানুষের যে কোন সমস্যায় স্বরণ

করলে তাকে পাশে পাওয়া যায়। নিরিহ ও অসহায় মানুষের প্রতি তার সহমর্মিতার হাত প্রসারীত। শিক্ষা জীবনে বড়

ধরনের ডিগ্রী অর্জন করতে সক্ষম না হলেও তিনি, শিক্ষার প্রতি ছিলেন ব্যপক দূর্বল ও অনুরগী। নিজের আড়াম

আয়েশকে বিসর্জন দিয়ে নিবির ভাবে গা ভাসিয়ে দিয়েছেন সমাজ ও সমাজের মানুষের সেবায়। সমাজের সাধারণ

মানুষের সুবিধার্থে নিজ অর্থয়ানে গড়ে তুলেছেন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিহমখানা সহ বিভিন্ন মুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

সমাজের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে তার অবদান রয়েছে যথেষ্ট। তিনি ২০১৫ সালে স্ব-নির্ভও ধামসোনা আওয়ামী

লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন এবং বর্তমানে চলমান। তিনি এলাকার সূনাম ধন্য ও সু-পরিতিত পরিবারের সু-যোগ্য সন্তান। ওনার পরলোকগমন দাদাঃ কারি সিরাজ উদ্দিন মুন্সী ছিলেন সহায়-সম্পদ

পরিপূর্ন একজন ধনাডো ব্যক্তি এবং গাজীরচট প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতায় অন্যতম দাতা সদস্য। ১৯৩৯ সালে

০১ বিঘা ভূমি সম্পত্তি প্রথমিক বিদ্যালয়ে দান করেন। জনাব এনামুল হক মুন্সীর মরহুম পিতা-হাজী কফিল উদ্দিন

১৯৫৭ সালে ০১ একর ৬৫ শতক জমি গাজীরচট উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে দান করেন। এলাকার মানুষের ঐক্যবদ্ধ

প্রচেষ্ঠা ও সহ যোগিতায় ঐ জমির উপরে গড়ে উঠেছে গাজীরচট উচ্চ বিদ্যালয়। উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা

হিসাবে ওনার যথেষ্ট সুনাম ও গুনগান রয়েছে সমাজে মানুষের মুখে। জনাব এনামুল হক মুন্সী-২০১৯ সালে

গাজীরচট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে দায়ীত্ব প্রাপ্ত হন। দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার পর তিনি

গাজীরচট উচ্চ বিদ্যালয়েকে গাজীরচট এ.এম উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ রূপান্তরীত করেন। পাশা-পাশি ঐ শিক্ষা

প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামগত উন্নয়নমূলক সকল কার্যক্রম অব্যহত রেখেছেন। প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে এগিয়ে নিয়ে

চলছেন সু-সৃঙ্খল শিক্ষর পরিবেশ। বৃদ্ধি পাচ্ছে শিক্ষার হার। অনার্থ ও এতিহমদেও সূ-শিক্ষায় শিক্ষিত হিসাবে

চিহ্নিত করতে নিজ অর্থয়নে গড়ে তুলেছেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গাজীরচট দারুল উলুম মাদ্রাসা সহ বাড়ীর

পাশে এতিমখানা গড়ে তুলে অসহায় ও এতিমদের প্রতি নিজের হাত প্রসারীত করে রেখেছেন, ঐ এমিখানায় প্রায়

কয়েক শত এতিম ও অসহায় পরিবারের সন্তানরা শিক্ষা গ্রহন করে আসছে। সেখানে রয়েছে ভাল থাকা-খাওয়ার সু-ব্যবস্থা। বহাল রয়েছে ধর্মীয় শিক্ষার গুনগত মন উন্নয়নমূলক ব্যবস্থাও। সম্পূর্ন করে চলেছেন পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া

প্রাপ্ত আয় থেকে। তাছাড়া বর্তমান বিশ্বের মহামারী করোনায় অনেক অসহায় পরিবারেকে তার নিজ সাধ্য অনুযায়ী

সহযোগিতা অব্যহত রয়েছে। এসকল সামাজিক উন্নমূলক কাজ দেখেই বুঝাযায় জনাম এনামুল হক মুন্সী একজন

নির্ভীক সমাজ সেবায় ও শিক্ষা অনুরাগী নক্ষত্র। এলাকাবাসী তার দীর্ঘায়ুও ও সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.