Doinik Bangla Khobor

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সরকারি পুকুর দখলের অভিযোগ

রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান :
রাজশাহীর -গোদাগাড়ী উপজেলার সাড়োইলে কয়েক জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি ৭ বিঘা বা ২ একরের বেশি সরকারি পুকুর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই পুকুর কয়েক জন মিলে দামকুড়া থানা অধিনস্ত হোরিপুর ইউনিয়নের বাবলু হাজি নামের এক ব্যাক্তির কাছে বছরে ১লক্ষ ২০হাজার টাকার টেন্ডার দিয়েছে বলে যানা যায়। যা বে আইনি এবং সরকারকে এক প্রকার ধোকা দেয়া। বাবলু হাজি ওই পুকুরে মাছ চাষ করে তা বিক্রিও করছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় পুকুরটি প্রায় ২০-২৫ বছর ধরে ভোগ করে আসছে কিছু নাম ধারি সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়রা আরো বলেন তারা সাধারণ জনগণের মাঝে আতঙ্ক ও ভয় ধরিয়ে রেখেছে। তাদেরকে দেখে সবাই ভয়ে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষি দিতেও মানুষ ভয় পাই। স্থানীয় সাধারণ মানুষেরা বলেন আমাদেরকে পুকুরেও নামতে দেইনা এবং সন্ত্রাসীরা পুকুর পাড়ের লাগানো ১০০ টি মতো মেহগনি গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। সন্ত্রাসীরা পুকুরের পাড় পর্যন্ত সমস্ত দখল করে রেখেছে। দখল কারিরা বলে পুলিশ প্রশাসন আমাদের কেনা পকেটে থাকে।
এদিকে সরকারি স্বার্থ রক্ষা ও বিধি মোতাবেক পুকুরটি ইজারার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে যানানোও হয়েছে। ফোনে গোদাগাড়ী উপজেলার নির্বাহী অফিসার জানে আলমকে জানালে তিনি আমাকে একটি লিখিত অভিযোগ তার কাছে জমা দিতে বলেন। সাধারণ জনগণ থেকে বঞ্চিত পুকুরটি রক্ষার্থে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্যে সব রকম ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ অভিযোগ দেওয়ার জন্যে ব্যাবস্থা করেছেন সাড়োইল গ্রামবাসীর পক্ষে থেকে সাংবাদিক মোঃ সুজন আহাম্মেদ । এ ছাড়া সাংবাদিক মোঃ সুজন আহাম্মেদ ওই পুকুরটি যেন কেউ অন্যায়ভাবে দখল করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করবেন। মৎস্য বিভাগ জানায়, ওই পুকুরে বছরে প্রায় সাত মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন সম্ভব।
এলাকার অনেকে জানান, এই পুকুরটি প্রায় ২০-২৫ বছর আগে নিজের বলে দখলে ভোগদখল করতো। পরে ৫ জন বাদি হয়ে পুকুরটি খাস বলে মামলা করে। পরে বাদি পক্ষ রাজশাহী জজ কোর্ট এবং পরে হাইকোর্ট থেকেও পুকুরটি খাস বলে রাই পেয়ে যায়। যারা পুকুরটকে শ্রম দিয়ে, টাকা খরচ করে, রায় নিয়ে এসেছে তাদেরকে বাদ দিয়ে এখন অন্য ব্যাক্তিরা পুকুরটি লুটে পুটে খাচ্ছে। এমনকি তাদেরকে পুকুরে এবং পুকুরের পাড়েও যেতে দেওয়া হয়না। পুকুরটির বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দেখলে আরো অনেক কিছু জানা যাবে বলেও জানাই স্থানীয়রা। উক্ত ঘটনাটি সম্পর্কে চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ স্থানীয় এলাকার আরো অনেকেই জানে।