বগুড়ায় কোরআন শিখতে গিয়ে শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়ে ১০ বছরের শিশু গর্ভবতী

অপরাধ

মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ৪ নং ইউনিয়নের অন্তর্গত দারিয়াপুর গ্রামে কোরআন শিখতে গিয়ে, কুরআনের শিক্ষক কর্তৃক লাগাতার ধর্ষণের ফলে ১০ বছরের শিশুকন্যা গর্ভবতী হয়েছে।ঘটনার সূত্রে জানা যায়, দারিয়াপুর গ্রামের মৃত অপি শাহ’র ছেলে রুহুল কুদ্দুস (৫৫) তার নিজ বাড়িতে মক্তব খুলে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের শিশু বাচ্চাদের কুরআন শিক্ষা দিত, ১বছর আগে একই গ্রামের নসিমন চালকের ১০ বছরের মেয়েকে কোরআন শিক্ষার জন্য রুহুল কুদ্দুসের মক্তবে ভর্তি করে দেন । তার বাবা, কিন্তু কুরআন শিক্ষা দেয়ার আড়ালে কুরআনের শিক্ষক রুহুল কুদ্দুসের কু-নজর পরে ছোট্ট শিশুটির উপর, আর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন প্রলোভন ভয়-ভীতি দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ করতে থাকে এবং এসব কথা পরিবারের লোকজনকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন কুরআনের শিক্ষক রুহুল কুদ্দুস। শিশুটির পরিবারের লোকজন জানান, শিশুটির পূর্বে এবেন্ডিসাইডের অপারেশন করা হয়েছিল, কিছুদিন ধরে মেয়েটি বোমি করছিল ও পেট ব্যথার কথা বলে আসছিল, শিশু মেয়েটির কথা শুনে তার পরিবারের লোকজন নন্দীগ্রামের এক ক্লিনিকে পরীক্ষা করে তার পেটে বাচ্চা দেখতে পায়, ক্লিনিক থেকে জানানো হয় মেয়েটি গর্ভবতী, এরপর মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলে শিশু মেয়েটি বলে দীর্ঘ চার পাঁচ মাস ধরে, তার কুরআনের শিক্ষক রুহুল কুদ্দুস তার সাথে বাজে ব্যবহার করে আসছে, একথা জানাজানি হওয়ার পর, গ্রাম্য মোড়লরা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে, উক্ত বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শওকত কবিরের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার সাথে জড়িত ৪জন গ্রাম্য মোড়লকে আটক করা হয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ আবু সাঈদ (৬০), আফজাল হোসেন (৬৫), বাবু মিয়া (৩৫), সাকিবুল্লাহ (৩০), ধর্ষক রুহুল কুদ্দুস পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে, বর্তমানে শিশুকন্যাটি থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.