Doinik Bangla Khobor

ঢাকার আশুলিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে মারধর থানায় অভিযোগ

শাহাদাৎ হোসেন সরকার :
আশুলিয়া থানার পাথালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান কর্তৃক ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতিকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানা যায় আশুলিয়ায় নয়ারহাট এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত সরকারি জমির উপর অবৈধ স্থাপনা বাজার বসিয়ে খাজনা নামক চাঁদা আদায় করে আসছেন পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর ছোট ভাই আলমাস দেওয়ান এর নেতৃত্বে কাজী নামক এক ব্যক্তি।
গত ১৬/০৭/২০ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার বিকেলে
আলমাস দেওয়ান এর নেতৃত্বে কাজী নামে ঐ ব্যক্তি চাঁদা উত্তোলন করে আসছে সেই চাঁদার টাকা উঠাতে বাধা প্রদান করলে পারভেজ চেয়ারম্যানের নির্দেশ ক্রমে আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সহ-সভাপতি লেহাজ উদ্দিন কে জোর পূর্বক ধরে চেয়ারম্যানের অফিসকক্ষে নিয়ে ১০/১২ জন মিলে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া যায় ।
এ ব্যাপারে পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান লেহাজ উদ্দিন উন্মাদ হয়ে বা পাগল হয়ে গেছে। লেহাজ উদ্দিন হাইওয়ে রাস্তার জমি লিজ নিয়েছেন। এবং সেখানে বৃক্ষ রোপন করার নামে চাঁদাবাজি বা দোকানের পজিশন বিক্রয় করে এমন অভিযোগ আমার কাছে আছে । লেহাজ উদ্দিন আপনাদের কাছে যে অভিযোগ করেছে সেটা মিথ্যা ।
। আমি এব্যাপারে হাইওয়ের নয়ারহাট শাখায় যোগাযোগ করে তাদের সাথে কথা বলেছি তারা বলেন হাইওয়ে রাস্তার কোন জমি লিজ দেয়া হয় না ।অথচ সে এই জমি লিজ নিয়েছে কাগজপত্র দেখিয়ে এলাকার দোকানদারদের কাছে পজিশন বিক্রি করছেন এ ব্যাপারে অনেকবার গ্যাঞ্জাম হয়েছে আমি সমস্যার সমাধান করেছি। আর মারধরের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান ইতিপূর্বে মার্ডার মামলায় যেহেতু আমার কিছু হয়নি। ওর মত উন্মাদ বা পাগল পিটালে আর কি হবে। এলাকাবাসী জানান আলমাস দেওয়ান একজন মাদক ব্যবসায়ী মাদক সেবনকারী ও খারাপ প্রকৃতির লোক এদের রয়েছে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের ভয়ে আমরা মুখ খুলে কিছু বলতে পারি না।এদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা সহ মার্ডার মামলা ও রয়েছে । ভুক্তভুগী লেহাজ উদ্দিন বলেন আমি দীর্ঘদিনযাবত এই জমি লিজ কৃত করে জমিতে চারা রোপণ করে আসছিলাম প্রায় তিন বছরে এরা আমার প্রায় ৭০’০০০ টাকার চারা গাছ কেটে আমার খতিকরে ফেলে দিয়েছেন এই বিষয়ে আমি কথা বলতে গেলেই তারা আমাকে মারধর করে এতে আমি গুরুতর আহত হই । আমি বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি এ বিষয়ে আমি গত ১৭/০৭/২০ তারিখে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি । বিষয়টি খতিয়ে দেখে স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আশাবাদী ভুক্তভোগী পরিবার।