Doinik Bangla Khobor

ভোলার চরফ্যাশনে স্কুলছাত্রকে ক্ষেতে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যার চেষ্টা

হাওলাদার শাহাবুদ্দিন
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ডের মৃত আলমগীর মাঝির ছেলে নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্র বাছেদকে রাত আনুমানিক দশটার দিকে বাড়ির পাশের ধান ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে হাত পা বেঁধে মুখের মধ্যে ধান ও বন ঢুকিয়ে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেঁধে নির্মমভাবে টর্চারিং করে হত্যার চেষ্টা করে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় একই গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে ছোটন (১৬) গত শুক্রবার রাত ৮:৫৬ ঘটিকায় ফোনে কল দিয়ে ডেকে নেয়।
এবং বাছেদের এর বড় ভাই মোহাম্মদ মিজান রাত ৯:০০ টার দিকে তাদের বাড়ির আশেপাশে ছোটনকে ঘুরতে দেখে।

বাছেদ প্রায় দেড় ঘন্টার অধিক বাসা থেকে বের হওয়ার পর ফোন বন্ধ থাকায় বাছেদ কে তার স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে ।
অনেক খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পাশে বাছেদের বড় ভাই মিজানের সাথে যেখানে দেখা হয়েছিল ছোটন এর সাথে সেই জায়গায় পড়েছিল বাছেদের মোবাইল ফোন এবং চাদর ।

প্রায় একঘন্টা খোঁজাখুঁজির পর বাছেদের বাড়ির দক্ষিণ পশ্চিম পাশে ধান ক্ষেতের মধ্যে হাত-পা বাঁধা এবং মুখের মধ্যে দান ও ভন ঢুকিয়ে গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে রাখেন। তাৎক্ষণিক বাছেদ কে চরফ্যাশন হাসপাতলে নিয়ে যান এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেখে শশীভূষণ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় চরফ্যাশন হাসপাতলে রয়েছেন শারীরিক উন্নতি না হওয়ায় এখনো কথা বলতে পারে না বাছেদ।

এ বিষয়ে ছোটনের পিতা মোহাম্মদ মানিক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান শুক্রবার রাত নয়টার দিকে ছোটন ওখানে ব্যাডমিন্টন খেলতে যান এবং আমার সাথে দেখা হয়েছিল আমি ওকে বাড়িতে আসতে বললে ছোটন বলে একটু পরে আসতেছি। ছোটন এখন কোথায় জানতে চাইলে মানিক বলেন আমি জানিনা।
ঘটনার পর থেকে এখনো ছোটন কে পাওয়া যায়নি।

শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি সরজমিনে গিয়ে তদন্ত পরিচালনা করে অপরাধীদের সনাক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।